ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারত

অমিতের জীবন থেকে হয়তো চিরতরে হারিয়ে গেল রেনু?

বিশেষ সংবাদদাতা

(১ বছর আগে) ১৩ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

প্রতীকী ছবি

এ এক অমিত কুমার রেণুর জীবন কাহিনী। স্বপ্ন বুকে নিয়ে ঘর বেঁধেছিলো দুজন। কিন্তু, তাদের স্বপ্ন ভেঙে খানখান করে দিলো রাষ্ট্র। অপরাধ? অমিত দলিত পুত্র আর রেনু ব্রাহ্মণকন্যা। দলিত আর ব্রাহ্মণের প্রেমপর্বটি পুরোনো। দুজনের বাড়ি ঝাড়খন্ডের গার ওহাতে। বলা হয়ে থাকে বাল্য প্রণয়ে নাকি অভিশাপ থাকে। অমিত-রেণুর জীবনে তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর অমিত রেনুকে শাস্ত্র মতে বিয়ে করে দেরাদুনের এক মন্দিরে। তারপর দলিত পুত্র আর ব্রাহ্মণ কন্যা তাদের বিয়েটি রেজিস্ট্রার ডেকে নথিভুক্ত করে নেয়।

বিজ্ঞাপন
তারা সংসার পাতে অমিতের কর্মস্থল  হিমাচল প্রদেশের পাওনিতা সাহিব নামের একটি জায়গায়। ছিমছাম স্বামী-স্ত্রীর সংসার। অমিত কারখানা থেকে বেরোনোর আগে রেনুকে ফোন করে দিতো। রেনু কেটলিতে চায়ের জল চাপিয়ে অপেক্ষা করতো স্বামীর। পাখির পালকের মতো দিনগুলি উড়ে যাচ্ছিলো। তারপর এল সেই ২০২১ সালের ১৩ই আগস্টের অভিশপ্ত দিন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একদল লোক এসে জোর করে তুলে নিয়ে গেল রেনুকে। কোনও ওজর আপত্তি খাটলো না অমিতের। অপহরণ, অন্যায়ভাবে আটকে রাখার অভিযোগ অমিতের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণ কন্যাকে আটকে রেখেছে দলিত? উত্তরপ্রদেশের চিরন্তন ব্রাহ্মণ অস্মিতা জেগে উঠলো। তারা অমিতকে বাধ্য করলো আদালতে যেতে। হেবিয়াস করপাসের মামলায় দীর্ণ অমিত। দলিত পুত্রের ধারণা, রেনুকে ওরা পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে। ব্রাহ্মণ কন্যার প্রেম দলিত পুত্রের সঙ্গে? রাষ্ট্রযন্ত্র কি তা মানতে পারে? রেণুর বাড়ি থেকে অভিযোগ আসতেই অতি সক্রিয় হয়ে উঠলো পুলিশ। ব্রাহ্মণ কন্যা আর দলিতপুত্রের প্রেম করে বিয়ে, তাই কি মানতে পারে রাষ্ট্র! অথচ এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ নামা আছে। প্রতিটি রাজ্যে এই ধরনের অসবর্ণ বিবাহের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র রক্ষাকবচ দেবে দম্পতিদের। এদের জন্য গড়তে হবে সেফ হাউস। দুর্ভাগ্যের কথা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাব ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য সেফ হাউস গড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। আমাদের এই প্রগতির ধজা ওড়ানো  বাংলাও না। আসলে বিচারের বাণী বোধহয়  সব জায়গায় নীরবে, নিভৃতে কাঁদে। কেঁদেই চলেছে ঠিক অমিত কুমারের মতোই দীর্ঘদিন।       
 

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

ভারত সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status