খেলা
এএস গেমসে দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিতে চান আয়মান
স্পোর্টস রিপোর্টার
১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
প্রবাসী খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী, শমিত সোমদের হাত ধরে নতুন জাগরণ তৈরি হয়েছে দেশের ফুটবলে। সেই ধারাবাহিকতায় ব্যাডমিন্টনেও এলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাটলার আয়মান ইবনে জামান। লক্ষ্য পাকিস্তান সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে বাংলাদেশকে ব্যাডমিন্টনে প্রথম স্বর্ণপদক এনে দেওয়া।
জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার। সেখান থেকেই নতুন করে যাত্রা শুরু করতে চান ২০১৪ ও ২০১৬ সালেও টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই শাটলার। এবারও লক্ষ্য একই জানিয়ে আয়মান বলেন, ‘জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের পর থাইল্যান্ড ও সিডনিতে দুটি আন্তর্জাতিক আসর রয়েছে। ডিসেম্বরে ইউনেক্স-সানরাইজের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টও আছে। আমি চাই এই তিনটি আসরেই ভালো ফল করে নিজেকে প্রস্তুত করতে, যাতে এসএ গেমসে স্বর্ণ জিতে দেশকে সম্মানিত করতে পারি।’ নেব্রাস্কাতে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করার পর এখন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চাকরি করছেন। সেখানে ব্যাডমিন্টনের খুব একটা চল নেই। তাই নিজে নিজেই অনুশীলন করেন কোন কোচ ছাড়াই। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট ছিলেন আয়মান। তবে বাংলাদেশের শাটলারদের জন্য বিদেশি কোচ প্রয়োজন উল্লেখ করে এই প্রবাসী বলেন, ‘বছরে তিনমাস আউটডোরে খেলে থাকেন এদেশের শাটলাররা। তখন নানা ইনজুরিতে পড়েন। পরে ক্যাম্পে এসে ঠিকমতো টাচও করতে পারেন না। তাই বিদেশি কোচ ছাড়া ওই শাটলারদের স্ট্যামিনা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’ এসএ গেমসের আগে ফেডারেশনে ইন্দোনেশিয়ান কোচ আসছে জেনে খুশি আয়মান বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া থেকে কোচ আনা হচ্ছে জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি। কারণ উনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবো এবং নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে পারবো।’ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের শাটলারদের মধ্যে পার্থক্যের কথা জানিয়ে প্রবাসী এই খেলোয়াড় বলেন, ‘আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের মানসিকতা ও শৃংখলা নেই এবং কোনো লক্ষ্যও নেই। লক্ষ্য না থাকলে তারা কিছু করতে পারবে না। যা অন্য দেশের খেলোয়াড়দের রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যখন একটি ক্যালেন্ডার শুরু হয় জানুয়ারিতে, তখন ওদের কোচ বলে দেয়, তুমি এই বছর এই খেলাগুলো পাবে। সেখানে অংশ নেবে এবং নিজের র্যাঙ্কিং এই জায়গায় নিয়ে যাবে। যদি তুমি তা না পার তাহলে তুমি পৃষ্ঠপোষক হারাবে। বাংলাদেশে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তাই শাটলাররাও নিজেদের লক্ষ্য ঠিক করতে পারেন না। যা একজন শাটলারের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।’