ঢাকা, ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

হামলায় কাঁপছে ইরান-ইসরাইল

মানবজমিন ডেস্ক
১৫ জুন ২০২৫, রবিবার
mzamin

ইসরাইলি হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইরান। শুক্রবার দিবাগত রাতে এ হামলা শুরু করেছে দেশটি। এই হামলা অব্যাহত থাকতে পারে। কেননা এখনও হামলা বন্ধের কোনো ঘোষণা দেয়নি ইরান।  রেডিও তেহরানের এক খবরে বলা হয়েছে, ইরান এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘ট্রু প্রমিজ-থ্রি’। যার ছদ্মনাম ‘আলী ইব্‌নে আবি তালিব’। পক্ষান্তরে ইসরাইল তাদের অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। গোটা ইসরাইলে ইরানের হামলার প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তেল আবিবে সরাসরি আঘাত হেনেছে। স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিবে অবস্থিত যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এছাড়া বহুতল বেশ কিছু ভবনেও আঘাত হেনেছে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। এতে ৩ জন নিহত এবং কয়েকডজন আহত হয়েছেন। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মোট পাঁচ ধাপে হামলা চালিয়েছে ইরান। পঞ্চম ধাপে টাইবেরিয়াস, অধিকৃত গোলান এবং লোয়ার গ্যালিলিতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, তেল আবিবে ইরানের পঞ্চম ধাপের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ছয়টি ভবন সম্পূণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরাইলের তিনটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরান। পাশাপাশি দু’জন ইসরাইলি পাইলটকে আটক করারও দাবি করা হয়েছে। ইসরাইলও ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ফ্রান্সের ঘাঁটিতে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটির এক্স অ্যাকাউন্টে এক ঘোষণায় ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হরমুজ প্রণালি দিয়ে কোনো জাহাজ চলতে পারবে না। এ ঘোষণার পর বৈশ্বিক তেলের বাজারে আগুন জ্বলে উঠেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইরানকেও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইরান যদি নতুন করে হামলা চালায় তাহলে গোটা তেহরান জ্বলবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইরানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০ জনে। আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২০ জনে। যদিও নিরপেক্ষ কোনো সূত্রের মাধ্যমে এসব খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। এছাড়া ইসরাইলের বাস্তব পরিস্থিতির খুব কমই জানা গিয়েছে। কেননা সংঘাতের খবর প্রচারে দেশের গণমাধ্যমগুলোর ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলের পক্ষ নিলে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ফ্রান্সের ঘাঁটি ও জাহাজে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন অথবা ফ্রান্স যদি কোনো হস্তক্ষেপ করে তাহলে দেশগুলোর আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটি ও নৌবাহিনীর জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে তেহরান। 

পক্ষান্তরে ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বিমানবন্দরে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি একজন সাংবাদিকের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলছে, মেহরাবাদ বিমানবন্দরে এই আগুন লেগেছে। সেখান থেকে গাঢ় ধোঁয়া আকাশে উঠে যাচ্ছিল। ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর বলেছে, বিমানবন্দর এলাকায় একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাতে সেখানকার ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে ছড়িয়ে পড়ার ছবি শেয়ার করা হয়। তবে কীভাবে এই আগুন লেগেছে, সে বিষয়টি জানা যায়নি। এর মধ্য দিয়ে ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে এই ‘যুদ্ধ’। এ অবস্থায় উভয়পক্ষকে উত্তেজনা বৃদ্ধির পথ পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের এখনই সময়। এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন- ইসরাইলি বোমাবর্ষণ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায়। তেল আবিবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। যথেষ্ট হয়েছে। এখন থামার সময়। শান্তি ও কূটনীতি জয়ী হোক। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন জানান, তিনি ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট ইসহাক হারজকের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি এক্সে লিখেছেন- আমি আবারো ইসরাইলের আত্মরক্ষা ও জনগণকে রক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানিয়েছি। একই সঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন।

