বাংলারজমিন
জৈন্তাপুরে টিলা কেটে পাথর লুট
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবারসিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউপির গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী এলাকায় পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হলেও থেমে নেই পাথর লুট। পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা পাথর উত্তোলন করেই চলেছে। পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনলেও তাদেরকে কোনোভাবে থামানো যাচ্ছে না। হুমকির মুখে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিব বর্ষের গৃহহীনদের উপহারের ঘর। পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা গোয়াবাড়ী এলাকার পাহাড় টিলা কর্তন করে দেদারছে পাথর উত্তোলন করছে। তাদের পাথর উত্তোলনের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্তের। এ উপজেলা ভূকম্পের ডেঞ্জার জোন এলাকা হিসাবে চিহ্নিত। বর্ষায় অতি বৃষ্টির ফলে পাহাড় ও টিলা ধসে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। অপরদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য এই এলাকায় প্রায় ৩শ’টি ঘর তৈরি করে উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাথর উত্তোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বেশির ভাগ ঘর বর্ষায় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাতের পর রাত গোয়াবাড়ী এলাকায় চলে পাহাড় টিলা খোড়াখুড়ি করে চলে পাথর উত্তোলন। চক্র রাতভর ট্রাকযোগে উত্তোলিত পাথর পরিবহন করছে বিভিন্ন ক্রাশিন মেশিনে। এলাকাবাসী নাছির উদ্দিন, হরমুজ আলী, বরকত উল্লাহ, আব্দুল হালিমসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন- ইতোপূর্বে গোয়াবাড়ি এলাকা হতে পাথর উত্তোলনের ওপর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সাইবোর্ড দিয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড রাতের আড়ালে পাথরখেকোরা তুলে নিয়ে যায়। গোয়াবাড়ী এলাকায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। বর্তমানেও অভিযান চলমান রয়েছে। তারপরও পাথরখেকোরা হরদম পাথর উত্তোলন করছে এলাকা হতে। মূলত পাথরখেকোরা কঠিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় চক্রটি কতিপয় ব্যক্তিদের সহায়তায় পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসন শেষ রাত পর্যন্ত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তারপরও একটি চক্র তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম বলেন- উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেষরাত পর্যন্ত উপজেলাজুড়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে পত্র মারফত অবহিত করেছি।