খেলা
জোটার ২০ নম্বর জার্সি ‘অমর’ করে রাখছে লিভারপুল
স্পোর্টস ডেস্ক
৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
মর্মান্তিক সড়ক ঘটনায় অকালে প্রাণ হারিয়েছেন লিভারপুল ফুটবলার দিয়োগো জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা। পর্তুগালের এই তারকার মৃত্যুতে শোকে ভাসছে ফুটবলদুনিয়া। অলরেডদের হয়ে ২০ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন জোটা। অনেক সমর্থক তার পরা ২০ নম্বর জার্সি অবসরে পাঠানোর দাবিও তুলেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে জোটার জার্সি ‘অমর’ হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছে লিভারপুল কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে লিভারপুল কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘২০২৪-২৫ মৌসুমে লিভারপুলের ২০তম লীগ শিরোপা জয়ে তার অবদানের জন্য নম্বর ২০ নম্বর জার্সিটি যথাযথভাবেই অমর হয়ে থাকবে। এপ্রিলে মার্সিসাইড ডার্বিতে সমর্থকদের সামনে স্বভাবসুলভ হালকা চালে শরীর দুলিয়ে করা জয়সূচক গোলটি ছিল তার জীবনের শেষ গোল। যা আজও হৃদয় ছুঁয়ে যায়।’
গত ৩রা এপ্রিল অ্যানফিল্ডে এভারটনের বিপক্ষে লিভারপুলের ১-০ ব্যবধানের জয়ে একমাত্র গোলটি করেছিলেন জোটা। জোটার জার্সিকে অবসরে পাঠানো এবং ভবিষ্যতে আর কেউ এই জার্সি পরবে কি না সেটি স্পষ্ট না করলেও ভক্তদের অনেকে ক্লাবের এই বিবৃতিকে জার্সি অবসরে পাঠানোর ঘোষণা হিসেবে দেখছেন। একইভাবে অনেক সংবাদমাধ্যমও ‘অমর’ করে রাখাকে জার্সি অবসরে পাঠানোর সমার্থক হিসেবে দেখছে।
এর আগে ম্যাক্সি নামে একজন ভক্ত এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘ফুটবল এ মুহূর্তে সবচেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে আমি আশা করি, লিভারপুল ২০ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠাবে। মর্মান্তিকভাবে দিয়োগো জোটাকে হারানোর পর অন্য কাউকে এই জার্সি পরতে দেখা সমর্থকদের জন্য খুবই বাজে ব্যাপার হবে।’ মিকি জুনিয়র নামে অন্য একজন লিখেছেন, ‘দিয়োগো জোটা ২০২০ সালে লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন। তিনি ২০ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন। আর এই মৌসুমে লিভারপুল ২০তম শিরোপা জিতেছে এবং আমরা তাকে হারিয়ে ফেললাম। ক্লাবের উচিত তার সম্মানে ২০ নম্বর জার্সিকে আজীবনের জন্য অবসরে পাঠানো।’
জোটার জন্মস্থান পর্তুগালের গোন্দোমারের প্রধান গির্জা ‘ইগ্রেজা মাতৃজ দে গোন্দোমার’-এ আগামীকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা) তার ও আন্দ্রের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। এরপর স্থানীয় সমাধিস্থলে তাদের সমাহিত করা হবে। ২৮ বছর বয়সী জোটা বৃহস্পতিবার মারা যান। পর্তুগিজ এই ফুটবলার ও তার ভাই আন্দ্রেকে নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পর্তুগাল থেকে লিভারপুলের ক্যাম্পে ফিরছিলেন জোটা। ফুসফুসে অস্ত্রোপচারের কারণে তাকে প্লেনে উঠতে নিষেধ করেছিলেন ডাক্তাররা। এ কারণেই ছোট ভাইকে নিয়ে প্রিয় ল্যাম্বরগনি চালিয়ে ফিরছিলেন জোটা। কিন্তু স্পেন পার হওয়ার আগেই দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো তার প্রাণ। স্পেনের জামোরা প্রদেশের এ-৫২ মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। এরপর গাড়িতে আগুন ধরে গেলে পুড়ে মারা যান দুই ভাই।