ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

খোলা চোখে

গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া কি কোনো বিকল্প নেই?

লুৎফর রহমান
২১ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার
mzamin

চুরি, সিস্টেম লস কমিয়ে আনা এবং ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করলে, খেলাপি বিল আদায়ের উদ্যোগ নিয়ে এই খাতের আরও উন্নয়ন করা যেতো বলে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের লাভ বাড়াতে মরিয়া। ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন হোক সেটা হয়তো কেউ কেউ চায় না। কারণ তা হলে লুটপাট ও চুরির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সাশ্রয় এবং চুরি ঠেকানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছিল গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগ। এর ব্যবহারকারীরা সুফল পেলেও মিটার স্থাপনের প্রকল্প খুব একটা এগোচ্ছে না। এর কারণ প্রি-পেইড মিটার হলে চুরি আর লুটপাটের সুযোগ আর থাকবে না

বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে এমন আলোচনা ছিল অনেক দিন থেকেই। গ্যাসের দাম বাড়বে এটিও বলা হচ্ছিল সংশ্লিষ্টদের তরফে। দাম বাড়ানোর এই আগাম আলোচনা অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।

বিজ্ঞাপন
করোনার কারণে বিপর্যস্ত জনজীবনে যে কোনো মূল্য বৃদ্ধিই এখন আতঙ্কের বিষয়। দ্রব্যমূল্য মানুষকে ভোগাচ্ছে অনেক দিন থেকে। আয় বাড়েনি। কিন্তু বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এই ব্যয় সামলাতে মধ্যবিত্ত নামের শ্রেণিটি এখন বলতে গেলে বিপন্নের পথে। নিম্ন্নবিত্তের কি হাল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে এখন চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষ গরিব। এর পরের একটা বড় শ্রেণি আছেন যাদের আমরা মধ্যবিত্ত বলি। এই দুই শ্রেণির মানুষ বাদে যারা আছেন তারা বিত্তশালী। দ্রব্যমূল্যের উচ্চ গতির আঁচ তাদের ওপর খুব একটা পড়ে না, বা তারা তা অনুভব করতে পারেন না। কারণ বাজার বলেন বা শিল্প বলেন তার বড় অংশই তাদের দখলে। নিজেদের ওপর চাপ বাড়লে তারা নতুন করে পণ্যের দাম বাড়ান। এতে তারা পুষিয়ে নেন। নিজেদের আয় বেড়ে গেলে ব্যয় বাড়া নিয়ে আর চিন্তা করতে হয় না। 

 

 

কিন্তু নিম্ন আর মধ্যবিত্তের বিষয়টা তেমন না। জিনিস-পত্রের দাম বাড়া মানে তাদের আয় কমে যাওয়া। আগে এক হাজার টাকায় যে দ্রব্য কিনতে পারতেন তা কিনতে যদি তার ১২শ’ টাকা খরচ করতে হয় তাহলে তার দুইশ’ টাকা খরচ বেড়ে যায়। এই বাড়তি খরচটা তার নির্ধারিত আয় থেকে ব্যয় হয়। এতে তার আয়ের ক্রয়মূল্যটা কমে যাচ্ছে। তার মানে তার আয় কমে যাচ্ছে। করোনার সময় পরিস্থিতি এতোটা নাজুক ছিল না। করোনা কমে আসার পর যখন জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে। উৎপাদন  ও ভোগ বাড়তে থাকে তখনই পরিস্থিতি আচমকা বদলে যায়। চারদিকে সংকট আর সংকট। ডলারের সংকট। পণ্যের সংকট। অর্থের সংকট। এক পরিস্থিতির মধ্যে আরেক বোঝা হয়ে এলো রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রভাবে সারা পৃথিবীতে নিত্যপণ্যের দামে বড় প্রভাব পড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর বড় কারণ জ্বালানি  তেলের দাম বৃদ্ধি। জ্বালানি  তেলের সূত্র ধরেই বেড়েছে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম। বিভিন্ন দেশ নানা উপায়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। নাগরিকদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও সরকারি সেবার মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। অনেক দেশ পরিস্থিতি উৎরেও গেছে। কিন্তু আমাদের অবস্থা এখনো লেজেগোবরে বলতে গেলে। 
করোনা আর যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রায় সব পণ্যেরই দাম বেড়েছে। এই দাম বাড়াটা ছিল লাগামহীন। সরকারি সংস্থার তদারকি ছিল। কিন্তু তারা সাধারণ মানুষের অধিকার খুব একটা রক্ষা করতে পারেনি। নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীরা তাদের শতভাগ সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন। তারা লাভ করেছেন পূর্ণমাত্রায়। সংকটে এক চুলও ছাড় দেননি লাভের ক্ষেত্রে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধাও নিয়েছেন। অসম মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ চাপ থেকে আরও চাপে পড়েছে। এই চাপ দিনকে দিন বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধির এই চাপের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে জ্বালানির জ্বালাতন। বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এরপরও বড় প্রভাব পড়েছিল নিত্যপণ্যের দামে। বেড়ে যায় অন্যান্য সেবার মূল্যও। বিশ^বাজারে এই জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমে গেছে। কিন্তু দেশের বাজারে আর কমেনি। বলা হচ্ছে সমন্বয় করা হবে। কিন্তু কবে হবে তার কোনো দিন তারিখ কেউ বলতে পারছেন না। 

এবার নতুন করে বাড়ানো হয়েছে গ্যাস আর বিদ্যুতের দাম। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ। বলা হচ্ছে সামনের মাসে আবার বাড়তে পারে। কয়েক ধাপে ১৫ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে গণশুনানি নিয়েছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। ওই গণশুনানিতে ভোক্তা অধিকার সংশ্লিষ্ট পক্ষ দাম বাড়ানোর বিপক্ষে অনেক যুক্তি তুলে ধরেছিল। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোর যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে তা সুশাসন ও অপচয় কমিয়ে করা সম্ভব। কিন্তু তাদের এই যুক্তি ধোপে টিকেছে কিনা এই প্রশ্ন উঠার আগেই তড়িঘড়ি করে সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়াতে সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে সংসদে আইন পাস হওয়ার পর থেকে এই ধারণাই সামনে এসেছিল যে, এখন সরকার যখন তখন দাম বাড়াতে পারে। 

এখন যে দাম বাড়ানো হচ্ছে এটি কিন্তু পরিস্থিতির প্রয়োজনে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে সরকার যে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণের আবেদন করেছে তা প্রাপ্তিতে একটি বড় শর্ত হলো সরকারের বিভিন্ন সেবা খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা। বিদ্যুৎ গ্যাস এবং জ¦ালানি খাত সরকারের অন্যতম সেবা খাত। এই খাতের মাধ্যমে দেশের সব মানুষ কোনো না কোনোভাবে সেবা পেয়ে থাকে। এখানে ভর্তুকি দেয়া মানে সব মানুষকে ভর্তুকি দেয়া। এখানে লাভ করা মানে সব মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়। আইএমএফ’র শর্তের কারণেই যে নতুন করে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে এটা পরিষ্কার। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি এটা স্বীকার করা হচ্ছে না। 

