অনলাইন
বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ: সিপিডি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৪ ঘন্টা আগে) ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:০৯ অপরাহ্ন

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনায় হতাশ বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত গুরুত্ব পায়নি বরং ফসিল ফুয়েল নির্ভরতা আরও বাড়ানো হয়েছে। বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া খাত সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর যে আর্থিক সংকট তা উত্তরণে কোনো পদক্ষেপ বাজেটে প্রতিফলন ঘটেনি বলেও জানানো হয়। এক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ গ্যাস আহরণের চেয়ে এলএনজি আমদানি নির্ভরতা দেশের জ্বালানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এজন্য গ্যাসকূপ খনন করার তাগিদ দিয়েছে সিপিডি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: জ্বালানি রূপান্তরের অগ্রাধিকারের ওপর প্রতিফলন’ শীর্ষক সিপিডির আলোচনায় এসব কথা বলা হয়।
এসময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সহযোগী গবেষক হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তী। উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, ‘‘শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ-এই তিন লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা এখনও ‘২.৫০ শূন্যে’ আছি। কারণ বাজেটে এখনও ফসিল ফুয়েল প্রাধান্য পাচ্ছে, এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট ছাড় দেয়া হয়েছে, কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কোনো প্রণোদনা নেই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার মাত্র ৭টি প্রকল্পে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ কম। বাজেটে ৭০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিলের কথা বলা হলেও সেটি যথেষ্ট নয়।’
অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার জ্বালানি খাতে বিপুল ব্যয় করেছে, যার মাধ্যমে জ্বালানির প্রাপ্যতা বেড়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে দেখা গেছে দুর্নীতি ও অপচয়। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা, তারা সুশাসনকে গুরুত্ব দেবে এবং জ্বালানির রূপান্তরে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।’
পাঠকের মতামত
সিপিডি ভাইজান অফিস ভাড়া, কর্মচারী বেতন যোগার হয় ?