ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

খোলা চোখে

প্রাথমিক শিক্ষা, ঢাকা যেন এক বৈষম্যের নগর

লুৎফর রহমান
২২ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
mzamin

ঢাকার ঠিক লোকসংখ্যা কতো- তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। একেক সংস্থা একেক রকম হিসাব হাজির করছে। কেউ বলছে দুই কোটি। কেউবা আবার তিন কোটির বেশি হিসাব দেখাচ্ছে। সরকারি হিসাবে দুই কোটির বেশি মানুষের বাস এই রাজধানী শহরে। এটি মোট জনগোষ্ঠীর আট শতাংশের মতো। এই বিপুল মানুষের সব মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছে না এই নগর। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষায় ঢাকা যেন এক বৈষম্যের নগরী। যাদের সন্তানের স্কুলে যাওয়ার বয়েস হয় তারাই কেবল বুঝতে পারেন এই মৌলিক অধিকারটি তার কতোটা অধিকারে আছে। রাজধানীতে সন্তানের প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ দিতে অভিভাবকদের ছুটতে হয় অলি-গলির নানা প্রতিষ্ঠানে।

বিজ্ঞাপন
এখানে নানা কিসিমের প্রতিষ্ঠান আছে। নানা স্তরের প্রতিষ্ঠান আছে। নানা মানের প্রতিষ্ঠান আছে। এখানে উচ্চবিত্তের জন্য অর্ধলাখ টাকা মাসিক খরচের প্রতিষ্ঠান আছে। আছে বিনা বেতনের প্রতিষ্ঠানও। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের ভিড়ে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান কোথায় আছে এটি হয়তো অনেকে খুঁজে দেখেন না।

 আর নিজেদের হাতের কাছে এমন প্রতিষ্ঠান থাকলেও অনেকে সেখানে সন্তানদের দিতে চান না।  এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন এলাকা বর্তমানে এক হাজার ৫২৮ বর্গ কিলোমিটার। ঢাকা মহানগর এলাকায় এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৮৬২টি। স্কুলের এই সংখ্যাটি যে একেবারেই কম তা অনেক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। রাজধানী এখন চারপাশে বেড়ে উঠছে। বাড়ছে নতুন নতুন আবাসিক এলাকা। এসব আবাসিক এলাকার বেশির ভাগই গড়ে উঠছে বেসরকারি উদ্যোগে। এসব আবাসিক এলাকায় বসতি গড়ে উঠলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থাপন হয় না খুব একটা। এভাবে জনবসতি বর্ধিত হলেও বাড়ছে না সরকারিভাবে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ।  ঢাকায় আপনি যে পাড়া বা মহল্লায় থাকেন একটু নজর দিলেই দেখবেন আশপাশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কোনো সড়কে এক বা একাধিক স্কুল আছে। ইংরেজি মাধ্যম, ইংরেজি ভার্সন এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি দেখা যাবে। আপনার এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান কোথায় সেটি হয়তো আপনি ভেবেও দেখেননি। অনেকে হয়তো জানেনও না তার এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে কি-না।  এমন পরিস্থিতিতে সব শ্রেণির মানুষই এখন সন্তানকে ভর্তি করাতে ছুটছেন বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এসব প্রতিষ্ঠানের কোনোটির অনুমোদন আছে। কোনোটির অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। 

এসব প্রতিষ্ঠানে কারা কীভাবে পাঠদান করছে তার কোনো খবরও রাখছে না কেউ। পাশপাশি নামি প্রতিষ্ঠানগুলোও শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। কলেজ বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে শুরু হওয়া অনেক নামি প্রতিষ্ঠান এখন প্রি-প্লে থেকেই শিক্ষার্থী নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চলে অসম প্রতিযোগিতা। ১০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি নিলে আবেদন করা হয় ৫ থেকে ১০ হাজার। কোথাও লটারি করে ভর্তি করা হয়। আবার কোথাও সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়। যেসব শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না তারাই স্থান পায় পাড়া-মহল্লার ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এসব প্রতিষ্ঠান কোনোটি গড়ে উঠেছে ফ্ল্যাট বাড়িতে। কয়েক কক্ষের স্কুল। ভাড়া করা ভবন। নেই খেলার মাঠ। এসেম্বলির জন্য জায়গা নেই। এমন প্রতিষ্ঠান থেকেই রাজধানীর শিশুরা তাদের প্রথম পাঠ নিচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে এই শিক্ষার্থীরা পরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অসম প্রতিযোগিতায় পড়ছে।  শুরুতেই বলেছিলাম বৈষম্যের কথা। একটি দেশের রাজধানী শহরে প্রাথমিক শিক্ষার এই বৈষম্যের বিষয়টি নিয়ে ভাববার হয়তো কেউ নেই। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে বহুবার উঠে এসেছে এই বৈষম্যের তথ্য। সর্বশেষ একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, এই নগর এলাকায় আরও সাড়ে চার শ’ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রয়োজন বা ঘাটতি রয়েছে।

