বাংলারজমিন
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবাররাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসিসি)’র দুই কর্মকর্তা, পরিদর্শক আবু বকর ছিদ্দিক ও উপ-পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম জবেদা খাতুন (৫৫)। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের স্বামী মৃত এলেম খাঁর স্ত্রী। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন সচেতন মহল থেকে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী জবেদা খাতুন, গত রোববার বিকালে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ১৯শে জুন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে তিনি গোয়ালন্দ ঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া পুরাভিটা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের সন্ধানে যান। এ সময় রাজবাড়ী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবু বক্কর ছিদ্দিক ও উপ-পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন তাকে পেছন থেকে আচমকা ঝাপটে ধরে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ও ওয়ারেন্ট না থাকা সত্ত্বেও তারা পরস্পর যোগসাজশে তার শরীরের পরিধেয় বস্ত্র খুলে উলঙ্গ করে ফেলে। তিনি প্রতিবাদ করলে তারা তাকে লাঠি দিয়ে মারপিট ও কিল-ঘুষি মারে। তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানেও হাত দেয়। পরে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা ভয়ভীতি দেখায়। বলে, ‘আজ বেঁচে গেলি। ভবিষ্যতে তোকে একা পেলে মাদক দিয়ে চালান দিয়ে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো। আর এ ঘটনা কাউকে জানালে তোর জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন পুরো ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি ১৯শে জুন সন্ধ্যায় দৌলতদিয়া ঘাটে ডিউটিতে ছিলাম। কিন্তু কোনো নারীর সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমি কোনো নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করিনি। আর অভিযুক্ত পরিদর্শক, আবু বকর ছিদ্দিকের কাছে মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের কপি আমিও পেয়েছি। ফোন রাখেন। আমার সঙ্গে ফালতু আলাপ করবেন না। যা পারেন লিখেন।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লা জাহিদ জানান, আমি অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাইনি। আপনার মারফত জানতে পেলাম। অভিযোগের কপি হাতে পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।