ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

অদ্ভুত ভিউকার্ড ম্যারাডোনাহীন বিশ্বকাপ এবং মেসি ম্যাজিক

মোহাম্মদ আবুল হোসেন
২২ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
mzamin

সালটা ১৯৮৬। গ্রামের হাটবাজার অদ্ভুত এক ভিউকার্ডে সয়লাব। বিভিন্ন ভঙ্গিতে একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের ছবি। কোনোটিতে কাপ হাতে একক ছবি। কোনোটিতে দলবদ্ধ। আবার কোনোটিতে তার গোলকিকের ছবি। এক টাকা দামে বিক্রি হচ্ছিল এসব ভিউকার্ড। ধুমছে বিক্রি হয় সেই ভিউকার্ড। গ্রামের এমন কোনো দোকান ছিল না, যেখানে এসব ভিউকার্ডের স্তূপ ছিল না। প্রদর্শন করা হচ্ছিল ঝুলিয়ে।

বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন ভঙ্গিতে। তা কিনতে গ্রামের টিনেজারদের সে কী ভিড়! একই অবস্থা জেলা শহরগুলোতেও। তা দেখে লেখার খাতার প্রচ্ছদ করা হয় সেই ফুটবলারের ছবি দিয়ে। ওই সময় সবাই জানতো গ্রামে গ্রামে, স্কুলে ফুটবল খেলা হয়। ফুটবলের যে বিশ্বকাপ হয়, তা গ্রামের খুব কম মানুষেরই জানা ছিল। এর কারণও ছিল। গ্রাম ছিল বলা চলে অন্ধকারে। কোনো পত্রপত্রিকা যেতো না। ছিল না বিদ্যুৎ। ছিল না কোনো টেলিভিশন। জেলা শহরের বাইরে খবরের কাগজ ছিল না বললেই চলে। কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি শহরে গেলে তবেই রুচিশীলরা একখানা পত্রিকা হাতে নিয়ে ফিরে যেতেন। তা যে সবাই করতেন তেমন না। হাতেগোনা দু’চারজন। এই পত্রিকা পড়তেন হয়তো তিনি। কিছু জানতেন। অন্যরা খবর সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তাই বাইরের দুনিয়ার কোথায় কি হচ্ছে, কি ঘটছে, কি ইভেন্ট কবে- তা গ্রামের সাধারণ মানুষের জানার কোনো উপায় ছিল না। 

ওই সময় বাজারে বাজারে অলিতে গলিতে আলোচনা- ভিউকার্ডের এই যুবক কে? তাকে নিয়ে এত ভিউকার্ড কেন? আলোচনায় বেরিয়ে আসে তার নাম ম্যারাডোনা। বাড়ি আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে নিজের দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। তাকে বলা হচ্ছে ফুটবলের সোনার ছেলে। ফুটবলের রাজা। ইত্যাদি ইত্যাদি। 
বলতে দ্বিধা নেই, সেই ঝোঁকে দলবেঁধে বেশ কিছু ভিউকার্ড কিনে ফেলি আমিও। কাছে কাছে রাখি। সারাবিশ্বে নিজের দেশের নাম ফুটিয়েছেন ম্যারাডোনা। তিনি স্বর্ণের ফুটবল জিতেছেন। আস্তে আস্তে চোখের পর্দা খুলে যেতে থাকে। চিনতে থাকি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। আসলেই তো, এর আগে অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম নেয়া এই আমি না জানতাম-চিনতাম ম্যারাডোনাকে, না জানতাম আর্জেন্টিনাকে। এই একজন মাত্র মানুষ তার দেশের নাম পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্ব দরবারে। বিশ্বের এমন কোনো দেশ সম্ভবত এখন নেই, যারা আর্জেন্টিনার নাম জানেন না। কে এই পরিচয় করিয়েছে? এমন প্রশ্নের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় নাম দিয়েগো ম্যারাডোনা। বাঙালি আবেগি বলে একটা পরিচিতি আছে। ম্যারাডোনার সেই জয়, সেই খেলা তখন তারা না দেখলেও আবেগের বশে তাকে ভালোবেসে ফেলেন। ফলে তার প্রতি বাংলার ঘরে ঘরে সৃষ্টি হয় আলাদা এক সহানুভূতি, ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা যেন কাঁঠালের আঠার মতো। একবার বাঙালিরা যাকে ভালোবাসে, তাকে চিরদিন মনে রাখে। বাঙালিদের মনে সৃষ্টি হয়ে যায় ফুটবলের এই জাদুকরের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ। শুধু কি বাংলাদেশ? না, তার এই দ্যূতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তাইতো বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন হতেই বাংলার গ্রামে-গঞ্জে, হাটে, মাঠে, শহরে- সর্বত্র উড়তে থাকে নীল-সাদা পতাকা। এটা আর্জেন্টিনার প্রতি নিজের দেশের চেয়ে বেশি ভালোবাসার প্রকাশ নয়। এই পতাকা উড়ানোর মধ্যদিয়ে ভক্তরা স্মরণ করেন দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। তিনি যে নৈপুণ্য উপহার দিয়ে গেছেন, তাকে স্মরণ করেন। শুধু এই কারণে এসব ভক্তের মধ্যে ম্যারাডোনার প্রতি, আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা। তার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছেন ফুটবলের আরেক বিস্ময় লিওনেল মেসি। তিনি বার্সেলোনা, পিএসজিতে দু’পায়ের যে জাদু দেখিয়েছেন, কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন- তাতে তারও ভক্ত বেড়েছে সমানতালে। তাকে তুলনা করা হয় ম্যারাডোনার সঙ্গে। ম্যারাডোনা তাই স্বীকার করে গেছেন- আমার উত্তরসূরি হবেন মেসি। এই স্বীকারোক্তি গুরুর এই আশীর্বাণী মেসির প্রতি, আর্জেন্টিনার প্রতি বিশ্ববাসীর ভালোবাসাকে বৃদ্ধি করেছে জ্যামিতিক হারে।  
 

