বাংলারজমিন
মির্জাগঞ্জে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বজনদের দাবি হত্যা
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০২৫, রবিবার
মির্জাগঞ্জে ১৪ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কিশোরী উপজেলার ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী। শুক্রবার ভোর রাতে নিজ বাড়ির বসতঘর থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু স্বজনরা দাবি করছেন ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর ধরে ওই শিক্ষার্থী তার দাদী রোকেয়া বেগমের সঙ্গে বসবাস করেছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার দাদী তাকে বাসায় একা রেখে পান খাওয়ার জন্য অন্য বাসায় যান। তখন সে পড়ার টেবিলে ছিল এবং তার কয়েক ঘণ্টা পর দাদী বাসায় এলে ঝুলন্ত অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে তার লাশ দেখতে পান। কিশোরীর খালা উপমা পারভিন খাদিজা বলেন, আমার বোনের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি বরং তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। বেশ কয়েক মাস ধরে ফুফাতো ভাই সাকিল ও সাজিত বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিল তাকে। একদিন গোসল করতে গেলে ওর ফুফাতো ভাইরা গোপনে তা ভিডিও করে রাখে এবং যা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, তার বোনের মেয়ে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে তার ফুফাতো ভাইদের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলতো এবং কান্না করতো। মামাতো ভাই আশিকুল ইসলাম সিয়াম বলেন, শুক্রবার রাত ২টার সময় ওর দাদী রোকেয়া বেগম ফোন দিয়ে বলে গলায় ফাঁস দিয়েছে। কিন্তু ঘটনা ঘটে রাত ১০টার দিকে আর আমাদের জানায় রাত ২টায়। এটি কোনোভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। তবে, এ বিষয়ে তার দাদী রোকেয়া বেগমকে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. শামীম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।