ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সা ম্প্র তি ক

মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের জরুরি শত্রু মিত্র চেনা

শাহাদাৎ হোসাইন স্বাধীন
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
mzamin

বাংলাদেশের চাওয়া রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান। সে সমাধান হলো রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন। সে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সে স্বার্থে বাংলাদেশকে যেকোনো কৌশল অবলম্বন করা উচিত। যেহেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফলে সে মতো বাংলাদেশে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা সাজাতে হবে। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কৌশল নিতে হবে। দক্ষিণ-পূর্বের দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির উপর গভীর ও সতর্ক নজর রাখতে হবে

 

ভৌগোলিকভাবে সীমাবদ্ধ বাংলাদেশের বড় দুর্ভাগ্য ভারত ব্যতীত যে দ্বিতীয় প্রতিবেশী রয়েছে মিয়ানমার, সে প্রতিবেশী কখনো সহযোগিতামূলক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ দেখায়নি। একদিকে দেশটির অসহযোগী মনোভাব তার মধ্যে রোহিঙ্গার মতো জটিল একটি সংকট ঝুলে রয়েছে দেশটির সঙ্গে। সীমিত গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করে ফের সামরিকতন্ত্রে ফিরেছে দেশটি।

বিজ্ঞাপন
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি যেমন স্থির নয় তেমনি সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে জাতিগত বিদ্রোহ সবসময় জীবিত থেকেছে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি সেখানকার বৌদ্ধ তরুণরা আরাকান আর্মির ব্যানারে স্বাধীনতা/ স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে। খ্রিস্টান অধ্যুষিত ও বাংলাদেশ, ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা চিন প্রদেশেও স্বাধীনতার আন্দোলন রয়েছে। বর্তমান সেনা শাসকরা এসে সব ধরনের জাতিগত বিদ্রোহকে নির্মূল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ফলে চিন প্রদেশে বিদ্রোহ দমাতে তাদের অভিযানে ভারতের মিজোরামে শরণার্থীর ঢল নেমেছে। এখন রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধ চলছে।
চলমান সংঘর্ষের ব্যাপারে জানা যায়, ২রা সেপ্টেম্বর আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইনের মংডু শহরের একটি পুলিশ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে ১৯ জন জান্তা পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তল্লাশি চৌকিটি দখল করে নেয়। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ৩রা সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাহিনী মংডু শহরে তিনবার বিমান  হামলা করে। তখন থেকে মূলত আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী যুদ্ধ বিরতির ছেড়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে সংঘর্ষে ১৩ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ভূখণ্ডে রকেট এসে পড়ে এবং মিয়ানমারের হেলিকপ্টার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।  এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ১৬ই সেপ্টেম্বর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে পাহাড়ের পাদদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে মর্টার শেল এসে পড়লে ৬ জন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। এরইমধ্যে এক কিশোর মৃত্যুবরণ করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

আরাকান আর্মি কারা: 

আরাকান আর্মিকে এই সময়ে ভূ-রাজনৈতিক  প্রেক্ষাপটে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আরাকান আর্মির শুরুটা হয় মূলত ২০০৯ সালের দিকে ২০-২৫ বৌদ্ধ তরুণের মাধ্যমে। যারা রাখাইন প্রদেশে (পূর্ব নাম আরাকান) তাদের স্বাধিকার চায়। স্বাধিকারের এই দাবি রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধদের মধ্যে জনপ্রিয়ও হয়েছে। বর্তমানে আরাকান আর্মির জনবলের সংখ্যা ২০ হাজার অতিক্রম করেছে। তারা এই সংখ্যা ৫০ হাজারে নিয়ে যেতে চায়। রাখাইনের বৌদ্ধ তরুণদের মধ্যে আরাকান আর্মি এতই জনপ্রিয় যে ৫০ হাজার যোদ্ধা বাছাই করা তাদের জন্য সময়ের ব্যাপার। আরাকান আর্মির প্রধান ওয়াং ম্রা নাইং নামে এক যুবক। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, ‘ধর্ম বিবেচ্য নয়, জন্মসূত্রেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। রোহিঙ্গাদের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে এনে যত দ্রুত সম্ভব নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা উচিত।’ এর আগে তিনি বলেছিলেন,  “আমরা চাই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ আমাদের সঙ্গেও কথা বলুক।”

