বাংলারজমিন
আশুলিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলি, আতঙ্কে এলাকাবাসী
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
৩০ জুন ২০২৫, সোমবারসাভারের আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলির শব্দে ভয় পেয়ে যান স্থানীয়রা। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল ভোরে আশুলিয়া থানার গাজীরচট এলাকার প্যারাগন পোল্ট্রির সামনে দীর্ঘদিন ধরে ১৮ বিঘা সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গাজীরচট এলাকার ১৮ বিঘা সম্পত্তি নিয়ে মো. আব্দুর রহিম ও আব্দুল মতিনের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে ওই জমি দখল নিতে গেলে একাধিকবার দু’পক্ষের মধ্যে গুলির ঘটনা ঘটে। গত ৫ই আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আব্দুর রহিম খান পুনরায় তার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে নিজের জমি আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান দুলাল ডাক্তারকে পাওয়ার দেন। এদিকে, জমির মালিকানা পাওয়ার নেয়ার পর থেকে দুলাল ডাক্তার ও মতিন খানের মধ্যে মালিকানা দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ভোরে জমির মালিক আব্দুর রহিম ও তার লোকজন ওই এলাকায় গিয়ে অপর পক্ষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ৪-৫ রাউন্ড পিস্তলের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রতিপক্ষের লোকজনও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলির বিষয়ে জানতে আব্দুল মতিনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে, তার প্রতিপক্ষ দুলাল ডাক্তার বলেন, জমিজমা থাকাটাও একটা বিপদ। আজকে ৯ মাস ধরে নিজের জমি রক্ষার জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। গুলির ঘটনাটি একটা সাজানো নাটক। মতিন নিজেই নিজের লোক দিয়ে গুলি করে থানা এবং আর্মি ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন। আমিও সব জায়গায় জানিয়ে রেখেছি। তার জমি হলে সে কাগজ নিয়ে বসে মীমাংসা করুক। আমি আইনে না পেলে জমি নেবো না। গত ১৭ বছর অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। আমার বিরুদ্ধে গত সরকারের আমলে ৪৩টি মামলা হয়েছে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় ওরিয়ন গ্রুপের সিইও আব্দুল মতিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে গুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।