শ্রীলঙ্কায় গ্যাস নেই, তাই খাবারও নেই

গ্যাস নেই। তাই চুলো জ্বলছে না। ফলে পেটে খাবার নেই। এমন অবস্থায় শুক্রবার রাতে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর স্লেভ আইল্যান্ড পুলশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন একদল মানুষ। একদিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট। তার ওপর গ্যাস না থাকায় এসব মানুষের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে। তাতে দেখানো হয়েছে একদল মানুষ খালি এলপিজি সিলিন্ডার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাতে অংশ নেয়া একজন বলেছেন, আমাদের কোনো গ্যাস সরবরাহ নেই। তাই খাবারও নেই।

আগের রাত থেকে আমরা এখানে অবস্থান করছি। আমাদেরকে এখন বলা হচ্ছে গ্যাস নেই। দুই মাস ধরে আমরা গ্যাস পাই না। 

শনিবার ১২ ঘন্টার জন্য শ্রীলঙ্কা সরকার কারফিউ প্রত্যাহার করেছে। কঠোর বিধিনিষেধকে আরও শিথিল করা হয়েছে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রণিল বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব নেয়ার পর। ওদিকে এ পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে এবং প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধীরা ও সাধারণ জনতা বিক্ষোভ করছেন। তাদের বিক্ষোভের মুখে সদ্য পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে। পরে তিনি সরকারি বাসভবন থেকে জনরোষের মুখে পালিয়ে যান। প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহেকে। সহিংসতার প্রেক্ষিতে সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে। কিন্তু আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে কারফিউ শিথিল করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই কারফিউ অল্প সময়ের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল।