শেষের পাতা
দূরত্ব কমাতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি’র বৈঠক
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মে ২০২৫, রবিবার
নানা ইস্যুতে দূরত্ব কমাতে বৈঠক করেছে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম তিন অংশীদার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি। অতি সম্প্রতি উপদেষ্টা পাড়ায় একজন উপদেষ্টার বাসায় এ বৈঠকটি হয়। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নেতারা সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো আলোচনা করেন। সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপি’র সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে এই তিন দলই প্রায় কাছাকাছি বক্তব্য রাখে।
গত কিছু দিন ধরে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে নানা ইস্যুতে মতবিরোধ প্রকাশ পাচ্ছে। কয়েক জন উপদেষ্টার নাম ধরে তাদের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘিরে একের পর আন্দোলনে ক্ষুব্ধ হতাশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপরই চারদিকে নানা তৎপরতা শুরু হয়। সরকারের ভেতরে বাইরে অস্থিরতা প্রকাশ পেতে থাকে। এমন অবস্থায় জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া দলগুলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজেদের মধ্যে ঐক্য জোরদারের অংশ নেয়। দূরত্ব কমাতে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই প্রধান তিন দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের এই বৈঠকটি হয়। সূত্র জানায়, নির্বাচনের পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসরদের সুবিধা হয় এমন কোনো তৎপরতা না চালাতে পরামর্শ আসে নেতাদের কাছ থেকে।
পাঠকের মতামত
সব দলের সহনশীল হওয়া উচিত।কথায় কথায় আন্দোলন করলে চলবে না।
দেশের এই ঐক্যের ফাটলের জন্য সরকারের উপদেষ্টাদের বিভিন্ন কথাবার্তা ও উদ্ভূত আচরণের জন্য দায়ী !ওইসব উপদেষ্টাদের অপসারণ না করলে সমস্যা মিটবে না!
এক টুকরো রুটির জন্য দেশটা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন তা হতে পারে না। আপনি যে দলের ই হোন না কেন, ঐক্য বিনষ্ট করার মত কোন পদক্ষেপ নিয়েন না আল্লাহর ওয়াস্তে। পতিত স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে সবার জন্যই বিপদ। আওয়ামীলীগের কাছে দেশের পনের কোটি মানুষই শত্রু। সুতরাং আপনারা সমঝোতার নামে কিছু সুবিধা নিলে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতিতে পরবে জাতি। সুতরাং সংযত হোন।
দূরত্ব কমেছে বলে মনে হয় না। পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত। ব্যর্থতা সরকারের ।