ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সা ম্প্র তি ক

রোহিঙ্গা সংকট প্রত্যাবাসন কতোদূর

শাহাদাৎ হোসাইন স্বাধীন
৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
mzamin

রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন দরকার। রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা’র সঙ্গে আন্তর্জাতিক ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’র যোগাযোগ রয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম, হরকাতুল আনসারের মিয়ানমারে কার্যক্রম রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। ফলে দীর্ঘ সময়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চলে একটা নিরাপত্তা সংকট তৈরি হতে পারে

২০১৭ সালে আরাকানে (বর্তমান নাম রাখাইন) বার্মিজ সেনাবাহিনী ও বুদ্দিস্ট সন্ত্রাসীদের গণহত্যার মুখে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যখন সাগরে ভাসছিল তখন সীমান্ত উন্মুক্ত করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই মানবিকতা বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আসার আগ সময় পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য চাল, ডাল, কাপড় যার যা ছিল তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের মানুষ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসে ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়কে ট্যুরিস্ট বাসের চেয়ে ত্রাণবাহী গাড়ি ও স্বেচ্ছাসেবক টিমের গাড়ি বেশি ছিল। এটা যেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে কলকাতা ও আগরতলায় আশ্রয় পাওয়া বাঙালি তার ঋণ শোধ করছে। 

কিন্তু রাখাইনের সে দুর্বিষহ গণহত্যার পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গারও প্রত্যাবাসন হয়নি। ফলে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় পাওয়া ১ মিলিয়নের অধিক রোহিঙ্গা আজকে বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংঘাত দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

সংকট কতোটা জটিল: শরণার্থী সংকট দক্ষিণ এশিয়ায় একেবারে নতুন না। ১৯৪৭ সালে করুণ দেশভাগের পর ভারত ও পাকিস্তানকে বড় ধরনের শরণার্থী বোঝা বইতে হয়েছে। বর্তমানে ভারতে তিব্বত ও আফগানি শরণার্থী রয়েছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে নিবন্ধনকৃত আফগান শরণার্থী সংখ্যা ১২ লাখ পার হয়েছে। নেপালে ভুটানের লটসম্পা জাতির শরণার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর বড় ঢল ২০১৭ সালে আসলেও এর আগে ২০১২ সালে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা আসে। এ ছাড়া ১৯৭৮’র পর থেকে নানা ভাবে নানা সময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভাষা, গায়ের রং, শারীরিক গঠন ও সংস্কৃতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সঙ্গে মিল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গারা এখানে বাস করার ফলে একটা সাংস্কৃতিক অভিযোজন ঘটছে যার ফলে রোহিঙ্গা মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ফলে ক্যাম্পের বাইরে স্থানীয়দের জীবন যাত্রায়ও রোহিঙ্গারা সংকট তৈরি করছে। মাত্র ২৩ বর্গ কিলোমিটারের কক্সবাজারে বর্তমান জনসংখ্যা ২০ লাখ- যার মধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই বোঝা কক্সবাজারের প্রাকৃতিক বন, পাহাড় যেমন ধ্বংস করছে তেমনি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রায়ও ব্যাঘাত ঘটছে। কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প প্রসারিত হতে পারছে না। মাদক, দেহ ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপকর্মে রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পড়ার তথ্য মিলছে। নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে ক্যাম্পে খুন, গুলাগুলি দিনকে দিন বাড়ছে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে রোহিঙ্গাদের রাখা বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব হয়ে উঠেছে। 

প্রত্যাবাসন কতো দূর:  এখন  পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গারও প্রত্যাবাসন হয়নি। চীনের সমঝোতায় যে প্রত্যাবাসন আলোচনা চলছিল তাও ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারে সামরিক সরকার আসার পর প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আলোচনা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। মিয়ানমারের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সে দেশে সংঘর্ষ, সরকারবিরোধী ছায়া সরকার, বিভিন্ন  প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দানা বেঁধেছে। সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর বহির্বিশ্বে মিয়ানমার সংক্রান্ত আলোচনা সে দেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে থেমে যাচ্ছে। অনেকটা আড়ালে পড়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার দায় বিশ্ব নেতাদের। জাতিসংঘ সহ বিশ্ব নেতারা মিয়ানমারের সরকারের ওপর যথাযথ চাপ প্রয়োগ করতে সমর্থ হননি। অন্যদিকে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর না করতে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের স্থান তো ভাসানচর বা কক্সবাজার না, তাদের স্থান তাদের পূর্ব পুরুষের ভিটে তাদের জন্মস্থান আরাকানে। জাতিসংঘ সহ বিশ্ব নেতাদের দায়িত্ব তাদের আরাকান তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো  রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সমালোচনা করলেও মিয়ানমারে তাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখছে। অন্যদিকে জাতিসংঘে চীনের একচেটিয়া অবস্থান ও ভারতের স্বার্থপর অবস্থান রোহিঙ্গা সংকটকে দীর্ঘায়িত করছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতোজনকে আশ্রয় দিবে? আর আগে কানাডা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিবে বলেছিল। ২০০৬-২০১০ সাল পর্যন্ত ৩০০ রোহিঙ্গার কানাডায় প্রত্যাবাসন করা হয়। এরপর অজানা কারণে সে প্রক্রিয়া থেমে আছে। পশ্চিমা দেশগুলোর তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইতিবাচক হলেও তাদের প্রস্তাব বাংলাদেশে বসবাসরত ১১ লাখ রোহিঙ্গার তুলনায় অতি নগণ্য। শুধু পশ্চিমা দেশ নয়, আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহ ও মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কোনো ধরনের ভূমিকা নেয়নি। রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় পরিচয়ও একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বটে। রোহিঙ্গা মুসলিম বলেই সবাই এক ধরনের দায়সারা ভূমিকা পালন করছে। রোহিঙ্গারা হিন্দু হলে ভারত, খ্রিস্টান হলে পশ্চিমা দেশগুলো অথবা বৌদ্ধ হলে জাপান চুপ করে থাকতো না। 

মিয়ানমারে চীন-ভারতের স্বার্থ: চীন ও ভারতের নিজ নিজ স্বার্থ রয়েছে মিয়ানমারে। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং সাম্প্রতিক সময়ে দু’দেশ উচ্চ মাত্রায় অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চীন বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি আমদানিকারক দেশ। দেশটির আমদানিকৃত জ্বালানির ৮০% আমদানি হয় মার্কিন নিয়ন্ত্রিত মালাক্কা প্রণালী দিয়ে। চীন সে মালাক্কা ডিলেমা ঘুচাতে মিয়ানমারের উপর দিয়ে সরাসরি চীনে যাওয়ার যোগাযোগ তৈরি করছে। রাখাইনে চীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করেছে যেখানে ইতিমধ্যে চাইনিজ বিনিয়োগ ৭ বিলিয়ন পার হয়েছে। রাখাইনে কায়ুফকায়ু নামে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করছে চীন। এই বন্দর থেকে চীনের ইউনান প্রদেশ পর্যন্ত ৭৯৩ কিলোমিটারের গ্যাস ও ৭১১ কিলোমিটারের তেল পাইপলাইন নির্মাণাধীন। এসব প্রকল্প চীনের বিআরই’র অধীন। ১৯৮৮-২০১৮ পর্যন্ত চাইনিজ কোম্পানিগুলো মিয়ানমারে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া মিয়ানমারের আবিষ্কৃত ২.৫ ট্রিলিয়ন গ্যাসের নিয়ন্ত্রণ নিতেও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় চীন। মিয়ানমারে  ভারতের  স্বার্থও কম নয়। রাখাইনে সিত্তে বন্দর নির্মাণ করেছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘এক্ট ইস্ট’ পলিসির কেন্দ্রে রয়েছে মিয়ানমার। ভারত যে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব ভারতকে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত করতে চায় তার জন্য মিয়ানমার প্রধানতম গেটওয়ে। এ ছাড়া ভারতের বহুল প্রতীক্ষিত কালাদান প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্যও মিয়ানমারের ভূমি দরকার ভারতের। ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও ভারত এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের কোনো ধরনের সমালোচনা করেনি। আর চীন ও রাশিয়া ভেটো পাওয়ার ব্যবহার করে জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবকে আটকে দেয়। কারণ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে অস্ত্র দিয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে তার উপর লেখা আছে ‘মেড ইন চায়না’ বা ‘মেড ইন রাশিয়া’।

দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সংকট: রোহিঙ্গা সংকট শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে ভাবলে ভুল হবে। রোহিঙ্গারা যেখান থেকে এসেছে সে রাখাইন ও বর্তমানে যেখানে থাকছে কক্সবাজার, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার মাঝবিন্দুতে অবস্থিত। আরাকান ও কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগরে সহজ অধিগমন রয়েছে এখান থেকে। ফলে এই সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে সাগরে। রোহিঙ্গাদের পুঁজি করে সমুদ্রপথে জলদস্যুতাও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের চিন প্রদেশ ও ভারতের মিজোরাম, মণিপুর প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দানা বাঁধছে। এসব অঞ্চলের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের দুর্গম পাহাড়ি জেলা বান্দরবানের। রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ি বান্দরবানেও। মিয়ানমারের চিন প্রদেশ, ভারতের মিজোরাম ও বাংলাদেশের বান্দরবান এসব সীমান্তবর্তী অঞ্চল খ্রিস্টান অধ্যুষিত। ফলে এই অঞ্চলে কেউ খ্রিস্টান দেশের স্বপ্ন দেখতেই পারে। রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ নিজের স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখে। রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘসময় ঝুলিয়ে রাখলে রোহিঙ্গারা নানা ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনে যুক্ত হয়ে পড়তে পারে। বর্তমান মানচিত্র বদলের কোনো  মুভমেন্ট শুরু হলে এ অঞ্চলের সব দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর যে রাখাইন রোহিঙ্গাদের আদিভূমি সে রাখাইনে চীন- ভারতের ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে। একটা জাতিগত অস্থিরতার মধ্যে বিনিয়োগও নিরাপদ হতে পারে না। চীন ভারতের বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্যও রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন দরকার। রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা’র সঙ্গে আন্তর্জাতিক ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’র যোগাযোগ রয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম, হরকাতুল আনসারের মিয়ানমারে কার্যক্রম রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। ফলে দীর্ঘ সময়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চলে একটা নিরাপত্তা সংকট তৈরি হতে পারে। 

আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা: ২০১৯ সালে নভেম্বরে রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে গাম্বিয়া। এই মামলায় মিয়ানমারকে প্রাথমিকভাবে গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে। চলমান এই মামলার  রায় মিয়ানমারের বিপক্ষে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিচারক আদালত কোনো দেশকে রায় মানতে বাধ্য করতে পারে না। যদিওবা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ দেশ এক হয়ে মামলার রায় মেনে নিতে বাধ্য করতে পারে। কিন্তু চীন ও রাশিয়া যেভাবে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুরু থেকে মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এই মামলা ও মামলার রায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমতকে আরও সূদৃঢ় করবে। এই জনমতকে বাংলাদেশসহ রোহিঙ্গাদের পাশে থাকা দেশগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে চীন ও ভারতের সঙ্গে যেহেতু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দু’দেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশেই চীন-ভারতের স্বার্থ রয়েছে। ফলে চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন দরকার। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনকে যেভাবে কাজে লাগাতে হবে সেই সঙ্গে চীন ও ভারতকেও এই সংকট সমাধানে যুক্ত করতে হবে। তবে একটি আশা থেকে যায়। নতুবা রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হবে এবং তা অদূর ভবিষ্যতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

লেখক: দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিষয়ক গবেষক
[email protected]

 

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

সা ম্প্র তি ক প্রসঙ্গ/ এক যুগ আগে ড. ইউনূসকে যা বলেছিলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ এই সাফল্য ধরে রাখতে হবে

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status