 এই যে সাড়ে চার শ’ স্কুলের ঘাটতির কথা হচ্ছে এই ঘাটতি আসলে পূরণ হচ্ছে কীভাবে? এই যে পাড়া-মহল্লার স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা। এ কারণে হয়তো চাহিদার বিষয়টি সামনে আসছে না।  ঢাকার প্রাথমিক শিক্ষা কতোটা বৈষম্যের শিকার তা অনেকটা ফুটে উঠেছে সর্বশেষ শিক্ষক নিয়োগের পরিসংখ্যানে। জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায় অনেক জেলায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’ জন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর এবং ঢাকা জেলায়  নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত হয়েছেন ৪৬৫ জন। ঢাকা মহানগর এবং জেলার জনসংখ্যার অনুপাতে এই সংখ্যাটি নেহায়েত কম। বিদ্যালয়ের শূন্য পদের চাহিদার ভিত্তিতে এই নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এমনটি হতে পারে ঢাকায় যেসব স্কুল আছে সেখানে নতুন বেশি শিক্ষকের প্রয়োজন নেই। কারণ ঢাকার বাইরে থেকে অনেকে ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন নানা কারণে।  সমপ্রতি পাস হওয়া ঢাকা মহানগর এলাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি তিন হাজার মানুষের বিপরীতে একটি এবং কেরানীগঞ্জ ও সাভার উপজেলার মতো এলাকায় প্রতি এক হাজার জনের বিপরীতে একটি এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোর মতো এলাকায় প্রতি দুই হাজার মানুষের জন্য একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রয়োজন। 

 

 

প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির আয়তন হতে হবে দেড় একর। বিদ্যালয়ে আবশ্যিকভাবে মাঠও রাখতে হবে। ড্যাপের জরিপে দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ রাজধানীতে মোট স্কুলের চাহিদা দাঁড়াবে ১ হাজার ৩৮৯টিতে। তখন ৬২৭টি বাড়তি স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হবে। এটি তো হলো পরিকল্পনার বিষয়। কিন্তু বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে এখন কী হচ্ছে? আদতে কিছুই না। কেউ এ নিয়ে ভাবছেন বলেও মনে হচ্ছে না। রাজধানীর বাসিন্দাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা, নিরাপত্তাসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা দেয়ার জন্য সরকারি নানা সংস্থা কাজ করছে। সিটি করপোরেশন এর বড় স্টেকহোল্ডার। কিন্তু এই নগরে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সমন্বিত কোনো কর্তৃপক্ষ থেকে। সারা দেশে যেভাবে চলছে এখানেও সেভাবে হচ্ছে। ঢাকার বাইরে অন্য এলাকার প্রেক্ষাপট কিন্তু ভিন্ন। জেলা- উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এখনো সাধারণ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার মূল চাহিদা মেটাচ্ছে। এসব স্কুলে ওই এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সন্তানেরা পড়াশোনা করছে। তাই সেখানে সবার নজরদারিও আছে। আছে প্রতিযোগিতা। জেলা-উপজেলায় ঢাকার মতো বারোয়ারি শিক্ষা যে নেই তা কিন্তু নয়।

