নির্বাচিত কলাম
কাওরান বাজারের চিঠি
বিএনপি’র নয়া কৌশল, কক্ষপথে জাপা, কী করবে জামায়াত?
সাজেদুল হক
১৪ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার
২০২৩ সালের ক্যালেন্ডার এরইমধ্যে সচল হয়েছে। বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতির নীতি-নির্ধারণী বছর। এ বছরের শেষদিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? কেমন হবে সে নির্বাচনের চরিত্র- মূলত তা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে চলছে লড়াই। মরিয়া দুই পক্ষই। সরকার কোনো ছাড় দেবে এখন পর্যন্ত তেমন ইঙ্গিত নেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ
গেল এক দশকের রাজনীতিতে এটা নয়া শিক্ষা। দৃশ্যত ব্যর্থ হরতাল-অবরোধ। নয়া কৌশলের খোঁজে বিএনপি। নয়া রাজনীতির খোঁজেও নয় কি! অবশেষে দলটি কি তা খুঁজে পেলো? সে প্রশ্নের জবাব খোঁজার সময় এখনো আসেনি। এ লেখা যখন শুরু করছি তখন নয়াপল্টনে অবস্থান কর্মসূচি চলছে বিএনপি’র।
দুইযুগ আগে সরবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ৪ দলীয় ঐক্যজোটের। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মঞ্চ আলোকিত করেছিলেন সেদিনের বিরোধী রাজনীতির শীর্ষ নেতারা। ক’দিন আগে অনেকটা নীরবেই সে জোট বিলুপ্ত হয়ে গেল। এটি অবশ্য এরইমধ্যে সবার জানা। এ জোটের তত্ত্বদাতা হিসেবে পরিচিত আনোয়ার জাহিদ কিংবা গোলাম আযমও বেঁচে নেই। কিন্তু যে থিওরির ওপর ভর করে আদিতে এই জোট গড়ে ওঠেছিল তা কি টিকে আছে? এ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা মুশকিল। কারণ ২০১৪ কিংবা ১৮ সালে ভোটের ময়দানে এ তত্ত্বের পরীক্ষা হয়নি। তবে ‘বিএনপি-জামায়াত’ ব্র্যাকেটবন্দি রাজনীতি বিএনপি’র জন্য বহুক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। দলটি চেয়েছিল এর থেকে বেরিয়ে আসতে। যদিও বিএনপি’র ভেতরে এ নিয়ে নানামত ছিল। আন্দোলন এবং ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন বিএনপিতে এমন নেতার সংখ্যা একেবারে কম নয়।
আন্দোলন কিংবা নির্বাচন বিগত ১৬ বছরের অভিজ্ঞতা ভালো নয় বিএনপি’র। দলটি হোঁচট খেয়েছে বার বার। মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন লাখ লাখ নেতাকর্মী। গুম-খুনের ঘটনাও ঘটেছে। তবে আখেরে বিএনপি ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই কিনা এবার নতুন কৌশলে এগুনোর চেষ্টা করছে। বিএনপি’র এই কৌশল কেমন? দলটির সামনে চ্যালেঞ্জও বা কী? বিএনপি কি এসব চ্যালেঞ্জ উতরাতে পারবে।
১. সাম্প্রতিক অতীতে বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলের প্রতি কমিটমেন্টকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশেষত অতীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, হেভিওয়েট নন, কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থেকেছেন এমন ব্যক্তিদেরই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এটি করতে গিয়ে বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা অবশ্য বাদ পড়েছেন। বিশেষত আগামী নির্বাচনে কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেন কিনা সে বিষয়টিও মাথায় রাখছে বিএনপি নেতৃত্ব। এরইমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচনে প্রবীণ নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে অংশ নিচ্ছেন। এটিকে বিএনপি’র অনেকে সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখছেন।

২. রাজপথে এককভাবে কর্মসূচি পালন করে নিজেদের শক্তির জানান দেয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। গত কয়েকমাসে বিএনপি তার সবক’টি সমাবেশ, মিছিল এককভাবেই করেছে। এসব সমাবেশ-মিছিলে বিপুল লোক সমাগম বিএনপি’র নেতৃত্বকে আশাবাদী করেছে।
৩. আদিতেও বিএনপি’র রাজনীতিতে নানা মত ও পথের সম্মিলন ছিল। এখন অবশ্য বিএনপি যে যুগপৎ আন্দোলনের রাজনীতির সূচনা করেছে তা কিছুটা আলাদা। একই ফর্মুলায় আগেও এদেশে আন্দোলন হয়েছে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগের আন্দোলনে এই যুগপৎ ধারা আমরা দেখেছি। এবার যেটা আলাদা সেটা হচ্ছে, বিএনপি ওয়াদা করেছে যদি তারা বিজয়ী হতে পারে তবে আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।