আইএমএফ’র ঋণ নেয়া হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ঋণে সরকারের অর্থনৈতিক সংকট কমবে। এর কিছুটা সুফল সাধারণ মানুষও পাবে। সঙ্গে অন্য সংকটও আছে। ঋণ পেতে শর্ত প্রতিপালন করতে গিয়ে গ্যাস এবং বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে এর বড় প্রভাব পড়বে মানুষের উপর। সরকার বিদ্যুতের দাম একসঙ্গে না বাড়ানোয় জনপ্রতিক্রিয়া খুব একটা দেখা যায়নি। কিন্তু ধাপে ধাপে যখন বাড়তি দাম যুক্ত হবে তখন মানুষের সব ব্যয়ই বাড়বে। একই অবস্থা গ্যাসের ক্ষেত্রেও। আবাসিক সংযোগ, সিএনজি স্টেশন এবং সার কারখানায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়নি। বেড়েছে শিল্প ও ক্যাপটিভ খাতে। এই দুই খাতে দাম বেড়েছে ক্ষেত্র বিশেষে তিনগুণ পর্যন্ত। আবাসিক সংযোগ দাম না বাড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব একটা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কিন্তু দিন শেষে সাধারণ মানুষকেই এই দাম বৃদ্ধির ফল ভোগ করতে হবে। শিল্প মালিকরা ইতিমধ্যে কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন, গ্যাসের বাড়তি দামের কারণে তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়াতে হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়বে বা এ খাতে প্রভাব পড়বে এটিও বলছেন উদ্যোক্তারা। শিল্প পণ্যের দাম বাড়লে, বিদ্যুতের দাম বাড়লে এর প্রভাবতো সরাসরি সাধারণ মানুষের উপর পড়বে। সরকারের চাপ সামাল দিতে গিয়ে প্রকারান্তরে মানুষই নতুন করে চাপে পড়ছে। সঙ্গে যোগ হবে ঋণের বোঝা। সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণে জনজীবন কতটা সহজ হবে, বা আদৌ ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা এটা কিন্তু হলফ করে কেউ বলতে পারছে না। বলা সম্ভবও নয়। কারণ এই ঋণ পাওয়া যাবে ধাপে ধাপে। সময়ে সময়ে। কিন্তু এটি হলফ করেই বলা যায়, ঋণের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ভোগান্তি কিন্তু সবারই হবে। বিশেষ করে করোনা আর যুদ্ধের কারণে মরার মতো অবস্থায় থাকা মানুষদের ওপর খাঁড়ার ঘা হয়েই এসেছে এই মূল্য বৃদ্ধি। বিরোধী দল বলছে  ভেঙে ভেঙে দাম বাড়ানো একটা খুচরা চালাকি। চালাকি বলে আর বাস্তবতা যাই বলেন না কেন মূল্যবৃদ্ধির এই উদ্যোগ হিতে-বিপরীতও হতে পারে সরকারের জন্য। কারণ সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের আগে দেখা যায় জনতুষ্ঠির বাজেট দেয়া হয়। নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক কয়েক মাস আগে এভাবে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে, মূল্যস্ফীতির পালে হাওয়া দিয়ে মানুষের কষ্ট বাড়ানোর উদ্যোগ নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে না- এটিতো কোনোভাবেই বলা যাবে না। গ্যাস এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইতিমধ্যে কর্মসূচি পালন শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো। তাদের যুগপৎ আন্দোলনেও অনুষঙ্গ হয়েছে এই মূল্যবৃদ্ধি। 

এখন প্রশ্ন হলো- গ্যাস বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ছাড়া সরকারের সামনে আর কি বিকল্প ছিল? বিকল্প হিসেবে বিইআরসি’র গণশুনানিতে বিশেষজ্ঞরা অনেক পথ দেখিয়েছেন। তারা নিজেদের প্রস্তাবও দিয়েছেন। তারা বলছেন, মূল্য বৃদ্ধি না করে সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে সুশাসন এবং ভালো ব্যবস্থাপনা যুক্ত করতে পারলে দাম না বাড়িয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতো। বলা হচ্ছে- ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ যে বিপুল অর্থ দিতে হয়েছে এর প্রভাবেই এখন নাজুক অবস্থা তৈরি হয়েছে। মাসের পর মাস বসে থাকা কেন্দ্রকে এই ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে। এখনও কিছু কেন্দ্র এই সুবিধা পাচ্ছে। বসে থাকা কেন্দ্রের এই কমানোর উদ্যোগ আগে থেকেই নিতে পারতো বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু নেয়নি। কারণ এসব কেন্দ্র পরিচালনায় অনেক প্রভাবশালী জড়িত। 
এছাড়া, চুরি সিস্টেম লস কমিয়ে আনা এবং ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করলে,  খেলাপি বিল আদায়ের উদ্যোগ নিয়ে এই খাতের আরও উন্নয়ন করা যেতো বলে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের লাভ বাড়াতে মরিয়া। ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন হোক সেটা হয়তো কেউ কেউ চায় না। কারণ তা হলে লুটপাট ও চুরির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সাশ্রয় এবং চুরি ঠেকানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছিল গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগ। এর ব্যবহারকারীরা সুফল পেলেও মিটার স্থাপনের প্রকল্প খুব একটা এগোচ্ছে না। এর কারণ প্রি-পেইড মিটার হলে চুরি আর লুটপাটের সুযোগ আর থাকবে না। 
ব্যয় কমানো ও সাশ্রয়ের এমন নানা সুযোগ থাকার পরও শুধু শুধু দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানো এবং লাভ করার কৌশলের কারণে দাম বাড়ানোই এখন একমাত্র বিকল্প হয়ে উঠেছে জ¦ালানি খাতের জন্য। আর এই প্রবণতা দিনে দিনে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করার সঙ্গে এই খাতের জন্যও সংকটও ডেকে আনছে। 

লেখক: মানবজমিন-এর নগর সম্পাদক ও প্রধান প্রতিবেদক।

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status