বাংলারজমিন
এনবিআরের কর্মবিরতিতে স্থবির বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২৫, সোমবারদ্বিতীয় দিনের মতো পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই কর্মবিরতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্থলবন্দরটি। অবসর সময় পার করা সহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী, শ্রমিক, ভিনদেশি ট্রাকচালক ও সংশ্লিষ্টরা। কর্মবিরতির কারণে গতকাল সকাল থেকে এ বন্দরটি দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি হয়নি। চেয়ার শূন্য অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে বন্দরের কাস্টমস কার্যালয়। তবে স্বাভাবিক ছিল ইমিগ্রেশনে যাত্রী পারাপার।
শনিবার ভুটান থেকে আমদানি হওয়া ১৫১টি পাথরবোঝাই ট্রাক কাস্টমসের ক্লিয়ারেন্স ও ছাড়পত্র না পাওয়ায় বন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়ে আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাধা সৃষ্টির পর এবার বাংলাদেশে কাস্টমসের আন্দোলনে সমস্যায় পড়েছে বন্দরসংশ্লিষ্ট সবাই। এতে করে দিনের পর দিন নতুন সমস্যায় যেমন ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার ইসাহাক বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। কর্মবিরতি পালন করা হলেও সকল কর্মকর্তা কার্যালয়ে উপস্থিত আছেন। কর্মবিরতিতে সরকারের রাজস্ব ঘাটতির ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি শুল্ক স্টেশনের এই কর্মকর্তা।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এনবিআরের কর্মসূচি চলমান থাকায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে রোববার পর্যন্ত কোনো আমদানি-রপ্তানি হয়নি। তবে শনিবার কোনো রপ্তানি না হলেও বন্দরটিতে ১৫১ ট্রাক পাথর আমদানি হয়েছে। কিন্তু গতকাল কাস্টমসের পক্ষ থেকে কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় ১৫১টি ট্রাক এখনো বন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়ে আছে। আশা করি সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে সোমবার থেকে আবারো কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়া সহ আটকে থাকা গাড়িগুলো ফেরত যেতে পারবে।