৪. বিএনপি’র এবারের যুগপৎ আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য বামপন্থি দল ও নেতারা যোগ দিয়েছেন। এটি আন্দোলনকে নতুনমাত্রা দিয়েছে। অবশ্য এটি অতি ডান-অতি বামের ঐক্য বলে কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন।
৫. বিএনপি’র এই আন্দোলনের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মামলা এবং চাপের মুখে দলটির নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত রাজপথে থাকতে পারেন কিনা সেটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। বিএনপি’র দাবি অনুযায়ী, দেড় লাখ মামলায় দলটির প্রায় ৩৬ লাখ নেতাকর্মী আসামি। এসব মামলা মোকাবিলা করা দলটির জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া এরইমধ্যে এটি পরিষ্কার হয়ে গেছে, বিএনপি’র কর্মসূচির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাসকদলের নেতাকর্মীরাও মাঠে থাকবেন। সক্রিয় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। এসব চাপ সামলানোর চ্যালেঞ্জ থাকবে বিএনপির সামনে।
৬. হরতাল-অবরোধের বিপরীতে এখন পর্যন্ত বিএনপি সমাবেশ, মিছিল, অবস্থানের মতো কর্মসূচি পালন করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মসূচি কতোটা কার্যকর হবে তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটা স্পষ্ট বিএনপি যেকোনো মূল্যে সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে চায়।
৭. অসীম সময় ধরে নিশ্চয় বিএনপি’র এ আন্দোলন চলবে না। আন্দোলনকে একটি গন্তব্যে পৌঁছানো বিএনপি’র নীতি নির্ধারকদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।
কক্ষপথে জাতীয় পার্টি
‘‘এরশাদ সাহেবের সমস্ত রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে টান টান দড়ির ওপর দিয়ে চীনা এ্যাক্রোব্যাট মেয়েরা যেভাবে সাইকেল চালায় তার সঙ্গে তুলনা করা যায়। পরিস্থিতি যতই খারাপ এবং অনিশ্চিত হোক না কেন তিনি ঠিকই নিরাপদে তার কাজটি করে যাবেন।’’
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে মনীষী লেখক আহমদ ছফার এই মন্তব্য প্রায়ই স্মরণ করি। দুইজনই ইতিমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন। তবে এরশাদের রেখে যাওয়া দল জাতীয় পার্টি যথারীতি তার দেখানো কক্ষপথেই রয়েছে। তার মৃত্যুর পরই অবশ্য দলের কতৃত্ব নিয়ে স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদেরের মধ্যে এক দফা প্রতিযোগিতা হয়েছিল। একপর্যায়ে অবশ্য নেতৃত্ব চলে আসে জিএম কাদেরের হাতে। যদিও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হন রওশন এরশাদই। জিএম কাদেরের হাতে কতৃত্ব আসার পর জাতীয় পার্টির বেশকিছু নেতা অনেকটা রুটিন মেনেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। জাতীয় পার্টি সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয় কিনা এমন আলোচনাও তৈরি হয়। কানাঘুষা তৈরি হয় বিএনপি’র সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের কারও কারও যোগাযোগ নিয়ে। তবে এরইমধ্যে আদালতের শরনাপন্ন হন জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা। আদালত দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয় জিএম কাদেরের ওপর। নানা হস্তক্ষেপে রওশন এরশাদ এবং জিএম কাদেরের দূরত্ব কমে আসে। জাতীয় পার্টির নেতাদের মুখ থেকেও সরকার বিরোধী বক্তব্য উধাও হয়ে যায়। রওশন এরশাদ সরব হন সরকারের প্রশংসায়। সব মিলিয়ে কক্ষপথেই ফিরেছে জাতীয় পার্টি।
নয়া চ্যালেঞ্জে জামায়াত
