বিশ্বজমিন
শীর্ষ তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইসিসির
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ ঘন্টা আগে) ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ২:৩৪ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) মঙ্গলবার তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ- বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের উপর লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়ে বলছে আদালতের বিচারকরা জানান, আফগানিস্তানে তালেবান সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানি নারীদের বিরুদ্ধে অব্যাহত নিপীড়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আদালত বলেছে, যদিও তালেবান পুরো জনগণের উপরই বিভিন্ন বিধিনিষেধ চাপিয়েছে, তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে টার্গেট করেছে- শুধু নারী হওয়ার কারণে। এর মাধ্যমে তারা তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে।
বিচারকরা আরও বলেন, তালেবান নারীদের শিক্ষা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, পারিবারিক জীবন, চলাফেরায় স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তা, বিবেক ও ধর্ম পালনের অধিকার কঠোরভাবে হরণ করেছে। এছাড়াও যেসব মানুষ লিঙ্গ পরিচয়ের দিক থেকে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে অমিল, তারাও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। আলোচ্য অপরাধসমূহের সময়কাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট (যেদিন তালেবান ক্ষমতা দখল করে) থেকে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তালেবানরা যেসব বিধিনিষেধ দিয়েছে তার মধ্যে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা নিষিদ্ধ। এনজিও ও অন্যান্য সংস্থায় নারীদের কাজ নিষিদ্ধ। সরকারি চাকরি থেকেও বহিষ্কার। সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্র, পার্ক, ব্যায়ামাগার নারীদের জন্য বন্ধ। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া দূরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ। নারীদের প্রকাশ্যে গান গাওয়া, কবিতা আবৃত্তি, কণ্ঠস্বর ও দেহের প্রকাশ নিষিদ্ধ।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন। তিনি বলেন আফগান নারীরা, কিশোরীরা এবং এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায় অতুলনীয় ও নিষ্ঠুর নিপীড়নের শিকার, যা তালেবানের নীতির ফল। তিনি জানান, আরও তালেবান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
পাঠকের মতামত
আফগান সম্পর্কে জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক আদালতের কথা বলার কোন অধিকার ই নাই। আফগান সম্পর্কে কথা বলার আগে আমেরিকা ও ইসরাইলের বিশ্ব ব্যাপী খুনের বিচার করতে হবে। হাজার হাজার মুসলিমকে পাইকারি হরে খুন করে চলেছে যাদের বেশির ভাগ ই নারী ও শিশু। সে সম্পর্কে কোন কথাই বলছে না ICC। এদের কারণেই আমেরিকা ও ইসরাইল বিশ্বে বড় সন্ত্রাসী করে বেড়াচ্ছে। যাদের কোন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। আফগানরা তাদের দেশে কি আইন করলো না করলো সেটা তাদের অভ্যান্তরিন বিষয়। সেখানে তোমাদের নাক গলানোর কিছু নাই।
ক্ষমতা থাকলে আক্রমণ করে দেখা!!! দূর থেকে কথা কো
ক্ষমতা থাকলে আফগান
আইসিসি ইসরাইলের সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু কে দেখে না। ৭৫ হাজার নিরপরাধ মানুষ মেরে ফেল্ল। এখনও মারছে। এর বিরোদ্ধে গ্ৰেফতারী পরোয়ানা জারি করুক।
আইসিসি হলো পশ্চিমা দালাল।
এটা তামাশা, নিন্দা জানাই এ আদালতের
তালেবান কি করল আর কি করল না এটা নিয়ে তোদের মাথা ব্যাথা ইসরাইল পৃথিবীর ১ ম সন্ত্রাসী এটা তোদের খবর নাই। তোমরা যারা তালেবান কে খারাপ ভাবছ হয় তোমরা পাগল, না হয় তোমরা ও ইসরায়েলের মত সন্ত্রাসী
ইজরাইল প্যালেস্টাইনে ৫৬ হাজার মানুষ মেরেছে যার অধিকাংশই নারী ও শিশু আহত হয়েছে কয়েক লাখ - সেইগুলির বিচার আগে হউক ।
আইসিসির এসব ফালতু তামসা বাদ দিয়ে নেতানিয়াহু রং একটা লোম ছেড়ারে চেষ্টা করা। পারে কিনা?