বাংলারজমিন
মুন্সীগঞ্জে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে গুলি, পিস্তলসহ যুবক আটক
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২৫, সোমবারমুন্সীগঞ্জ সদরে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পিস্তল ও ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার রামপাল কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের ১৫ গজের মধ্যে পূর্ব দেওসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবককে আটক করার সময় ধস্তাধস্তি, কিল-ঘুষি ও পিস্তলের বাঁটের বাড়িতে আহত হন ৩ পুলিশ সদস্য। আটক ওই যুবকের নাম সাব্বির হোসেন ওরফে দিপু (২৯)। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার মাজদাইর এলাকার আবুল কালামের ছেলে। পুলিশ বলছে, আটক সাব্বিরের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে হত্যা, মারামারি ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- হাতিমাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এমদাদুল হক (৪২), পুলিশ সদস্য সাজেদুর রহমান (২৬) ও রবিউল আলম চৌধুরী (৪৯)। এ ঘটনার পর আহত পুলিশ সদস্য ও সাব্বিরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগ থেকে রামপাল কলেজ কেন্দ্রের সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছিল এমদাদুলসহ পুলিশ সদস্যরা। দুপুর ১টার দিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা কেন্দ্র থেকে বের হতে থাকেন। সে সময় কেন্দ্রের সামনের সড়ক দিয়ে একটি প্রাইভেটকার যাচ্ছিলো। একই পথে আরেকটি মোটরসাইকেলও যাচ্ছিলো। সড়কে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চাপাচাপিতে মোটরসাইকেলটি প্রাইভেটকারের পেছনে সামান্য ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকার চালক সাব্বির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে কোমরের ভেতর থেকে পিস্তল বের করে মোটরসাইকেল চালককে গুলি করার হুমকি দেয়। সে সময় পুলিশ সদস্যরা দূর থেকে বিষয়টি দেখেন। প্রাইভেটকার চালককে পুলিশ সদস্যরা ধরতে আসেন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যান। পরে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে সাব্বির। একপর্যায়ে পুলিশ এবং প্রাইভেটকারচালক সাব্বিরের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। সে পুলিশদের মেরে পালিয়ে যেতে চায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা সাব্বির হোসেনকে অবরুদ্ধ করে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। আহত পুলিশের উপ-পরিদর্শক এমদাদুল হক জানান, আমরা যখন ওই যুবককে জিজ্ঞাসা করতে সামনে যাই তখন সে আমাদের লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। আমরা কোনোমতে প্রাণে রক্ষা পাই। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্য পানিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়। আমাকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয়। স্থানীয়রাও আমাদের সহযোগিতা করে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে হত্যা, একাধিক অস্ত্র-মাদকের মামলা রয়েছে। সাব্বিরের কাছ থেকে একটি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোঁসা ও ৭০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সাব্বিরের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।