৩০শে ডিসেম্বর, ২০২২। বহুদিন পর ঘোষণা দিয়ে ঢাকার রাজপথে নামে জামায়াত। তবে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়নি জামায়াতের মিছিল। কয়েকটি স্থানে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জামায়াত মিছিলের জন্য অনুমতি নেয়নি। এ সংঘর্ষের পর একাধিক মামলা হয়েছে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গত ১১ই জানুয়ারি যুগপৎ অবস্থান কর্মসূচিতে অবশ্য জামায়াত যোগ দেয়নি। সেদিন দলটি একটি ঘরোয়া আলোচনা সভা করে। ওই সভায় অবশ্য জামায়াতের নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এদিন যুগপৎ কর্মসূচিতে জামায়াতের যোগ না দেয়া রাজনীতিতে এক ধরনের কৌতূহল তৈরি করেছে। তবে জামায়াতের সূত্রগুলো বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মুখে দলটির অবস্থান কর্মসূচি পালনের সুযোগ ছিল না। দ্বিতীয়ত, জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করার ঘটনায় জামায়াতের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।
শেষ কথা: ২০২৩ সালের ক্যালেন্ডার এরইমধ্যে সচল হয়েছে। বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতির নীতিনির্ধারণী বছর। এ বছরের শেষদিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? কেমন হবে সে নির্বাচনের চরিত্র-মূলত তা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে চলছে লড়াই। মরিয়া দুই পক্ষই। সরকার কোনো ছাড় দেবে এখন পর্যন্ত তেমন ইঙ্গিত নেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ।
লেখক: প্রধান বার্তা সম্পাদক, মানবজমিন।
পাঠকের মতামত
এইটা কোন মতামত নাকি। পুরটাই তো ধারাবাহিক খবরের বর্ণনা পড়লাম।
বিএনপি ও সকল দলমত, ডান বাম,ইসলামিক দল সমুহ সকলেই পৃথক পৃথক আন্দোলন শান্তিপ্রিয় ভাবে চালিয়ে যাওয়াটাই এমুহূর্তে যুক্তিক।
জামায়াতের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করে,একক শক্তিতে পথচলা,এর জন্য যদি জাতীয় কোনো ক্ষতি হয় তবে সে দায় বিএনপির জামায়াতের নয়। জাতি এটা বোঝে। সাধ্যাতীত বোঝা বহন করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আল্লাহ সেটা চানও না।
জামায়াতের এখন নিরব থাকাই শ্রেয়।জামায়াত নিজেদের মতো আন্দোলন করুক।বিএনপি এবং জামায়াত এখন একসাথে আন্দোলন করা মোটেও সুখকর হবে না।
বাংলার পাগলেও জানে দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বি এন পি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। ৯৬ মত যদি জামাত ভুল করে তাইলে জামাতের কপালে আরও দুঃখ আছে। দেশে জাতীয় পাটির কোন অস্তিত্ব নাই। জাতীয় পাটি আওয়ামিলীগের সাথে আছে বলেই কয়েকটা আসন পাইতেছে। জাতীয় পাটি একক ভাবে নির্বাচন করলে পাঁচটা আসন ও পাবে না। সব প্যাঁচাল বাদ দিয়ে এই শৈরাচার ভোট চোর সরকারের হাত থেকে কি ভাবে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যায় এই পথে হাটা উচিত বলে আমি মনে করি।
বিএনপি এখন সরকারের নির্দেশিত আনসিন ফর্মুলায় নানান কর্মসূচির অজুহাতে সরকার কে নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাচ্ছে। ১০ডিসেম্বর সারোয়ার্দী উদ্যোদান আর নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনেই সমাবেশ হবে একটা সাজানো নাটক।৯ বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে জনজোয়ারের কারনে সরকার যেমন বিপাকে পড়েছিলো পাশাপাশি বিএনপির দূর্নীতিবাজ, দূর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্তরাও বিপাকে পড়েছিলো এই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সামলাতে বা সাফল্যের কিছু একটা বুঝ দিতে।তাই সংসদ থেকে পদত্যাগ করে তৃণমূল কে একটা শান্তনা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছো।এ মূহুর্তেই সরকার পতন বিএনপি চায় না।তারা আস্তে আস্তে নির্বাচন পর্যন্ত সরকার কে নিয়ে তখন দেশে-বিদেশী চাপ প্রয়োগে যতটুকু সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের চেষ্টা করা।আর জাতীয় পার্টি আশা করছে আওয়ামীলীগের সঙ্গ ত্যাগ করলে তাদের কিছুই থাকবে না।সরকার যদি বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে ফেলে তবে জাতীয় পার্টির বেইল শেষ।তাই জাতীয় পার্টি যে স্বপ্ন দেখতো যারা এই সরকার কে ক্ষমতায় ধরে রেখেছে তারা তো আর বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাবে না,তাই হয়তো আমাদের সুযোগ আছে।আর জসমায়তের ভুল তারা ৯৬ এর পর আওয়ামীলীগের পেছন থেকে সরে আসা।বরং আওয়ামীলীগ জামায়াতকে ব্যবহার করে বিএনপির ১২ টা বাজিয়েছে ১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করিয়ে,সাঈদী কে চাদে দেখিয়ে জ্বালাও পোড়াও করে বিএনপির রাজনীতি পশ্চিমা বিশ্বে শেষ করে দিয়েছে।