খেলা
অবশেষে আলোর মুখ দেখছে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা
স্পোর্টস রিপোর্টার
৪ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে। ফলে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনে আর কোনো বাঁধা রইলো না। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্রে যদি কোনো সংশোধন আনতে হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের এটা এজিএমে দিতে হয়। পরবর্তীতে এটা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদনের বিষয় রয়েছে। আমাদের সাম্প্রতিক এজিএমে গঠনতন্ত্রে যে সংশোধনীগুলো এসেছিল, সেটা আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যখন পাঠাই, পরবর্তীতে এটা অনুমোদন হয়ে আসে। এটা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ২০২২ হিসেবে কার্যকর হবে। এর বাইরে আমাদের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা নিয়ে যে পরিকল্পনা, সে নীতিমালার বিষয়ে আমাদের গতকাল যে বোর্ড মিটিং হয়েছে, সেটার খসড়া অনুমোদন হয়েছে। খুব দ্রুতই একটা কমিটি করে দেওয়া হবে, সে কমিটি এই নীতিমালার ওপর আরও কিছু প্রয়োজন হলে সেটা দেখে তাড়াতাড়ি ঠিক করে চূড়ান্ত করা হবে এবং আঞ্চলিক কমিটিগুলো তৈরি করে দেবে।’
বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ২২ বছর আগে। যেখানে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পূর্বশর্ত ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করা। তবে বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের তৃতীয় মেয়াদে গত ১৯শে জুলাই (মঙ্গলবার) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ক্রিকেটের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৩ তে সভাপতি হিসেবে বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের ক্রিকেটীয় ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে সেটি দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়নের পথে ছিল না বিসিবি। এখন আর আঞ্চলিক ক্রিকেট পরিচালনা করতে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বিসিবির সিইও। তিনি বলেন. ‘এখন আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামোর যে নীতিমালাগুলো সেটা বোর্ডই টাইম টু টাইম সিনারিও তার ওপর বিবেচনা করে যদি কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, এটা বোর্ড করবে। এখন খসড়া নীতিমালাটা দিয়ে আমাদের আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো শুরু করার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। আমাদের এই কাঠামোটা গঠন করার জন্য আমাদের অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা ছিল। গত এজিএমের এটা বোর্ডের মধ্যে আনা হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব কমিটি গঠন করা হবে।’