অনলাইন
মুসলিম নারীরা একতরফাভাবে তালাক দিতে পারেন: তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট
মানবজমিন ডিজিটাল
(৫ ঘন্টা আগে) ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:৫৮ অপরাহ্ন
একজন মুসলিম নারীর ‘খুলা’-র মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার রয়েছে। এজন্য স্বামীর অনুমতির প্রয়োজন নেই। বিশেষ মুসলিম আইনই এই অধিকার দিয়েছে। এক পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেছে ভারতের তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।
‘খুলা’ হল একজন মুসলিম নারীর তার স্বামীকে একতরফাভাবে তালাক দেয়ার অধিকারকে বোঝায়। এটি শরিয়ত আইনের অধীনে মুসলিম পুরুষদের দেয়া তালাকের অধিকারের মতোই বিষয়। তেলঙ্গানা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিআর মধুসূদন রাওয়ের বক্তব্য, খুলার মধ্যে কোনো ভুল নেই। এটি সংঘাতহীন বিবাহবিচ্ছেদের একটি পদ্ধতি। যা স্ত্রী কার্যকর করেন। তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়ে থাকে।
আদালতের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে আইনত কাজটি হল ওই বিবাহবিচ্ছেদকে বিচারবিভাগীয় সিলমোহর দেয়া। ২০২৪ সালের পারিবারিক আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একজন মুসলিম ব্যক্তির দায়ের করা আপিলের শুনানি চলছিল, যেখানে সাদা-ই-হক শরাই কাউন্সিল কর্তৃক জারি করা ২০২০ সালের বিবাহবিচ্ছেদের সার্টিফিকেট (খুলনামা) বাতিল করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছিল। বিষয়টি ইসলামী পণ্ডিত, মুফতি এবং ইমামদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অ-সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, যা ইসলামী ব্যক্তিগত আইন অনুসারে বৈবাহিক বিরোধের মধ্যস্থতা করে।
খুলাতে রাজি না হওয়ার পর স্ত্রী কর্তৃক প্রণীত বিবাহবিচ্ছেদের বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তি আপিল করেছিলেন। ২০২৪ সালে পরিবার আদালতে মামলা করেন এক মুসলিম ব্যক্তি। ২০২০ সালে স্ত্রীর দেয়া ‘খুলা’ মানতে চাননি তিনি। ‘খুলানামা’ দিয়েছিল সাদা-ই-হক সারাই নামের একটি শরিয়ত কাউন্সিল।
তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট জানিয়েছে, ওই কাউন্সিলের কাছে বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর দেয়ার আইনি অধিকার নেই। তবে মুসলিম পুরুষদের তালাকের সমান্তরাল ‘খুলা’র অধিকার আছে মুসলিম মহিলাদেরও। এই অধিকার মুসলিম আইনই দিয়েছে তাদের।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর খুলার অধিকার স্বামীর তালাকের অধিকারের সমান্তরাল। স্বামী মেহর (মোহরানা) ফেরত দেয়ার জন্য আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু স্ত্রীকে বিবাহ চালিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারেন না।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস