বাংলারজমিন
পদ্মা-যমুনায় স্রোত ও ফেরি সংকট, বেড়েছে যানবাহনের চাপ
রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
২২ মে ২০২২, রবিবারপদ্মা-যমুনা নদীতে প্রবল স্রোত ও ফেরি সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস। ফলে এসব ঘাটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে সহস্রাধিক যানবাহন। গতকাল দিনভর আরিচা ফেরিঘাট এলাকা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বোয়ালী ডাক্তারখানা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এবং উথুলী মোড় থেকে বোয়ালী ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এ সব যানবাহনের শ্রমিকরা।
জানা গেছে, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস সচল রাখতে ২টি ছোট এবং ১টি ডাম্ব মোট ৩টি ফেরি রয়েছে। এরমধ্যে ডাম্ব ফেরি রাণীক্ষেত এবং ছোট ফেরি কপোতী অনেক দিনের পুরনো হওয়ায় এমনিতেই ১৪ কিলোমিটার নৌপথ যাতায়াতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগে। ইঞ্জিন সমস্যার কারণে মাঝে মধ্যে মেরামতে থাকছে এ দু’টি ফেরি। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর মেরামতের জন্য আরিচা ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে ফেরি কপোতী। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে কাজিরহাটে দু’টির একটি ঘাট বন্ধ রয়েছে। কাজিরহাট ফেরিঘাটের কাছাকাছি লঞ্চঘাট হওয়ায় অনেক লম্বা আকৃতির ডাম্ব ফেরি ওই ঘাটে ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ ফেরিটি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আরিচা ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
আগে একটি মাত্র দ্রুতগামী কদম ফেরি যাতায়াতে সময় লাগতো তিন ঘণ্টা এখন লাগছে চার ঘণ্টা। এ ছাড়া রাণীক্ষেত ও কপোতীর সময় লাগছে ৬-৭ ঘণ্টা করে। প্রতিটি ফেরিতেই এক ঘণ্টা করে সময় বেশি লাগছে। এতে যানবাহনগুলোকে ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আব্দুল মালেক, মজিবর ও হাসেম আলীসহ একাধিক ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সহজে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ও বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের বিকল্প রুট হতে পারে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট। অনেক সময় বঙ্গবন্ধু সেতু ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট হলে ওই রুটের গাড়িগুলো আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যানজট এড়াতে এবং সময় ও অর্থ সাশ্রয় হওয়াতে অনেকেই এই রুট ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে।