খেলা
এক পিটার বাটলারেই চলছে সব
স্পোর্টস রিপোর্টার
১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব। প্রথমবারের মতো ওই আসরে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এই আসরকে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি দরকার নারী দলের। কোচ পিটার বাটলারও চাইছেন মেয়েদের এই দলটি নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে। কিন্তু সেখানে বাধ সাধছে মেয়েদের বষয়ভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্ট। জাতীয় দলের পাশাপাশি বষয়ভিত্তিক দলগুলোর দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে এই বৃটিশ কোচকে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে চারদিকে।
পিটার বাটলারের অধীনেই দিন পাঁচেক আগে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এবার মেয়েদের মিশন সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। আগামীকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। এর পর আগামী মাসে ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ খেলবে বাংলাদেশ। সবগুলো দলকেই একসঙ্গে কোচিং করাচ্ছেন পিটার বাটলার। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল গতকালের সংবাদ সম্মেলনে। এ বিষয়ে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আপনি যেভাবে বলছেন ঠিক এরকম না। মেয়েদের কোচিং স্টাফরা এভাবেই কাজ করে। বিগত দিনে পল স্মলি, ছোটন ভাইরা যখন ছিল, তখন তারা বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র লেভেলে একত্রে কাজ করেছেন। এটাতে আমরা অভ্যস্ত এবং আমার মনে হয় এটাই ভালো। কারণ বয়সভিত্তিক দল আরেকজনের কাছে ছেড়ে দিলে তখন কনসেন্ট্রেশন ঠিক থাকবে না। সেটা আমরা করতে চাই না। আমার মনে হয় না সিনিয়রদের কোনো সমস্যা হবে।’ সামনে এশিয়ান কাপ। এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে খুব শিগগিরই প্রস্তুতি শুরু করার কথা আফঈদা-ঋতুপর্ণাদের। তখনই ভুটানে অনুষ্ঠিত হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ। তখন দলের সঙ্গে ভুটানে থাকবেন পিটার বাটলার। এতে জাতীয় দলের মেয়েদের প্রস্তুতিতে কোন ব্যঘাত ঘটবে কিনা জানতে চাইলে কিরণ বলেন, ‘তখন লোকাল কোচ হয়তো মেয়েদের দায়িত্বে থাকবেন। তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন অনুশীলনের ডিজাইন কিন্তু পিটারেরই করা। আমাদের যে লোকাল কোচের কোনো ভূমিকা নেই, সে শুধু এক্সিকিউট করে। কিন্তু কোরিওগ্রাফিটা থাকে পিটারের।’ সব দলের সঙ্গে পিটারকে রাখার ব্যাখ্যা দিয়ে বাফুফের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মাথার ওপর যে বটগাছ থাকে, সে যেভাবে ছায়াটা দেয় সেটাই বেটার। এখানে দুই তিনটা গাছ থাকলে সমস্যা। তার ছায়াতেই বাকিরা কাজ করবে। তখন একটা ডিসিপ্লিন থাকে ও ট্রাকিংয়ে সুবিধা হবে। আমাদের এটায় কোনো সমস্যা নেই। পিটার ধরুণ অনূর্ধ্ব-১৭তে ভুটান যাবে। সে সময় সিনিয়ররা ঢাকায় অনুশীলন করবে। সেই ডিজাইনটা কিন্তু পিটারের করা। কীভাবে অনুশীলন হবে সেটা এক্সিকিউট করবে লোকাল কোচ।’ এদিকে এশিয়ান কাপের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দলের সঙ্গে খেলতে চান না জানিয়ে কিরণ বলেন, ‘আমরা জাপান, কোরিয়া, চীনের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে চাই। ২০২২ সাফ জেতার আগে কিন্তু চীন কোরিয়া জাপান ও সিঙ্গাপুরে আমরা মেয়েদের অনুশীলন করিয়েছি। তাদের দলের বিপক্ষে খেলেছি। ওই লেভেল থেকে বিল্ডআপ করে নিয়ে আসার পর কিন্তু সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাই এটা আমাদের মাথায় আছে। আমি বাফুফে প্রেসিডেন্ট তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে কথা বলবো, যে আমরা ওই লেভেলে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলতে চাই। কারণ এর কোনো বিকল্প নেই। ৭ মাসের ভেতর এগুলো করবো। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’