ফ্লাশব্যাক ১৯৮৬
১৯৮৬ সালে ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় মেক্সিকোতে। তাতে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন ম্যারাডোনা। দিনটি ছিল ২৯শে জুন। এর আগের ম্যাচগুলোতে ম্যারাডোনা যেন বারুদের মতো জ্বলছিলেন। তার ছোটখাটো আকারের দেহের কারণে একের পর এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ছুটে চলা- সে এক অন্য ছন্দ, অন্য মাত্রার কবিতা। তার সেই কাব্যিক ফুটবল দেখতে সেদিন মাঠে যেমন দর্শকে পূর্ণ, তেমনি বিশ্বের যেখানে যেখানে টেলিভিশনে খেলা দেখার সুযোগ ছিল, সেখানেও টিভির সামনে মানুষের ঢল। সেই খেলায় তখনকার পশ্চিম জার্মানিকে ২-১ গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ব্যস, ম্যারাডোনা বিদ্যুৎবেগে ছড়িয়ে পড়েন বিশ্বজুড়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে। এই বিশ্বকাপের পুরো আসরে ম্যারাডোনা আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছেন। তিনি ছিলেন সবচেয়ে প্রগতিশীল খেলোয়াড়। আর্জেন্টিনার প্রতিটি খেলার প্রতিটি মিনিট তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। ফলে তিনি ৫টি গোল করেন। ৫টি অ্যাসিস্ট করেন। 

মেক্সিকো সিটির অলিম্পিক বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ছিল তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ। তাতে তিন গোল করেন ম্যারাডোনা। পুয়েবলায় অনুষ্ঠিত ইতালির বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যারাডোনা এই প্রতিযোগিতার প্রথম গোলটি করেছিলেন। পুয়েবলায় অনুষ্ঠিত প্রথম নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনা উরুগুয়েকে পরাজিত করে। ফলে তারা মেক্সিকো সিটির আসতেকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। সেখানে ম্যারাডোনা দুটি ঐতিহাসিক গোল করেছিলেন। এর জন্য তিনি হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি। তার প্রথম গোল নিয়ে আছে বিস্তর বিতর্ক। বলা হয়, তিনি হাত দিয়ে দিয়েছিলেন ওই গোল। পরে ম্যারাডোনা একে বলেছেন- হ্যান্ডস অব গড। বিতর্ক যা-ই থাকুক, ওই গোল এবং দ্বিতীয় গোল তাকে দিয়েছে অপার সুনাম। এ সম্পর্কে ফরাসি সংবাদপত্র লেকুইপে ম্যারাডোনাকে ‘অর্ধ-দেবদূত, অর্ধ-শয়তান’ হিসেবে বর্ণনা করে। এই খেলাটিকে আর্জেন্টিনা ও বৃটেনের মধ্যকার ফকল্যান্ড যুদ্ধের পটভূমি হিসেবে মনে করা হয়। প্রথম গোলটি নিয়ে রিভিউ করা হয় পরে। তাতে দেখা যায়, প্রথম গোলের পূর্বে বলে ম্যারাডোনার হাত স্পর্শ করেছিল। কিন্তু ম্যারাডোনা প্রথমে তা অস্বীকার করেন। তিনি এটিকে ‘ম্যারাডোনার মাথা হতে একটু এবং ঈশ্বরের হাত হতে একটু’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এটি পরবর্তীতে ঈশ্বরের হাত নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ২২শে আগস্ট টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ম্যারাডোনা স্বীকার করেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দ্বারা বলে আঘাত করেন এবং বলটি তার মাথা স্পর্শ করেনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে এ বিষয়। ইংরেজ খেলোয়াড়দের বিরোধিতা সত্ত্বেও রেফারি ওই গোলকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন।

হাত দিয়ে করা বিতর্কিত গোলের মাত্র চার মিনিট পর ফিফার ভক্তগণ ম্যারাডোনার করা দ্বিতীয় গোলকে ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ গোল হিসেবে ভোট দিয়েছেন। তিনি বলটি দখলে নিয়ে তাতে ১১ বার স্পর্শ করে ড্রিবলিংয়ের মাধ্যমে ৫ জন ইংরেজ খেলোয়াড়কে (পিটার বেয়ার্ডসলি, স্টিভ হজ, পিটার রেইড, টেরি বুচার এবং টেরি ফেনউইক) অতিক্রম করে মাঠের দৈর্ঘ্যের অর্ধেকেরও বেশি অতিক্রম করে গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে পেছনে ফেলে জালে জড়িয়ে দেন। ফিফা পরিচালিত ২০০২ সালের এক অনলাইন জরিপে এই গোলটি শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে সর্বাধিক ভোট পায়। যুক্তরাজ্যের ২০০২ সালের চ্যানেল ৪-এর এক জরিপে, এই গোলটি ১০০টি সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে।

