চাপে থাকা ইংল্যান্ডের সামনে ইতালি

উয়েফা নেশনস লীগে চার ম্যাচ খেলেও জয়হীন ইংল্যান্ড। এতে ‘এ’ লীগের ৩ নম্বর গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় থ্রি লায়নদের অবস্থান তলানিতে। ২০২৪ ইউরো বাছাইয়ে সুবিধাজনক গ্রুপে জায়গা পেতে চাইলে নেশনস লীগের বাকি দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের। কিন্তু ওই দুই ম্যাচে গ্যারেথ সাউথগেটের দলকে লড়তে হবে ইতালি ও জার্মানির বিপক্ষে। আজ মিলানে ইউরোর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালির মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। এরপর ২৬শে সেপ্টেম্বর ওয়েম্বলিতে স্বাগতিক ইংলিশদের প্রতিপক্ষ জার্মানি। গত বছর ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ইতালির কাছে হেরে ইউরোর ট্রফি খোয়ায় ইংল্যান্ড। এরপর গত ১১ই জুন নেশনস লীগে দেখা হয়েছিল তাদের। ম্যাড়মেড়ে ওই ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়।
নেশনস লীগে দুই ম্যাচে ড্র ও দুটিতে হেরেছে ইংল্যান্ড। নিজেদের শেষ ম্যাচে হাঙ্গেরির কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় সাবেক বিশ^চ্যাম্পিয়নরা।

ইতালি ও জার্মানির বিপক্ষে অবশিষ্ট দুই ম্যাচে জয় না পেলে ইউরো বাছাই পর্বে পট ‘বি’-তে পড়তে পারে ইংল্যান্ড। সেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে স্পেন, সুইডেন, তুরস্ক ও উত্তর আয়ারল্যান্ড। কে কোন পটে থাকবে সেটি নির্ভর করবে নেশনস লীগের পয়েন্ট টেবিলের অবস্থানের ওপর। ২০২৪ ইউরোর আয়োজক হিসেবে অটোমেটিক কোয়ালিফাই করবে জার্মানি। উয়েফার নিষেধাজ্ঞার কারণে অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া। ইউরোপের ৫৩টি দল থেকে ২৩টি দল পাবে মূল পর্বের টিকিট। 
২০২৪ ইউরো বাছাই পর্বকে ১০টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি গ্রুপ হবে ৫ দল নিয়ে। আর ৩টি গ্রুপ হবে ৬ দলের। চলমান নেশনস লীগের ‘এ’ লীগের চার গ্রুপের শীর্ষ ৪টি দল পড়বে ৫ দলের গ্রুপগুলোতে। ১০ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি জায়গা পাবে ইউরোর মূল পর্বে। বাকি ৩টি দল বাছাই করা হবে প্লে-অফ থেকে। নেশনস লীগের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে প্লে-অফ রাউন্ডে লড়বে ১২টি দল। তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে তারা। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দল পাবে ইউরোর টিকিট। বাছাই পর্বে কোনো দল সরাসরি উতরাতে না পারলেও তারা যদি নেশনস লীগের ‘এ’ ‘বি’ ও ‘সি’ লীগের গ্রুপে শীর্ষ স্থান অর্জন করে তাহলে তারা প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। 
হেড টু হেড
ম্যাচ: ২৯
ইংল্যান্ডের জয়: ৮
ইতালির জয়: ১২
ড্র: ৯