তিন যুগ পর বাংলাদেশের লীগে শ্রীলঙ্কান ফুটবলার

এক সময় বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের অনেকেই খেলেছেন। যাদের মধ্যে বড় নাম ছিল লিওনেল পিরিচ, প্রেমলাল, পাকির আলী, চন্দ্র সিঁড়ি, মাহেন্দ্র পালা, অশোকা রবীন্দ্র, মাহেন্দ্র পালিথা, শাহাবুদ্দিন। আবাহনীই শ্রীলঙ্কান ফুটবলারদের খেলিয়েছে। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে আবাহনীতে খেলেন শ্রীলঙ্কান ফুটবলার পাকির আলী। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আরেকজন শ্রীলঙ্কান ফুটবলারকে দেখা যাবে বাংলাদেশের শীর্ষ লীগে। আসন্ন মৌসুমে শ্রীলঙ্কা জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক গোলরক্ষক বীরাসিংঘে সুজন পেরেরাকে নিবন্ধন করিয়েছে ফর্টিস এফসি। বিষয়টি নিশ্চিত কওে দলটির ম্যানেজার রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩২ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষককে দলে নিয়েছি। সুজন পেরেরা শ্রীলঙ্কার জার্সিতে ৫৬ ম্যাচ খেলেছেন। ঘরোয়া ফুটবলে সর্বশেষ তিনি খেলেছেন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবে।’ এই মৌসুমে দক্ষিণ 
এশিয়ার ফুটবলারদের স্থানীয় হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবে ক্লাবগুলো। এই সুযোগটা প্রথমেই নিলো ফর্টিস এফসি। গত ১লা জুন শুরু হয়েছে ২০২৫-২৬ মৌসুমের খেলোয়াড় নিবন্ধন। এদিকে বসুন্ধরা কিংস ঘর গোছানোর দিকে এগিয়ে আছে। তারা আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়কে দলে নেওয়া নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে। যদিও বসুন্ধরা কিংসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। বসে নেই আবাহনী লিমিটেডও। এএফসি চ্যালেঞ্জ লীগকে সামনে রেখে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে ছয় বারের লীগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। শোনা যাচ্ছে সবশেষ মৌসুমে পুলিশ এফসি’র হয়ে ১১ গোল করা মোহাম্মদ আল আমিনকে দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী। মোহামেডানের গোলরক্ষক মো. সুজন 
নাম লেখাতে যাচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিতে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই কথা বলতে চান না আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপু। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো কারো সাথে কথা বলিনি। সবে অফিসিয়ালদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দুই একদিনের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত করে আমরা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে অনুশীলন শুরু করবো।’