 এসব থাকার পরও অভিভাবকদের মূল ভরসার জায়গা কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানেই শিশুরা তাদের জীবনের প্রথম পাঠ নিচ্ছে। সরকারি নানা প্রকল্পে গ্রামের স্কুলগুলোও এখন দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠছে। বহুতল ভবন হচ্ছে। খেলার মাঠ, ওয়াশ ব্লক করে দেয়া হয়েছে। সেখানে শিশুরা ন্যূনতম হলেও শিক্ষার পরিবেশ পাচ্ছে। কিন্তু রাজধানীতে অপর্যাপ্ত হলেও যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে সেখানকার পরিবেশ নিয়ে হয়তো কেউ ভাবেন না। দেখা যাচ্ছে বিদ্যালয় আছে, ভবন আছে। কিন্তু এর সীমানা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বহুতল অট্টালিকা। সেখানে যারা থাকছেন তাদের ছেলেমেয়েরা হয়তো এই স্কুলে পড়ে না। বিরাট বিরাট ভবনের কারণে সরকারি স্কুলটির শিশুরা হয়তো ঠিকমতো আলো বাতাসও পাচ্ছে না। অথচ এই আলো-বাতাসের বিষয়টিও শিশু শিক্ষার্থীদের মানসপট বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে দেয়া নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খানের একটি উদ্ধৃতি এখানে প্রাসঙ্গিক। তার মতে, কোনো এলাকার পরিকল্পনা করলে আমরা সবার আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিন্তা করি। কারণ, এর সংখ্যায় ঘাটতি হলে বেসরকারি উদ্যোগে ছোট ছোট ঘরে অথবা শুধু একটি ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে ওঠে যা কোনোভাবেই মানসম্মত নয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। ঢাকায় পাড়া-মহল্লার ছোট প্রতিষ্ঠান বা সরকারি প্রাথমিক সবখানেই যে এই শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পরিবেশের ঘাটতি রয়েছে এটি বলার আর অপেক্ষা রাখে না।   এই পরিবেশের পাশাপাশি মানুষের সামর্থ্যের বিষয় একটি বিবেচ্য ইস্যু। 

ঢাকা শহরে যারা বসবাস করেন তাদের অর্ধেকের বেশি অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িত। তাদের অনেকের সামর্থ্য নেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সন্তানের পড়াশোনার খরচ যোগানোর। এই শ্রেণির মানুষরা আসলে সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবেন। তাদের জন্যই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো, সুযোগ সৃষ্টি এবং পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।  প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে ড্যাপ সর্বশেষ যে প্রস্তাব দিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ঢাকায় যত বিদ্যালয়ের চাহিদা তৈরি হবে, তার ৮০ শতাংশ সরকারি উদ্যোগে নির্মাণ করতে হবে। এর লক্ষ্য শিক্ষা সর্বস্তরের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী করা। এ জন্য ড্যাপে বিদ্যালয়ভিত্তিক অঞ্চলের ধারণা যুক্ত করা হয়েছে। এতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী হাঁটা দূরত্বে ৬২৭টি অতিরিক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুনভাবে নির্মিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে বলা হয়েছে ড্যাপের প্রস্তাবে। এ ছাড়া ঢাকায় ‘মানসম্মত’ হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য এলাকায় শাখা খোলারও সুপারিশ করা হয়েছে ড্যাপের প্রস্তাবে। ২০২৫ সালের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন বলে ড্যাপ সংশ্লিষ্টরা বলছেন। এই টাকার অঙ্ক বিপুল হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা এবং শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য এই বিনিয়োগ খুবই জরুরি। বরং অবকাঠামো খাতে লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের চেয়েও এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

 ড্যাপ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একসঙ্গে এই বিনিয়োগ না করেও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে। সরকার যদি প্রতি বছর দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে তাহলে ২০৩৫ সাল নাগাদ স্কুলের এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। তাই সময়ক্ষেপণ না করে রাজধানীতে বসবাসকারী লাখ লাখ শিশুর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ড্যাপের এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি বারোয়ারি প্রতিষ্ঠানে তদারকি বাড়াতে হবে। মান নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এই তদারকির দায় কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনের। বলতে দ্বিধা নেই, ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই বিপুলসংখ্যক এমন প্রতিষ্ঠান তদারকির সক্ষমতা রাখে না। শিক্ষা প্রশাসনের এই তদারকি বাড়ানোর সক্ষমতা বাড়ানোও সময়ের দাবি।  

লেখক: মানবজমিন-এর নগর সম্পাদক ও প্রধান প্রতিবেদক  

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status