ওদিকে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জনগণকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছে।  জেরুজালেম থেকে বিবিসি’র সাংবাদিক আয়ন ওয়েলস বলছেন, জেরুজালেমে বিস্ফোরণ হয়েছে। আকাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। তিনি লিখেছেন- কিছুক্ষণ আগে জেরুজালেমে আবারো কয়েক মিনিটের জন্য সাইরেন বেজে ওঠে। এখন স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১টা ৩০ মিনিট। ঠিক প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে আগের রাতে প্রথম সাইরেন বেজেছিল। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আমি আকাশে একাধিক ড্রোন উড়তে দেখেছি। কাছাকাছি বেশ জোরালো ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় জানালার কাঁচ কেঁপে উঠেছিল। ইসরাইলে বহুল ব্যবহৃত একটি সাইরেন অ্যাপে এখন পুরো দেশজুড়ে ‘রেড অ্যালার্ট’- দেখাচ্ছে। আমরা আগেও জানিয়েছি, এই শব্দগুলো ইরানের পাল্টা হামলার অংশ নাকি ইসরাইলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে ছোড়া প্রতিরোধমূলক হামলা- তা নিশ্চিতভাবে বোঝা যাচ্ছে না। ইসরাইল আগে জানিয়েছিল, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই পড়ে গেছে বা প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরাইল ও ইরান- উভয় দেশই শুক্রবার দিবাগত রাতের ইসরাইলি হামলার পর থেকে একচুলও পিছু হটছে না। তারা একে একটি ‘যুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। উভয়পক্ষ থেকেই আরও হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাতে অর্থাৎ শনিবার ভোরে ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে ইসরাইলে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে তিনজন। বিভিন্ন স্থানে ভবনগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দিনের আলো ফোটার পর এসব দৃশ্য স্পষ্ট হয়েছে। এসব ধ্বংসযজ্ঞের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে অনলাইন বিবিসি। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, ইসরাইলে ইরানের হামলার তীব্রতা কী ভয়াবহ ছিল। ইসরাইলের তেল আবিবের পূর্বে রামাত জান শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে নিহত হয়েছেন দুইজন। একটি ভবন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন দুইজন। তারা বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে তা পরিষ্কার জানা যায়নি। ইসরাইলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সেখানকার মানুষ এখন দিশাহারা। বাইরে বিকট শব্দ। বিস্ফোরণের শব্দ। সরকার নিয়ন্ত্রিত ইসরাইলি মিডিয়াগুলো বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য আঘাতে সৃষ্ট বিস্ফোরণের শব্দ এসব। কিন্তু নিরপেক্ষ সূত্র থেকে প্রকৃত পরিস্থিতি জানা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে জীবিতদের সন্ধান করছে।

ওদিকে ইরানি কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তিনটি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। পাশাপাশি দু’জন পাইলটকেও আটক করা হয়েছে। তবে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিচাই আদ্রায়ি বলেছেন- ইরানি ভুয়া সংবাদমাধ্যম। ইরানি মিডিয়ায় যে খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পক্ষান্তরে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেছেন, ইরান শুক্রবার বেসামরিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে রেডলাইন বা সীমা অতিক্রম করেছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরান বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রেডলাইন অতিক্রম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ইসরাইলের নাগরিকদের রক্ষা করতে থাকবো। নিশ্চিত করবো যে, আয়াতুল্লাহ খামেনির শাসন ব্যবস্থাকে এই জঘন্য কাজের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। এর আগে ইরানের রেভুল্যুশনারি গার্ড জানায়, তারা ইসরাইলে ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তু, সামরিক ঘাঁটি এবং বিমানঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে।

এদিকে ইসরাইলি জনগণকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুরক্ষিত আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির প্রধান প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। তারা জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরাইলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলো প্রতিহত করতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়-  স্বল্প সময় আগে ইরান থেকে ইসরাইলের ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে আইডিএফ। কেবলমাত্র স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়ার পরই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করা যাবে। সাধারণ মানুষকে আপাতত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেই পরিস্থিতি উন্নতির জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ইসরাইলের তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় বাংকারে অবস্থান নেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ। ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। ওই কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরুর পরপর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি বাংকারে ঢুকে যান। সঙ্গী হন প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। তারা সেখানে বসে সামগ্রিক পরিস্থিতির জরুরি মূল্যায়ন করেন। এর আগে শুক্রবার ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা খবরে বলে, নেতানিয়াহু অজানা আস্তানায় চলে গিয়েছেন। তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছেন না। ওই রিপোর্টে বলা হয়, তিনি হয়তো দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন। তবে দেশের বাইরে যাওয়ার তথ্য নিরপেক্ষ কোনো মাধ্যম থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওদিকে সিএনএন আরও জানায়, বেশ কয়েকজন ইসরাইলি মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি আলোচনায় অংশ নেন। 

ইরানে ইসরাইলের হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে চীন। এ হামলাকে ইরানের ‘সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে দেশটির জাতিসংঘ প্রতিনিধি ফু কং। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতির ফলে ইরানের পারমাণবিক আলোচনার উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তা নিয়ে ‘চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। তিনি ইসরাইলকে সকল সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান, যাতে উত্তেজনা আরও না বাড়ে। ফু আরও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের অধিকারকে পূর্ণভাবে সম্মান জানাতে হবে। উল্লেখ্য, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার চীন, বিশেষ করে জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে। 

ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা আরও জোরদারের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। যে কোনো দেশ ইসরাইলকে রক্ষার চেষ্টা করলে, তাদের আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটিও ইরানের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। শুক্রবার সিএনএনকে এক শীর্ষস্থানীয় ইরানি কর্মকর্তা এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ইরান এই দখলদার শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, যে কোনো দেশ যদি ইসরাইলি শাসনকে ইরানের অভিযানের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করে, তবে তাদের আঞ্চলিক ঘাঁটি ও অবস্থানগুলো ইরানের পরবর্তী টার্গেটে পরিণত হবে। এর আগে মার্কিন ও ইসরাইলি সূত্রগুলো সিএনএনকে জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। একজন ইসরাইলি সূত্র আরও জানান, ওই অঞ্চলের আরও কিছু দেশও ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহায়তা করেছে। পাশাপশি ইসরাইলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি যুদ্ধজাহাজও যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফক্স নিউজ। 
 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status