ম্যারাডোনাহীন বিশ্বকাপ
সেই ম্যারাডোনা তারপর আরও কয়েকটি বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু ছুঁই ছুঁই করে তার দল বিশ্বকাপটা আর ছুঁতে পারেনি। ১৯৯০-এ ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা ও পশ্চিম জার্মানি। এই খেলায় জার্মানির কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয় আর্জেন্টিনা। সেই পরাজয়ের পর ম্যারাডোনার কান্না এখনো ভক্তদের হৃদয়কে আবেগে আপ্লুত করে। তারপরও আর্জেন্টিনা কয়েকটি বিশ্বকাপ খেলেছে। একই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে তাদের। এতদিন ম্যারাডোনা দলের হয়ে না খেললেও তিনি মাঠে বসে দলীয় খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়েছেন। যেন, তাদের দেবদূত মাঠে বসে আশীর্বাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু সেই দেবদূত ২০২০ সালের ২৫শে ডিসেম্বর মারা যান। বলা চলে তার আগে খ্যাতির বিড়ম্বনায় ম্যারাডোনা ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেননি। তিনি মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন। সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে যান। ১৯৯১ সালে ইতালিতে মাদক পরীক্ষায় কোকেনের জন্য ধরা পড়ায় তাকে ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপে ইফিড্রিন পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফলের জন্য তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেয়া হয়। ২০০৫ সালে তিনি কোকেন নেশা ত্যাগ করেন। তার কড়া রীতির জন্য সাংবাদিক-ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ এবং তার মধ্যে বেশ কিছু সময় মতভেদের সৃষ্টি হয়। ব্যক্তি ম্যারাডোনা আর ফুটবল তারকা ম্যারাডোনা পুরো আলাদা। এখনো তাকে যারা ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন- সেটা তার ফুটবলার ম্যারাডোনা খ্যাতির জন্য। এর সঙ্গে ব্যক্তিত্বের যোগ থাকলেও থাকতে পারে। 

মেসি ম্যাজিকের অপেক্ষা
লিওনেল মেসি টানা চারবারসহ মোট সাতবার ব্যালন ডি’অর জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, যা ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর পাশাপাশি তিনি সর্বোচ্চ ছয়বার ইউরোপীয় সোনালী জুতো বা গোল্ডেন বুট জয়েরও কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তার পেশাদার ফুটবল জীবনের পুরোটাই কেটেছে বার্সেলোনায়। সেখানে তিনি ১০টি লা লিগা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং ৬টি কোপা দেল রেসহ মোট ৩৩টি শিরোপা জয় করেছেন, যা বার্সেলোনার ইতিহাসে কোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে সর্বোচ্চ। এ ছাড়াও একজন অসাধারণ গোলদাতা হিসেবে মেসির দখলে রয়েছে লা লিগায় সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল (৪৪০)। লা লিগা ও ইউরোপের যেকোনো লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৫০)। ইউরোপে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৭৩)। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল (৯১)। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল (২৬) এবং লা লিগা (৩৪) ও চ্যাম্পিয়নস লিগে (৮) সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব। পাশাপাশি মেসি একজন সৃষ্টিশীল প্লেমেকার হিসেবেও পরিচিত। তিনি লা লিগা (১৮৩) এবং কোপা আমেরিকার (১২) ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাকারীর কৃতিত্বেরও মালিক। জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে তিনি ৭০০ এর অধিক পেশাদার গোল করেছেন। দলকে বার বার নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পরাজিত হয়েছেন। স্বপ্ন থেকে গেছে অধরা। বস দিয়েগো ম্যারাডোনা তাকে উৎসাহ দিয়েছেন। নিজেকে দেখতে পেয়েছেন তার মধ্যে। এবারই প্রথম ম্যারাডোনাহীন বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন মেসিরা। দেবদূত কি ওপার থেকে আশীর্বাদ জানিয়ে তাদেরকে পৌঁছে দেবেন ফাইনালে! এবার কি কাপ উঠবে মেসির হাতে! মেসি ম্যাজিকে কাঁপবে বিশ্ব! যদি তাই হয়, তাহলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করবেন। তার যে এত আলোকিত ক্যারিয়ার- তার পূর্ণতা পাবে। তিনি হয়ে উঠবেন ম্যারাডোনা পরবর্তী যুগের নতুন বিস্ময়। বুধবার অর্থাৎ ১৬ই নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে মেসি তার ঝলক দেখিয়েছেন। অ্যাসিস্ট করেছেন। নিজে গোল করেছেন। বাকি পথটা পাড়ি দিতে পারলেই হলো।
 

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status