অনলাইন
অক্টোবর থেকে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য ‘কর্মজীবী সঞ্চয় তহবিল’ বাধ্যতামূলক করছে মালয়েশিয়া
স্টাফ রিপোর্টার, মালয়েশিয়া
(৮ ঘন্টা আগে) ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০১ অপরাহ্ন

ছবি: সংগৃহীত
আগমী অক্টোবর থেকে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য দ্য এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) অর্থাৎ কর্মজীবী সঞ্চয় তহবিল বাধ্যতামূলক করছে মালয়েশিয়া।
ইপিএফ ঘোষণা করেছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের জন্য ইপিএফ বাধ্যতামূলক করা হবে। এ পদক্ষেপের ফলে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা জোরদার এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আরও ন্যায্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করছে তারা।
গতকাল ইপিএফ-এর এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, নতুন এই আইন অনুযায়ী বৈধ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগ (জিআইএম) কর্তৃক ইস্যুকৃত ওয়ার্ক পারমিট থাকা সব বিদেশি কর্মীদের জন্য ইপিএফ চাঁদা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে গৃহকর্মীরা এই আইনের আওতার বাইরে থাকবেন।
এই বাধ্যবাধকতা ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের বেতন থেকে কার্যকর হবে, যা পরের নভেম্বর মাসের চাঁদা হিসেবে গণ্য হবে। শ্রমিক ও মালিক—উভয়ের জন্যই মাসিক বেতনের ২ শতাংশ হারে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে ইপিএফ-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানিয়েছে, নতুন আইন বাস্তবায়নের আগে মালিক ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ আরও জোরদার করা হয়েছে। বাজেট-২০২৫ ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০টির বেশি কৌশলগত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন বিভাগ, মালয়েশিয়ান ফেডারেশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্স, এনজিও এবং কোম্পানির মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
বারনামা লিখেছে, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে শ্রমিকদের জন্য ইপিএফে অংশগ্রহণ স্বেচ্ছাধীন। কিন্তু এখন এই অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে সব শ্রমিকের জাতীয়তা নির্বিশেষে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। যা শ্রমবাজারে ন্যায্যতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে বলে ইপিএফ জানিয়েছে।
মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন www.kwsp.gov.my ওয়েবসাইট বা নিকটস্থ যেকোনো ইপিএফ অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। বিস্তারিত জানতে ইপিএফ যোগাযোগ ও পরামর্শকেন্দ্রে (০৩-৮৯২২ ৬০০০) ফোন করার অনুরোধও জানিয়েছে দেশটির দ্য এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর যৌথ উদ্যোগে দেয়া এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মালয়েশিয়া বিগত কয়েক বছরে বিদেশি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি করেছে। তবে অনেক শ্রমিক এখনো পুরোপুরি সুবিধা পাচ্ছেন না, কারণ রয়েছে বাস্তবিক কিছু প্রতিবন্ধকতা।
এর বিপরীতে আইএলও-এর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে, পারকেসো-এর ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ (স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড করপোরেট) এডমন্ড চিওং বলেছেন, ‘আইএলও-পারকেসো অ্যাকচুয়ারিয়াল প্রজেক্টের মাধ্যমে করা হিসাব-নিকাশ দেখিয়েছে, কভারেজ বাড়ালে আর্থিকভাবে লাভজনক হবে এবং কর্মসূচির গুণগত মানও উন্নত হবে। মালয়েশিয়ায় ২০২৪ সালের জুলাই থেকে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য ইনভ্যালিডিটি এবং সারভাইভার্স স্কিম চালু হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সাল থেকে তারা এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমের আওতায় আসার পর ইতিবাচক ফলাফল দেখা গেছে।’