ইউনূস-স্টারমার বৈঠক না হওয়া প্রসঙ্গে যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের বৈঠক না হওয়া নিয়ে শোরগোল চলছে বাংলাদেশ ও বৃটেনের রাজনীতিতে। এ নিয়ে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্টকে কাউন্টার করে লিখেছেন অধ্যাপক টিম উইলসন। বৈঠক না হওয়ায় বিব্রত প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস। বিবিসি’র সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি কাউকে দোষারোপ করেন নি। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন আসে। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। বৈঠক না হওয়ার দায় কার? এমন প্রশ্নে সচিব কূটনৈতিক জবাব দেন। তিনি নিজের ওপর দায় নিয়ে বলেন- একটি রাজকীয় আয়োজনে অংশ নিতে বৃটেনে যান প্রধান উপদেষ্টা। উপলক্ষ্য মর্যাদাপূর্ণ কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ। সেই সঙ্গে রাজার সঙ্গে একান্ত বৈঠক। এটি বিরল সম্মান। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো রাষ্ট্র বা সরকার রাজার অডিয়েন্স পেয়েছেন। সফরটিকে অফিসিয়াল সফরে উন্নীত করে বৃটেন। নিরাপত্তাসহ যা যা করণীয় সবই হয়। ঢাকাস্থ বৃটিশ দূত তার সঙ্গে এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে এটি জানান। সেই সঙ্গে বৃটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন হবে বলে জানান। বাংলাদেশ তাই বৈঠকটি হতে পারে বলে মিডিয়াকে জানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য সব বৈঠক হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, বাড়তি অনেক বৈঠক হয়, যা শিডিউলে ছিল না, যেমন বৃটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী। সচিব বলেন, যথাযথ প্রটোকলসহ সবই হলো। কিন্তু একটি বৈঠক না হওয়া নিয়ে আমরা বিব্রত। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা এই সফরের অংশ ছিলাম- সেহেতু কিছুটা দায়ভার আমাদের ওপরও আসে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব। বলেন, ‘এই সফরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল-পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং সেটিতে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। 

পুশইন এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ: এদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন করার বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, আমরা লিখিতভাবে কনস্যুলার সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছি এবং আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে এটি কনস্যুলার সংলাপটি হবে। রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আরও কিছু বিষয়ে লেনদেন হচ্ছে। আমরা ওদের বন্যা পূর্বাভাসের প্রকৃত তথ্য জানানোর জন্য বলেছি। উজানের আরও কিছু পয়েন্টের তথ্য চেয়েছি। সেগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা চলছে।