খেলা
ইংলিশ ক্লাব ওয়াটফোর্ডের কোচ বলেন
‘বাংলাদেশি তরুণদের আলোকবর্তিকা হবে হামজা’
স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবারসম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন হামজা চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল ওয়াটফোর্ডের কোচ রব এডওয়ার্ডস হাজমার সাক্ষাৎকারটি পড়েছেন। এডওয়ার্ড মনে করেন, তার শিষ্য হামজা চৌধুরী যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলেন, তাহলে দেশটির তরুণদের মাঝে অনুপ্রেরণা তৈরি হবে। হামজার মতো তারাও প্রিমিয়ার লীগে খেলার স্বপ্ন দেখবে।
বাংলাদেশি মা ও গ্রেনাডিয়ান বাবার সন্তান হাজমা চৌধুরী। বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডের লাফবরোতে। খেলেছেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়েও। তবে সুযোগ পেলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চান তিনি। বর্তমানে লেস্টার সিটি থেকে ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলা হামজাকে নিয়ে তার কোচ এডওয়ার্ড বলেন, ‘আমি মনে করি, সে যদি বাংলাদেশকে বেছে নেয় তা হবে দারুণ ব্যাপার। বাংলাদেশি ছেলেমেয়েদের জন্য সে হতে পারে সত্যিকারের প্রেরণা, যারা হামজাকে দেখে বলবেÑ আমিও ওর মতো হতে চাই।’ দেশের ফুটবল সমর্থকরা অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে, হামজা চৌধুরীর মতো প্রবাসী ফুটবলারদের প্রতি যেন আরও যত্নশীল হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ইতিমধ্যেই জামাল ভূঁইয়া-তারিক কাজীদের সুযোগ দিয়েছে বাফুফে।
গত মৌসুম লেস্টার সিটির হয়ে বেশি খেলার সুযোগ পাননি হামজা। তবে ধারে ওয়াটফোর্ডে যোগ দেয়ার পর কোচ এডওয়ার্ডস যথেষ্ট সুযোগ দিচ্ছেন এ ডিফেন্সিভ ফিডফিল্ডারকে। হামজাও দিন দিন বিকশিত হচ্ছেন। তার প্রশংসা করে এডওয়ার্ডস বলেন, ‘হামজা যখনই মাঠে নামে শতভাগ দিয়ে খেলে। সে ইতিবাচক, তার পারফরম্যান্সেই সেটি প্রতিফলিত হয়। যদিও এখনও তার থেকে সেরাটা আসেনি।
কিন্তু কোনো সন্দেহ নেই শিগগিরই আমরা সেরা হামজাকে দেখবো। সে একজন উদীয়মান ফুটবলার এবং মানুষ হিসেবেও দারুণ।’ হামজার মা রাফিয়া হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের দেওয়ানবাড়ির মেয়ে। এর আগে ছেলেবেলা স্মৃতিচারণ করে হামজা বলেন, ‘আমি চুল কাটতে খুব অপছন্দ করতাম, আমার মা আমাকে জোর করে নিয়ে যেতেন, আমি ছোট ছিলাম, এখন আমি চুল বড় হতে দেই।’ এর আগে স্কাই স্পোর্টসের সাক্ষাৎকারে ২৫ বছর বয়সি ঝাঁকড়া চুলের হামজা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে আমি গর্বিত হবো। সম্মানিত বোধ করবো।’ শীতের ছুটিতে বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। হামজা বলেন, ‘আমার সন্তানদের বাংলাদেশে নিয়ে যেতে চাই। আমার শৈশবের খানিকটা স্বাদ দিতে চাই ওদের। আমার এক বছর বয়স থেকে আমরা প্রতি বছর বাংলাদেশে যেতাম। আক্ষরিক অর্থে সেটি ছিল একটি ভিন্ন জগৎ।’ হামজাকে বাংলাদেশ দলে খেলানোর জন্য ২০১৮ সালে লেস্টার সিটিকে চিঠি দিয়েছিল বাফুফে। তখন কোনো সাড়া মেলেনি। তবে ওয়াটফোর্ডের কোচ যেভাবে বিষয়টি সমর্থন দিলেন, তাতে মনে হচ্ছে হামজার জন্য বাংলাদেশকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।