লন্ডন বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। এতে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এ কথা বলেন। এর আগে সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠকে আবদুল মঈন খান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, আজকের বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিস্থিতি, লন্ডনে যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে- তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এবং পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের যে ভৌগোলিক জিও পলিটিক্যাল অবস্থান, সে সম্পর্কে বাংলাদেশ এবং তার পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, সেসব কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর বাংলাদেশের মানুষকে যদি কেউ বলে যে, তুমি কি পোলাও কোরমা চাও, নাকি তুমি ভোট দিতে চাও। তখন বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু বলবে যে, আমি ভোট দিতে চাই। না খেয়ে থাকলে অসুবিধা নেই। ভোট বাংলাদেশের মানুষের রক্তের ভেতরে মিশে আছে। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃটিশ হচ্ছে গণতন্ত্রের সূতিকাগার। ওরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাইবে না তো, কে চাইবে? এখানে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। 
নির্বাচন নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আপনারা তো জানেন, আমাদের কথা এখন একটাই। বাংলাদেশের মানুষের যে ইচ্ছার প্রতিফলন, দেশের নতুন প্রজন্ম, যারা দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। দেশের কোটি কোটি মানুষ, ১২ কোটি ভোটার বলা হচ্ছে- তারা ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ। ভোটের ব্যাপারে যখন নিশ্চিত ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে আসে, বলা হয় যে- নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো দেশের মানুষ উচ্ছ্বাস হয়ে যায়।

তিনি বলেন, সারাহ কুকের সঙ্গে দেশের চলমান অবস্থা, রাজনীতি, শিক্ষা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতাসহ সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান তা নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। 

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, ১৩ই জুন একটি মিটিং হয়েছে। এটা অবাক কাণ্ড! ১৩ই জুনের পর থেকে বাংলাদেশের একটা গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা কিন্তু অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যে যাই কথাই বলুক না কেন। মানুষ এখন উৎসাহী, সামনের দিকে তাকাচ্ছে। মানুষ সেখানে চিন্তা করছে যে দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই গণতন্ত্রের জন্যই তো বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের গণতন্ত্র প্রয়োজন এবং গণতান্ত্রিক যে প্রতিষ্ঠান সেগুলোকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করতে হবে। যাতে মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার এদেশে প্রয়োগ করতে পারে।