এখন পশ্চিমা ও আমেরিকানরা বুঝতে পেরেছে সরকারের আসল মতলব।তাই এখন জঙ্গি, জামায়াত,আবার পাকিস্তান হয়ে যাওয়া এগুলো আর খায় না।এ ডায়ালগ সরকারি দলের কিছু নেতার গলাবাজিতেই সীমাবদ্ধ।আর মার্কিনীরা চাচ্ছে তাদের কথা শুনবে এমন একটি সরকার, যাতে তারা আমাদের সমুদ্র সীমায় তাদের তেলগ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ পাওয়া বা মায়ানমারকে আমাদের সরকারের দ্বারা ডরভয় দেখাতে পারে।তাই তাদের দৌড় ঝাপ।তবে শেষ পর্যন্ত ভূরাজনৈতিক কারনেই আমাদের সরকারের ভাগ্যে কি আছে তা দেনা-পাওনার উপরই নির্ভর করবে।কারন জিয়ার আমলের সাত্তার সরকার কোন আন্দোলন ছাড়াই বিদায় নিয়েছিলো।
জামায়াতে ইসলামী বিএনপির জন্য অত্যন্ত বিশ্বস্ত সঙ্গী তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ যখন জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করে ২০০৯ সালে জামায়াত ইসলামি তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে হাত মিলালে তাঁরা সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ থাকতে পারতো। কিন্তু, বিএনপি চিরতরে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতোনা। কিন্তু, জামায়াত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আপোষ না করে দেখা গেছে ভয়ংকর বিপদ মাথায় তুলে নিয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি মুজাহিদ সাহেব ঢাকার বাইরে গেলে মৃতপ্রায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাহস যোগাতে দেখা গেছে। জীবন দিয়ে জামায়াত নেতারা বিএনপির সাথে কৃত অঙ্গীকার রক্ষা করেছেন। কিন্তু বিএনপি জামায়াতের দুর্দিনে জামায়াতের পক্ষে একটি কথাও বলেনি। অতি বাম- যারা চামড়া দিয়ে ঢোল বানাতে চেয়ে যদি আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মন্ত্রী হতে পারে তাহলে জামায়াতে ইসলামী কেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষ করে নিরাপদ থাকতে পারবেনা? আগামী নির্বাচনে জামায়াতের উচিত হবে বিএনপির পক্ষাবলম্বন না করা। তাহলে তাঁরা নিরাপদ থাকতে পারবে এবং বিএনপিও বুঝতে পারবে কতো ধানে কতো চাল। চিরদিনের জন্য বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। মোনাফেক বিএনপির সঙ্গে থেকে জামায়াত আর কতো খেসারত দিতে হবে? আবুল কাসেম ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার, ১:০৫ পূর্বাহ্ন
জামায়াতে ইসলামী বিএনপির জন্য অত্যন্ত বিশ্বস্ত সঙ্গী তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ যখন জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করে ২০০৯ সালে জামায়াত ইসলামি তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে হাত মিলালে তাঁরা সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ থাকতে পারতো। কিন্তু, বিএনপি চিরতরে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতোনা। কিন্তু, জামায়াত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আপোষ না করে দেখা গেছে ভয়ংকর বিপদ মাথায় তুলে নিয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি মুজাহিদ সাহেব ঢাকার বাইরে গেলে মৃতপ্রায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাহস যোগাতে দেখা গেছে। জীবন দিয়ে জামায়াত নেতারা বিএনপির সাথে কৃত অঙ্গীকার রক্ষা করেছেন। কিন্তু বিএনপি জামায়াতের দুর্দিনে জামায়াতের পক্ষে একটি কথাও বলেনি। অতি বাম- যারা চামড়া দিয়ে ঢোল বানাতে চেয়ে যদি আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মন্ত্রী হতে পারে তাহলে জামায়াতে ইসলামী কেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষ করে নিরাপদ থাকতে পারবেনা? আগামী নির্বাচনে জামায়াতের উচিত হবে বিএনপির পক্ষাবলম্বন না করা। তাহলে তাঁরা নিরাপদ থাকতে পারবে এবং বিএনপিও বুঝতে পারবে কতো ধানে কতো চাল। চিরদিনের জন্য বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। মোনাফেক বিএনপির সঙ্গে থেকে জামায়াত আর কতো খেসারত দিতে হবে?
