বিশ্বজমিন
পাকিস্তান এয়ারলাইন্স কিনতে সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপ
মানবজমিন ডেস্ক
(৭ ঘন্টা আগে) ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১:৫৮ অপরাহ্ন

বিক্রি বা অধিগ্রহণ হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)। দেশটির প্রাইভেটাইজেশন কমিশন বোর্ড দেশীয় চারটি কোম্পানিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন লোকসানগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পিআইএ’কে অধিগ্রহণের জন্য বিডিংয়ের উপযোগী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে তিনটিই সিমেন্ট শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। নিউইয়র্কে অবস্থিত রুজভেল্ট হোটেল বিক্রির প্রক্রিয়াও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। মন্ত্রিসভার প্রাইভেটাইজেশন সংক্রান্ত কমিটি (সিসিওপি) হোটেলটি যৌথ মালিকানায় পরিচালনা করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এই প্রস্তাবটি মূলত এক বছর আগেই আর্থিক উপদেষ্টা দিয়েছিলেন। তবে তৎকালীন সরকার তা উপেক্ষা করে। মঙ্গলবারের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার।
প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিম্নোক্ত চারটি পক্ষকে বিডের জন্য উপযুক্ত হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়- লাকি সিমেন্ট, হাব পাওয়ার হোল্ডিংস, কোহাট সিমেন্ট ও মেট্রো ভেঞ্চারস-এর সমন্বয়ে তৈরি কনসোর্টিয়াম। দ্বিতীয় কনসোর্টিয়ামে আছে আরিফ হাবিব কর্পোরেশন, ফাতিমা ফার্টিলাইজার, সিটি স্কুলস ও লেক সিটি হোল্ডিংস। আরও আছে ফৌজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি (ফৌজি ফাউন্ডেশনের মালিকানাধীন)। এয়ারব্লু (প্রাইভেট) লিমিটেড, একমাত্র কোম্পানি যারা নিজেই একটি এয়ারলাইন চালায়। এর বিপরীতে অগমেন্ট সিকিউরিটিজ, সেরিন এয়ার, বাহরিয়া ফাউন্ডেশন, মেগা সিএন্ডএস ও ইকুইটাস ক্যাপিটাল-এর কনসোর্টিয়াম বিডিংয়ের জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়নি।
এর আগের চেষ্টায় সরকার পিআইএ বিক্রির ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করেছিল ৮৫.০৩ বিলিয়ন রুপি। তাতে পিআইএর আর্থিক ঘাটতি ছিল ৪৫ বিলিয়ন রুপি। এবার সরকারের উদ্যোগ হচ্ছে কিছু ঋণ বাদ দিয়ে ভারসাম্যপত্রকে (ব্যালান্স শিট) হালকা করা, যাতে ন্যূনতম মূল্য বৃদ্ধি পায়।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই পিআইএর বিডিং হতে পারে। তবে রুজভেল্ট হোটেল বিক্রি নয়, যৌথ মালিকানায় পরিচালনা করা হবে। নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক রুজভেল্ট হোটেল বিক্রির জন্য তিনটি বিকল্প মূল্যায়ন করা হয়েছে। তা হলো- সম্পূর্ণ বিক্রি, যৌথ মালিকানা, দীর্ঘমেয়াদি লিজ। এই তিনটির মধ্যে যৌথ মালিকানা পদ্ধতিকে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক বিবেচনা করে তা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে পাকিস্তানের জন্য দীর্ঘমেয়াদে আয় নিশ্চিত করার সুযোগ থাকবে এবং সরকারের আর্থিক দায় কমবে।
এই যৌথ মালিকানা কাঠামো অনুযায়ী পাকিস্তান জমির মূল্য হিসেবে তাদের অংশীদারিত্ব দেবে, পুরো প্রকল্পের ভবিষ্যৎ মূল্য অনুযায়ী জমির মূল্য নির্ধারণ করা হবে, উন্নয়ন সহযোগী দুই দফায় অগ্রিম অর্থ প্রদান করবে, ২০২৭ সালের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে। উল্লেখ্য, এই চুক্তির আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জোনস ল্যাং লাসাল আমেরিকাকে দেয়া হয়েছে ২.২ বিলিয়ন রুপি ফি।
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশ বিমানের কী খবর?
পাকিস্তানের অর্থনীতি এত খারাপের দিকে যাচেছ কেন?????