আরাকান আর্মি কি চায়:

 ওয়াং ম্রা নাইং এর একটি সাক্ষাৎকার প্রথম আলোতে ছাপা হয়। এই বছরের শুরুতে ছাপানো সে সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, চীন ও ভারতের সঙ্গে আরাকান আর্মির যোগাযোগ আছে। তবে চেষ্টা করেও তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। চীন, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ থাকাটা স্বাভাবিক। এই দুই দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে রাখাইন প্রদেশে। সে প্রদেশে স্বাধিকারের জন্য লড়াই করা একটি গোষ্ঠী সম্পর্কে তারা অন্ধকারে থাকবে তা হতে পারে না।

ওয়াং ম্রা নাইং এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তারা রাখাইন প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়ছে কিনা। সে উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘১৯৭১ সালে এই অঞ্চলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু ৫০ বছর পর পরিস্থিতি ভিন্ন। আশপাশের শক্তিশালী দেশগুলো কেউ চাইছে না এ অঞ্চলে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হোক (ভারত ও চীনকে বুঝিয়েছেন)। এ রকম রাষ্ট্র বেরিয়ে এলে শক্তিশালী দেশগুলোর ভয় হলো তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উৎসাহিত হবে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার স্বীকার করি। রোহিঙ্গাদের ফিরে আসা স্বাগত জানানোর মতো বিষয়। কিন্তু বার্মিজ মিলিটারিকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত বদল করে।’ রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা নিয়ে তিনি বলেন,  ভারত, চীন সবাই আমাদের জিজ্ঞাসা করে, তোমরা আরসাকে সাহায্য করছো কিনা। তাদের দিক থেকে সতর্কতা আছে এ বিষয়ে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মন্তব্য “এটা তো খুবই সত্য যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। এটা আমাদের একটা অগ্রাধিকার।

 

 

এখানে আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গাদের আরসা নিয়ে একটু তুলনামূলক বিশ্লেষণ চোখে আসে। ২০১২ সালে ২ লাখ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ অভিমুখে ঠেলে দেয়ার সময় অভিযোগ ছিল রোহিঙ্গা যুবকরা এক বার্মিজ মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তাই তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ার কাছাকাছি সময়ে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে আরসার হামলার অভিযোগ তুলে রোহিঙ্গা গণহত্যা শুরু করে বার্মিজ আর্মি ও বুড্ডিস্ট সন্ত্রাসীরা। এভাবে অভিযোগ তুলে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঘরবাড়ি, পরিবারের লোক হারিয়ে, সম্ভ্রম হারিয়ে দিগি¦দিগ ছুটতে ছুটতে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ কোথায়: 

রোহিঙ্গারা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক দাবি করে। তারা দাবি করে তাদের নৃ-তাত্ত্বিক পরিচয় রোহিঙ্গা। এই অধিকারটুকু মেনে নিলেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার তা না মেনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে তাদের হত্যা করেছে, তাড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আরাকান আর্মির ‘অপরাধ’ কিন্তু আরও বড়। আরাকান আর্মি স্বাধীনতা চায়, তারা রাখাইনকে মূল মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। রোহিঙ্গারা কিন্তু সে দাবি করে না। তারা মিয়ানমারেই থাকতে চায়। রোহিঙ্গাদের ওপর এই অপরাধে গণহত্যা চালানো হলেও আরাকান আর্মিকে কৌশল নিয়ে মোকাবিলা করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এখানে মিয়ানমারের সেনাশাসকদের ও কেন্দ্রীয় সরকারের রোহিঙ্গা বিদ্বেষ ও মুসলিম বিদ্বেষ স্পষ্ট।

তাছাড়া যেহেতু রোহিঙ্গারা অসহায় ও তাদের মধ্যে আরাকান আর্মির মতো সশস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই ফলে তাদের উপর গণহত্যা চালানো ‘সহজ’। রাখাইনের তরুণদের আরাকান আর্মিতে যোগদান থেকে সরিয়ে রাখতে এক অভিন্ন শত্রু হিসাবে রোহিঙ্গাকে সামনে ঠেলে দেয়ার একটা কৌশলও মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে। দ্বিতীয় কারণটির যুক্তি আছে এই জন্য যে রোহিঙ্গাদের প্রতি গণহত্যায় রাখাইনের বৌদ্ধ তরুণরা জড়িত। তারা রোহিঙ্গাদের প্রতি তাদের চরম ঘৃণা প্রকাশ করেছে। ফলে আরাকান আর্মি প্রধানের রোহিঙ্গাদের মানাবধিকার ও নাগরিকত্ব স্বীকার আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা কৌশল কিনা সেটা ভাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

বাংলাদেশের করণীয়:

 আরাকান আর্মির প্রধান বলছে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। যদিওবা ভারত ও চীনের সঙ্গে আছে। রাখাইন প্রদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও বান্দরবানের গহীন অরণ্যের সীমান্ত বিদ্যামান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরকান আর্মিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়াতো দূরে থাক যোগাযোগের  “অভিযোগ’ পর্যন্ত নেই। মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তত এটার জন্যই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। কারণ বাংলাদেশ তাদের দেশের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের উস্কে দিচ্ছে না। অথচ এই কাজটা বাংলাদেশের জন্য সহজ ছিল। বাংলাদেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নিজেকে জড়ায়নি ও দায়িত্বশীল আচরণ করেছে।
কিন্তু মিয়ানমারের আচরণ এই পর্যন্ত কৃতঘ্নের মতোই। তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো ধরনের সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ  বরং বিশ্ব মহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। যে বাংলাদেশ তাদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের কোনো ধরনের উৎসাহ দেয়া থেকে বিরত থেকেছে সে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব তারা বারবার লঙ্ঘন করছে।

সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত বলেছেন, “মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ আরাকান আর্মি চুরি করে বাংলাদেশ অংশে ফেলছে।” কথাটা হাস্যকর হলেও এটা নিয়ে ভাবার অবকাশ আছে। একজন রাষ্ট্রদূত কেন আমাদেরকে এই ধরনের গল্প গেলাতে চাচ্ছেন ! তাদের উদ্দেশ্য কি আরাকান আর্মি ও বাংলাদেশকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া! এই পর্যন্ত বাংলাদেশ নিরপেক্ষ আচরণ করলেও মিয়ানমারের উদ্দেশ্য যে তা নয়, তা বলা যাবে না। আরাকান আর্মির ব্যাপারে বাংলাদেশের বেশ সতর্ক আচরণ করা উচিত।
মিয়ানমারের কেন্দ্রে জান্তা সরকার থাকলেও রাখাইন প্রদেশে মূলত এখন আরাকান আর্মির দখলে। অন্তত ৬০% এলাকায় বিশেষ করে শহরতলীতে তাদের শাসন চলছে। তারা নিজস্ব বিচার কার্য চালাচ্ছে। জনগণ থেকে ট্যাক্স নিচ্ছে। ফলে ভূমিকম্পের মতো অকস্মাৎ পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনীতির মারপ্যাঁচে রাখাইন প্রদেশ যদি সম্পূর্ণভাবে আরাকান আর্মির দখলে চলে যায় তাহলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাদের সঙ্গেই বাংলাদেশকে আলোচনায় আসতে হবে।

মিয়ানমারের বর্তমান জান্তা সরকারের উপর বিশ্ববাসীর যেমন সমর্থন নেই তেমনি বিভিন্ন প্রদেশে এই সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চলছে। অদূর ভবিষ্যতে যে মিয়ানমারের বর্তমান মানচিত্র অটল থাকবে তা বলা কঠিন। মানচিত্রের বদল ঘটুক বা না ঘটুক বাংলাদেশের চাওয়া রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান। সে সমাধান হলো রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন। সে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সে স্বার্থে বাংলাদেশকে যেকোনো কৌশল অবলম্বন করা উচিত। যেহেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফলে সে মতো বাংলাদেশে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা সাজাতে হবে। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কৌশল নিতে হবে। দক্ষিণ-পূর্বের দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির উপর গভীর ও সতর্ক নজর রাখতে হবে। অন্য কোনো দেশে জ্বলা আগুনে আলু পোড়া খাওয়ার দেশ বাংলাদেশ নয়। কিন্তু মিয়ানমারের যে পরিবর্তিত পরিস্থিতি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য সহায়ক হবে সে পরিস্থিতির উপরই বাংলাদেশের সমর্থন থাকবে। 

লেখক: দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিষয়ক গবেষক
[email protected]

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status