বাংলারজমিন
পার্বত্য উপদেষ্টা ও যুগ্ম সচিবের অপসারণে প্রধান উপদেষ্টাকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২৫, সোমবার
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এবং একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার অপসারণে প্রধান উপদেষ্টাকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ত্রিপুরা-মারমা সচেতন নাগরিক সমাজ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেন তারা। এরপর মানবন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ ত্রিপুরা-মারমারা জনতা। আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রুমেল মারমা, আব্রে মারমা, ইঞ্জিনিয়ার ক্যরী মগ, মারমা মহিলা নেত্রী উক্রাচিং, অংগ্য মারমা প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে আপদকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় খাদ্যশস্যের অর্থ নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে বরাদ্দ দিয়ে বৈষম্য করে যাচ্ছেন। বক্তারা আরও বলেন, “পার্বত্য উপদেষ্টা কেবল একটি গোষ্ঠীকে সুযোগ দিয়ে ত্রিপুরা, মারমা ও বাঙালি গোষ্ঠীকে বঞ্চিত করেছে। পার্বত্য মন্ত্রণালয় কোনো একটি গোষ্ঠীর জন্য নয়, এটি সকল সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্ত এখানে প্রচণ্ডভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে। বিভিন্ন বরাদ্দে আমাদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমাদের নির্দিষ্ট ৪টি দাবি- সুপ্রদীপ চাকমাকে অপসারণ, তার সহচর যুগ্ম সচিব কংকন চাকমাকে অপসারণ, খাদ্যশস্যসহ যেকোনো বরাদ্দে সুষম বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ন্যায্যার ভিত্তিতে সকল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।” আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্ম সচিব কংকন চাকমাকে পদ থেকে অপসারণ করা না হলে বিক্ষুব্ধরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে এবং অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বলে আল্টিমেটাম দেয়া হয় সমাবেশ থেকে।