বিশ্বজমিন
ইউরোপে গমের দামে নতুন রেকর্ড
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৬ মে ২০২২, সোমবার, ৭:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২১ পূর্বাহ্ন

গমের দাম গতকাল সোমবার নতুন রেকর্ড গড়েছে। এদিন ইউরোপিয়ান মার্কেট খোলার পর পরই প্রতি টন গমের দাম লাফিয়ে ওঠে ৪৩৫ ইউরো বা ৪৫৩ ডলার। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, কৃষির পাওয়ারহাউজ বলে পরিচিত ইউক্রেনে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এর ফলে গমের সরবরাহ চেইনে টান পড়েছে। বৈশ্বিক চাহিদার শতকরা ১২ ভাগ গম রপ্তানি করে ইউক্রেন। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এবার তাদের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ ছাড়া গম উৎপাদনের জন্য যে সার লাগে তার মারাত্মক ঘাটতি দেখা দেয়। গম মাড়াইয়ে নাজুক অবস্থা। এ ছাড়া বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে।
বিশ্বে গমের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎপাদনকারী ভারত। তারা শনিবার জানিয়ে দিয়েছে মার্চে তীব্র তাপদাহের কারণে উৎপাদন কম হবে। ফলে ভারত গম ও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে। নয়া দিল্লি বলেছে, একদিকে উৎপাদন কমে যাওয়া অন্যদিকে বৈশ্বিকভাবে দ্রুততার সঙ্গে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তারা তাদের নিজেদের ১৪০ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় ১৩ই মের আগে যেসব রপ্তানি চুক্তি হয়েছে সেগুলো হয়তো রক্ষা করা যাবে। কিন্তু ভবিষ্যত শিপমেন্টের জন্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। অন্য দেশের সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা মেটাতে তাদের অনুরোধ যদি নয়া দিল্লি অনুমোদন করে তবেই রপ্তানি করা হতে পারে।
ভারতকে বলা হয় বড় রকমের বাফার স্টোক। তারা এর আগে বলেছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যদি সরবরাহে ঘাটতি পড়ে তাহলে তা পূরণে তারা সহায়তা করতে প্রস্তুত। কিন্তু রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ায় এর বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছে ৭টি শিল্পসমৃদ্ধ দেশ। তারা বলেছে, এমন পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে নিত্যপণ্যের যে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সঙ্কটকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
পাঠকের মতামত
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মাথায় বোধহয় গণ্ডগোল আছে। লোকটা বলছে তার দেশ নাকি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নিয়মিত সৈন্য সংখ্যা ১০ লাখ, তার মধ্যে ইউক্রেনে মোাতায়েন করেছে ২ লাখ। আর ইতোমধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের বেশকিছু ক্রিম অন্চল দখল করে নিয়েছে - এর অন্যতম হলো মারিয়াপোল যার ফলে পুরো আজব সাগর রাশিয়ার একক দখলে চলে গেল। মারিয়াপোল থেকে খেরসন অন্চল রাশিয়ার দখলে যাওয়ায় ইউক্রেনের কত বিশাল খতি হলো এ ধারণা মনেহয় ক্লাউনমার্কা জেলেনস্কির নেই। আর সামনে যদি ওদেশা বন্দরও হাতছাড়া হয় তাহলে ইউক্রেন ভূমিবেষ্টিত একটা দেশে পরিনত হবে। জেলেনস্কির উচিত যুদ্ধ শেষ করার জ্ন্য মুরব্বি বাদ দিয়ে নিজের প্রচেষ্টা জোরদার করা। ইউক্রেন ও রাশিয়ার গম রাপ্তানি বন্ধ হলে পৃথিবীর খাদ্য সংকট বৃদ্ধি পাবে। লোকটা সর্বখন অস্ত্র অস্ত্র করে চিল্লা চিল্লি করছে। তার বোধোদয় হওয়া প্রয়োজন।
গমের সরবরাহ চেইনে টান পড়েছে। --তাতে পশ্চিমা নেতাদের কিছু আসে যায় না! রাশিয়ার সামরিক শক্তি খর্ব করতে হবে এটাই উদ্দেশ্য। রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্যাংশন চালিয়ে যেতে হবে! ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায্য দিতে হবে , রাশিয়াকে পঙ্গ(?) করার জন্য! যুদ্ধ যাতে বন্ধ না হয়, যুদ্ধ বন্ধ হলে সেটা সম্ভব নয়!(Wheat supply chain is tight--- It does not matter to the western leaders! The only purpose is to reduce Russia's military might. Sanctions against Russia must continue! Ukraine must be provided with arms, to cripple(?) Russia, so that the war does not end. If the war is over, then it is not possible)!