বাংলারজমিন
আমদানি-রপ্তানিতে ফিরেছে বন্দরগুলো
বাংলারজমিন ডেস্ক
(৪ ঘন্টা আগে) ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার, ৯:১০ অপরাহ্ন
দু’দিনের শাটডাউন কর্মসূচি শেষে পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছেন কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে স্থল ও নৌবন্দরে কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। রোববার রাতেই সরকার একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করে সব কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তাকে অবিলম্বে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়। এতে গতকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ফিরেছে বন্দরগুলো। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, শাটডাউন কর্মসূচি শেষে পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস ও কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দু’দিনের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। পণ্য খালাসে মারাত্মক জট সৃষ্টি হয়। সরকারের রাজস্ব আদায়েও বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দেওয়ায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, রোববার রাত থেকে কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার হাউসও খুলে গেছে। আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু হয়। বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম জানান, আন্দোলনের কারণে দু’দিন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় আমদানি রপ্তানি। এতে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে আটকে পড়ে সাত শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া ১৩টি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে। এনবিআরের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে। এরপর কর্মকর্তারা কাজে ফেরায় আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।
হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তা, কর্মচারীরা তাদের কাজে যোগ দেয়ায় কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। সোমবার সকাল থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বন্দরে আটকে থাকা আমদানিকৃত পণ্যের বিলঅফএন্ট্রি সাবমিট থেকে শুরু করে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন, কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে বন্দরের আমদানিকারক ও সিআ্যন্ডএফ এজেন্টগনের মাঝে। সেই সাথে বন্দরের ভেতরে পণ্য লোড আনলোড কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি জানান, সোমবার সকাল থেকে পুরোদমে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে গোটা বন্দর এলাকায়। কাজে যোগদান করেছেন চার হাজার বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক। কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে পণ্য শুল্কায়ন ও খালাস দিতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন।
প্রসঙ্গত, এক অধ্যাদেশে সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে পৃথক দু’টি বিভাগ গঠনের উদ্যোগ নেয়। কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তকে প্রশাসনিক কাঠামো ও কার্যকারিতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে মনে করছেন। তাদের দাবি, এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, এনবিআর চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে এবং ট্যাক্স প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এসব দাবিতে তারা বেশ কিছুদিন আন্দোলন করে আসছিলেন।