জামাতের নীরব থাকা উচিত।
হয়তো জামায়াতের উচিত আগামী নির্বাচনে চুপ থাকা নতুবা এক্ষুনি নিজ শক্তিতে মাঠে নামা। বিএনপি বিলীনের পথে। তাদের মরা গাঙ্গে আর পানি আসবে না। সন্দেহ-সংশয়, পারষ্পরিক অবিশ্বাস, নিমকহারামী বিএনপিকে নাই করে দিয়েছে।
কোয়ালিটিলেজ নেতার আঞ্চলিকতার উপর নির্ভর করে জাতীয়পার্টির ইতিহাস।এই দলটি বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট সুবিধা ভোগীদল। কিছু চরিত্র আছে তারা ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া খায়,দেশ পোড়া গেলেও এরশাদের রেখে যাওয়া সুবিধা ভোগী নেতারা কয়লা বিক্রির ভাগ খাবে।ফিরোজ রশিদর, জি এম কাদেররা জনবিচ্ছিন্ন সুবিধাবাদী জিবন্তমূর্তি।
I would like to see the politics of BD aims towards eliminating corruption, reduction of poverty and improving public service sectors. But the slogan of the opposition is "we will do this, we will do that if we were in power". Why not focus on few items and people will be behind you. Once corruption is reduced or eliminated and rules of law is established, there is no need for caretaker govt. If public officials perform their task honestly and as a servant to the nation not to the party in power, the free and fair election can be conducted.
ঘটনার পরম্পরা আর বিএনপির আন্দোলন কৌশল দেখে আশান্বিত হওয়ার মত কোন উপাদান এখনো লক্ষ্যনীয় নয়। বিএনপি জনসমর্থনের ভারে একটা ন্যুজ দল হয়েও অবৈধ শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের রাশ ধরে টান দিতে পারছেনা। বিএনপির আন্দোলন কৌশল এখনো একটা অবৈধ সরকারের পতনোপযোগী বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছে বলে বিশ্বাস হয় না। সরকার পতন আন্দোলনের প্রধান দুই শক্তি বিএনপি জামায়াত সমান্তরাল আন্দোলন প্রশ্নে এক মেরুতে দ্বিধাহীন সমযোতায় এসেছে বলেও প্রতীয়মান হচ্ছেনা। বিএনপি অপেক্ষাকৃত কমজোড় শক্তি সম্পন্ন দলগুলিকে আন্দোলন সম্পৃক্ততায় যতখানি গুরুত্ব দিচ্ছে অপেক্ষাকৃত অধিক জোড় শক্তিশালী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে তদ্রূপ আগ্রহে ঘাটতি কিন্ত স্পষ্ট। ৩০ শে ডিসেম্বরের জামায়াতের গণমিছিলে পুলিশের আক্রমন আর তাদের নেতাকর্মীদের অমানবিক ধরপাকড় জামায়াত আমীরের গ্রেফতারে বিএনপির নিরবতা ১১ই জানুয়ারী ২৩ এ বিএনপির গণ অবস্থান জামায়াতের সরকার পতন ইস্যুতে ঘরোয়া আলোচনা অনুষ্ঠান এসবের মধ্যে পরস্পরের মধ্যে দূরত্বের ইঙ্গিত অদৃশ্যমান নয়। দেড় যুগের অধিক সময় ধরে অবৈধ সরকার তার অবস্থান দীর্ঘ্য মেয়াদে সুরক্ষিত রাখার হেন ব্যবস্থা নেই যা করে নি।জনমত আর দলমতকে বিসর্জন দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির পেছনে ক্ষমতা ত্যাগের পথ কন্টকমুক্ত করাই ছিল লক্ষ্য। সে লক্ষ্য থেকে কোন আন্দোলন কৌশলই আপাততঃ কোন কার্যকর হবেনা বলেই সরকার মেনে নিয়ে অবস্থান এক বিন্দুতে স্থির করে ফেলেছে। অর্থাৎ সরকার তার অবস্থান থেকে বিন্দুসম বিচ্যুত হবেনা যতই ঝড় আসুক যতই তুফান আসুক। এমতাবস্থা থেকে পরিত্রাণে জনগণের সরকার কায়েমে জামায়াত বিএনপির বৈরী অবস্থান বিএনপিকে কতখানি সুফল দিবে এটাই এখন দেখার বিষয়। আর চরমোনাই জাতীয়পার্টি শেষবেলায় এসে পরিস্থিতি ভেবে সরকারের কোটে চলে আসবেনা এ গ্যারান্টিই বা কে দিবে?