ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাফ কথা

রামনাথ বিশ্বাস, কামিনী রায় উল্লাসকর দত্তের মতো মনীষীদের স্মৃতি রক্ষায় কমিশন গঠন কেন জরুরি?

কাজল ঘোষ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
mzamin


যথাযথ উদ্যোগের অভাবে আমাদের দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত মনীষীদের স্মৃতি লুপ্ত হওয়ার পথে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জাতি হিসেবে আমরা সত্যিকার অর্থেই গৌরব করার মতো কোনো নিদর্শন নিয়ে বিশ^ দরবারে পৌঁছতে পারবো না। তাই এখনই সময়, এ বিষয়ে সরকারিভাবে একটি কমিশন গঠন করে খ্যাতনামাদের জন্মভিটেসহ সকল প্রকার স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া। আর তা করতে হবে মেরুদণ্ড সম্পন্ন জাতি রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই

 

এই সেপ্টেম্বরেরই ঘটনা। কলকাতা থেকে ছুটে এসেছেন গায়ত্রী কুণ্ডু। ৭৬ বছর পর। পুরান ঢাকার পূর্ণচন্দ্র ব্যানার্জী লেনে নিজ জন্মভিটেতে গিয়ে দরদমাখা হাতে বাড়ির দেয়াল ধরে অনেকটা সময় দাঁড়িয়েছিলেন। ৫/১ হোল্ডিংয়ের বাড়িটির এখন অনেক কিছুই বদলে গেছে। গায়ত্রী কুণ্ডুর দেখা সেই সবুজ গেট, লম্বা বারান্দা, প্যাঁচানো সিঁড়ি, কাঠ গোলাপের গাছ, নিচের রান্নাঘর, ছাদের ঘর, ঠাকুরঘর আজ আর নেই। এখন সেখানে ইট-সিমেন্টের ভবন।

বিজ্ঞাপন
বাড়িটির নামও বদলে গেছে। হয়েছে মোসাম্মৎ রহিমা ভিলা। ১৯৪৬ সাল, ঠিক যখন পাঁচ বছর বয়স তখন দেশভাগের আগ দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে গায়ত্রী কুণ্ডু। বড় হয়েছেন, সংসার করেছেন, সবই হয়েছে কিন্তু মনটি সবসময় পড়ে থাকে নিজ জন্মভিটের জন্য। আর সেই কষ্ট ভুলতে মেয়েকে নিয়ে এতদিন পরেও ছুটে এসেছেন গায়ত্রী কুণ্ডু। 

২০১৯ সালে তেমন এক কষ্টকর ও আবেগতাড়িত মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার ভাগ্য হয়েছে। যদিও তা না হলেই ভালো হতো। কারণ সেই মানুষটির জন্মভিটে ছেড়ে থাকার যন্ত্রণা এখন আমাকেও গ্রাস করেছে। প্রতি মুহূর্তেই আমার মনে হয় নিজের জন্মভিটে ছেড়ে থাকার দুঃখ ভুলে থাকার কষ্ট আমাকে তাড়িত করে। বলছি কবি ও লেখক নীলাচার্যের কথা। পুরো নাম সুনীল কুমার ভট্টাচার্য। দাদুমনি চিন্তাহরণ দেশভাগের ঠিক একবছর পর ১৯৪৮ সালে সাম্প্রদায়িক হুঙ্কারে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। আজকের মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নে চিত্রকরায় পদ্মার পাড় ঘেঁষে সেই দু’তলা বাড়িটি এখনো ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় টিকে আছে। ২০১৯ সালে চিন্তাহরণ ভট্টাচার্যের নাতি নীলাচার্য ঢাকায় এলে আমিও সেই বাড়িটিতে সাংবাদিক হিসেবে যাবার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেদিন কাছ থেকে দেখেছিলাম কী যন্ত্রণা বুকে নিয়ে নীলাচার্য বেঁচে আছেন। নিজের জন্মভিটের মাটি কপালে ছুঁয়ে ছটফট করছিলেন তিনি সেদিন। অথচ ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এই বাড়িতে দুর্গাপূজা হয়েছে। সেই সময় পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দাদুমণি চিন্তাহরণ ভট্টাচার্য নীলাচার্যের বিধবা ঠাকুরমা আর দাদুকে বাড়িতে রেখে পরিবারের অন্য সবাইকে নিয়ে  কলকাতায় থিতু হন। পরিস্থিতি দিনকে দিন প্রতিকূলে চলে যাওয়ায় বাড়িটির কেয়ারটেকারের হাতে সবকিছু দেখাশোনার ভার দিয়ে অন্যদেরও চলে আসতে বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর নীলাচার্যের বাবা ১৯৭২ সালে একবার দেশে যানÑ দেশে ফিরতে পারবেন কিনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। ২০০৮ থেকে ২০২০ এই সময়কালে অন্তত ষোলবার জন্মভিটেতে গেছেন নীলাচার্য। প্রতিবারই চোখের জল ফেলেছেন। কি অদ্ভুত নিজ ভিটেতে পরবাসী। সাংবাদিক হিসেবে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই দৃশ্য অবলোকনের। বাড়িটি যারা অধিকার করে বাস করছেন তারা মূল মালিকের স্মৃতিটুকু সংরক্ষণ তো দূরের কথা এই বাড়িতে তারা যেন না ফিরতে পারেন তা নিয়ে হয়তো নানান রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন। অথচ বিশাল এই বাড়িটিতে একটি লাইব্রেরি বা নিদেনপক্ষে নীলাচার্যের নামে স্মৃতিফলক হলে দোষের কি ছিল?

 

গেল আগস্টেই ঝটিকা সফরে বরিশাল যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। জীবনানন্দ দাসের স্মৃতিবিজড়িত ধানসিঁড়ি দেখে ফেরার পথেই ঝালকাঠি শহরতলীর বাসন্ডা গ্রামে এলে জানতে পারি এটি কবি কামিনী রায়ের গ্রামের বাড়ি। নেছারাবাদ মাদ্রাসার পাশেই বাসন্ডা গ্রামে কামিনী রায়ের বাড়িটি একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের দখলে। ভেতরে যাওয়া তো দূরের কথা বাইরে থেকেও এ বাড়িটি দেখার অবস্থা নেই। ১৮৬৪ সালের ১২ই অক্টোবর বাসন্ডার এই জমিদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন কবি ‘কমিনী সেন’। বিয়ের পর কামিনী রায় নাম হয়। কবির স্বামী কেদারনাথ ১৯০৯ সালে অপঘাতে মারা গেলে কবি ফিরে আসেন পৈতৃক ভিটায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সপরিবারে চলে যান ভারতে। তারপর থেকেই কবির সেই বাড়িটি স্থানীয় একটি দখলদারচক্রের দখলে। আজও বংশানুক্রমে  সেই দখলদারদের কবলেই আছে ওই বাড়িটি। কবিদের  সেন মঞ্জিল, কবি পুত্র অশোকের সমাধি, বাড়ির দরজার ওপারে বাসন্ডা খালে বাঁধানো ঘাট- সব ঐতিহ্যই রাতের আঁধারে বিলীন করে দিয়েছে দখলদার চক্র। ২০০৮ সালে কামিনী রায়ের মূল বাড়িটি ভাঙা শুরু হলে বরিশালের সংস্কৃতিকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ নিয়ে দখলদারদের সঙ্গে হাতাহাতি হলে প্রশাসন তা বন্ধ করে দেন। কিন্তু ক’দিন পরে রাতের আঁধারে সবকিছুই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়। সংস্কৃতিকর্মীদের সেই হাহাকার আজও সেভাবেই রয়ে গেছে। প্রশাসন, স্থানীয় মন্ত্রী, এমপি সকলেই এ বিষয়ে অবগত অথচ কবির বাড়িটিতে একটি ছোট লাইব্রেরি করে তার স্মৃতিটুকু রাখার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিলেও কোনো কাজ হয়নি। বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত। বৃটিশ খেদাও আন্দোলনে শক্তিশালী বোমার আবিষ্কারক এই বিপ্লবী। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার কালিকচ্ছ গ্রামে। এই বিপ্লবীর স্মৃতি বিজরিত বাড়িটি আজ জরাজীর্ণ। ঐতিহাসিক এ বাড়িটি রক্ষায় নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। অথচ সেখানে হতে পারে মিউজিয়াম। তার ব্যবহৃত নানা জিনিস রাখা যেতে পারে এখানে।
চারটি বিষয়ের অবতারণা প্রাসঙ্গিক কারণেই উল্লেখ করছি। সম্প্রতি সাংবাদিক রাজীব নূর হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ভূপর্যটক রামনাথ বিশ^াসের দখল হওয়া বাড়িটি নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়েছিলেন। ১১ই সেপ্টেম্বর তিনিসহ আরও বেশক’জন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সেখানে দখলদারদের দ্বারা আক্রান্ত হন। অন্য অনেক খ্যাতনামাদের বাড়ির মতো রামনাথের দুনিয়াও এখন অন্যদের দখলে। 
রামনাথ বিশ্বাস  যিনি গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে বাইসাইকেলে পৃথিবী ঘুরেছেন। রামনাথ বিশ্বাস চীন থেকে ফিরে বানিয়াচংয়ে তখন সেখানকার কমলারানীর সাগরদীঘির পাড়ের মাঠে তার সম্মানে একটা জমায়েত ডাকা হয়েছিল। ওই জমায়েতে রামনাথ বিশ্বাস বলেছিলেন, “বাইন্নাচুং আমার দুইন্যাই।” 

