বাংলারজমিন
মেহেরপুরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন
মেহেরপুর প্রতিনিধি
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবারমেহেরপুরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক এসএম নাসিম রেজা এবং নারী ও শিশু নির্বাচন দমন ট্রাইব্যুনাল জেলা ও দায়রা জজ মো. তহিদুল ইসলাম রায় দু’টি দেন। নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে মর্মে প্রচার চালানো মামলার আসামি সেন্টুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এ ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক এসএম নাসিম রেজা এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত সেন্টু মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আকুবপুর বাজার পাড়ার ইমরুল ইমার ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সেন্টু তার স্ত্রী সাগরিকা খাতুনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে মর্মে প্রচারণা চালান। পরে সাগরিকার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ১৭ই জানুয়ারি নতি সংশ্লিষ্ট কাগজাদি পর্যালোচনা করে আসামি সেন্টুর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি সেন্টু দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সেন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর সাইদুল রাজ্জাক এবং আসামি পক্ষে একেএম নুরুল হাসান রঞ্জ কৌঁসুুলি ছিলেন। অন্যদিকে, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বপন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্বাচন দমন ট্রাইব্যুনাল মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত স্বপন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর গাংনী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের স্বপন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তারা ঘোরাফেরা করে। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আকবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে ভুক্তভোগীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকালে ভুক্তভোগী বিষয়টি তার বাবাসহ এলাকাবাসীকে অবহিত করে। পরে ভুক্তভোগীর বাবা স্বপন এবং সাহারুলের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। স্বপন দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ইসরাত জাহান তমা এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট আতাউল হক আনটু কৌঁসুলি ছিলেন।