হাওরের ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান রামনাথ ছিলেন উদার ও অসাম্প্রদায়িক। কলকাতার দাঙ্গায় একাই রামনাথ ৩৯ জন মুসলিমকে নিজের ঘরে আশ্রয় দিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন। ১৮৯৪ সালে বানিয়াচংয়ের বিদ্যাভূষণ পাড়ায় জন্ম এই ভূপর্যটকের। বানিয়াচংয়ের হরিশ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন রামনাথ। পড়াশোনা শেষে হবিগঞ্জেই একটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার পদে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। এখানে তিনি বাইসাইকেল ও  মোটর গাড়ি চালানো শিখেছিলেন।

ওই সময় তিনি অনুশীলন সমিতিতেও যোগ দিয়েছিলেন। বৃটিশবিরোধী বিপ্লবীদের সঙ্গে তার যুক্ততা প্রকাশ হয়ে গেলে চাকরি হারান। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে  যোগ দিয়ে বাঙালি পল্টনের সঙ্গে চলে যান  মেসোপটেমিয়ায়। সেটা ১৯১৪ সালের কথা। সৈনিক জীবনে ঘুরে বেড়াবার যে সুযোগ পেয়েছিলেন সেই অনুপ্রেরণায় ১৯৩১ সালের একদিন সাইকেল নিয়ে পথে নামলেন। তারপর তিন দফায় তিনি দুনিয়া ঘুরেন সাইকেলে। ১৯৪০ সালে ফিরেন বানিয়াচংয়ে। 

কলকাতা আর বানিয়াচংয়ে যাতায়াতের মধ্যে থাকলেও অকৃতদার রামনাথ বিশ্বাস নিজ ভিটাতে থিতু হতে  চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর পুরোপুরি কলকাতায় চলে  যেতে বাধ্য হন। সেখানেই ১৯৫৫ সালের নভেম্বর মাসে মারা যান। কলকাতায় তার নামে রয়েছে ‘রামনাথ বিশ্বাস সড়ক’, অথচ নিজভূমে তিনি হয়ে গেছেন পরবাসী। বানিয়াচংয়ের ওই বাড়িটি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করা  গেলে রামনাথকে ফিরিয়ে  দেয়া হবে তার ’দুইন্যাই’।
ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ কমিটি রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা রক্ষায় আন্দোলন করছে। তাদের দাবি এই মনীষীর জন্মভিটেতে ভ্রমণবিষয়ক বইয়ের বিশেষায়িত একটি পাঠাগার এবং বাইসাইকেল মিউজিয়াম গড়া হোক। সবচেয়ে বড় কথা ভূমিদস্যু দখলকারীর হাত থেকে রামনাথের ‘পৃথিবী বানিয়াচং’ ফিরিয়ে দেয়া হোক। 

কি দুর্ভাগ্য আমাদের! পুরো দুনিয়া যেখানে খ্যাতনামাদের স্মৃতি সংরক্ষণ করে সেখানে আমাদের এখানে সবকিছু মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হয়। আর এর নেপথ্যে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা সহযোগিতা করে, আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। আপনি যদি ইউরোপ ও আমেরিকা যান দেখবেন সেখানে খ্যাতনামাদের সবকিছুই মিউজিয়াম আকারে সংরক্ষণ করা আছে। শেক্সপিয়রের বাড়ি, মার্ক টোয়েনের লাইব্রেরি, মার্কেজের সমাধি এমন ভূরি ভূরি উদাহরণ দেয়া যাবে। এমনকি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৃথিবীর কোথায় কোথায় বেড়াতে গিয়ে বসবাস করেছেন তাও সে দেশের সরকার সংরক্ষণ করেছে। সেখানে খুব বড় আকারের মিউজিয়াম না হলেও একটি স্মৃতিফলক করে ছবি টাঙিয়ে দিয়েছে। অথচ আমাদের এখানে একেবারেই বিপরীত। একধরনের বৈকল্য বা প্রতিবন্ধিতার শিকার আমার এই জায়গায়। সবকিছু গ্রাস করার মধ্যেই যেন গৌরব। না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাও পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত অথচ এ দেশের সাহিত্য সংস্কৃতি শিক্ষা চর্চার মাধ্যমে যারা অগ্রগণ্য ভূমিকায় সেসব মনীষীদের স্মৃতি সংরক্ষণে সরকারিভাবে জোরালো কোনো উদ্যোগ নেই। এমনকি অনেক স্থানে দেখা গেছে সরকারি সংস্থার লোকজনই যথেচ্চার করে সেইসব ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যথাযথ উদ্যোগের অভাবে আমাদের দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত মনীষীদের স্মৃতি লুপ্ত হওয়ার পথে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জাতি হিসেবে আমরা সত্যিকার অর্থেই গৌরব করার মতো কোনো নিদর্শন নিয়ে বিশ^ দরবারে পৌঁছতে পারবো না। তাই এখনই সময়, এ বিষয়ে সরকারিভাবে একটি কমিশন গঠন করে খ্যাতনামাদের জন্মভিটেসহ সকল প্রকার স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া। আর তা করতে হবে মেরুদণ্ড সম্পন্ন জাতি রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই।

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status