প্রথম পাতা
সংকট ঘনীভূত, অচলাবস্থা কাটেনি
লুৎফর রহমান
২৪ মে ২০২৫, শনিবার
চারপাশে গুমোট পরিস্থিতি। সংকট ঘনীভূত। কাটেনি অচলাবস্থা। তবে তৎপরতা বেড়েছে সব পক্ষের। নড়াচড়া হচ্ছে ভেতরে-বাইরে। বিরূপ পরিস্থিতিতে হতাশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে অবহিত করার পর থেকে রাজনৈতিক দল, অভ্যুত্থানের অংশীদার সব পক্ষ তৎপর হয়ে উঠেছে। ড. ইউনূসকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ ভুল স্বীকার করে সামনে শোধরে নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। কিন্তু প্রফেসর ইউনূস কী করবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আজ উপদেষ্টাদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকের পরই জানা যেতে পারে পরিস্থিতি নিয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, প্রফেসর ইউনূস দায়িত্ব চালিয়ে নেবেন নাকি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সূত্রের দাবি নানাপক্ষের পরামর্শে ড. ইউনূস আপাতত দায়িত্ব চালিয়ে নেয়ার বিষয়ে কিছুটা সম্মত হয়েছেন। এক্ষেত্রে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। উপদেষ্টা পরিষদে কাটছাঁট হওয়ার আলোচনাও সামনে আছে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা কাটানোর বিষয়েও সরকার সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ ভাবছেন। চলমান সংকট কাটাতে বিভিন্ন পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে। সর্বদলীয় বৈঠকের প্রস্তাবও এসেছে একটি দলের পক্ষ থেকে। সব কিছু মিলিয়ে দুই এক দিনের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্বের কারণেই নতুন এই পরিস্থিতির আবির্ভাব হয়েছে। নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সরকার এবং উপদেষ্টাদের সার্বক্ষণিক সম্পর্ক থাকলেও অন্যান্য দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নবগঠিত দলের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের বিশেষ পক্ষপাত আছে বলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
গত চার দিন ধরে বিএনপি’র তরফে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েও ব্যর্থ হতে হয়েছে। জামায়াতের তরফেও সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রফেসর ইউনূস বা সরকারের দিক থেকে কোনো সাড়া মিলেনি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, প্রফেসর ইউনূস একটি অশুভ চক্রে ঘেরাও হয়ে আছেন। সরকারের ভেতরে চার এবং বাইরের তিনজন এই চক্রে বেশি সক্রিয়। এই চক্রটি চায় না নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাক। তাদের চিন্তা ভিন্ন। তারা প্রফেসর ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন করার মিশনে নেমেছে। প্রফেসর ইউনূস নানা বিষয়ে হতাশার কারণে পদত্যাগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশের পর এই চক্রটি নতুন করে খেলা শুরু করেছে। তারাই বলছে, প্রফেসর ইউনূস পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমরা তাকে পদত্যাগ থেকে বিরত রেখেছি। জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে এমন খবরও রটাচ্ছে এই চক্র। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি এতোটা খারাপ হয়নি।
মানবজমিন-এর কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আলী রীয়াজ সাক্ষাৎ করেন। সূত্রের দাবি প্রফেসর ইউনূস করণীয় ঠিক করতে ড. আলী রীয়াজকে ডেকে পাঠান। নিজের ইচ্ছার বিষয় তাকে অবহিত করেন, এ সময় ড. আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টাকে দায়িত্ব চালিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন। এই বৈঠকে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে তারা আলোচনা করেন। করণীয় নিয়ে কিছু পরামর্শও দেয়া হয়।
সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, দুইজন ছাত্র উপদেষ্টাকে নিয়ে সমস্যা বেশি ঘনীভূত হয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে তাদের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। আরও কয়েকটি দল একই দাবি তুলেছে। এই দুইজনকে রেখে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় থাকে না দলগুলোর এমন দাবি উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে সরকারের ভেতরও কেউ কেউ মনে করছেন। একইসঙ্গে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকার গঠনের সময় বড় ভূমিকায় ছিল। এখন তাদের প্রতিনিধিকে সরকার থেকে বাদ দেয়ার দাবিটি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অনেকে বলছেন, উপদেষ্টাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষার্থীদের গড়া দলের নেতাদের নেতিবাচক তৎপরতার কারণেই এই দাবি সামনে আনা সম্ভব হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য বিনষ্ট এবং নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের গড়া দলও এখন কোনঠাসা অবস্থায়। তাদের জন্য সরকার যে বিশেষ পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে তাও তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। দুই শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উপদেষ্টাকেও আলাদাভাবে বিষয়টি ব্রিফ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রফেসর ইউনূসের মনোভাব জেনে দ্রুত যমুনায় যান এনসিপি নেতারা। তারা প্রফেসর ইউনূসকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় প্রফেসর ইউনূস তাদের জানান, পরিস্থিতি যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে এই অবস্থায় তার জন্য দায়িত্ব পালন করা কঠিন। জাতিকে দেয়া প্রতিশ্রুতি তিনি পূরণ করতে চান। কিন্তু পরিস্থিতি তো সেই রকম নেই। ওই সাক্ষাতের পর এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিবিসিকে বলেন, ড. ইউনূস পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন। এর আগে ওইদিন দুপুরেই মানবজমিন প্রফেসর ইউনূসের পদত্যাগের ইচ্ছা বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করে। এই খবরে চাঞ্চল্য তৈরি হয় সারা দেশে।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। চার ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনা চলে। প্রধান উপদেষ্টা কয়েকজন উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নতুন মোড় দিতে পারে এমন আলোচনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘুরপাক খাচ্ছে।
রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, প্রফেসর ইউনূস পদত্যাগ করলেই সব সংকটের সমাধান হয়ে যাবে এটা মনে করার কারণ নেই। বরং সংকট আরও তীব্র হবে। প্রফেসর ইউনূস যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে খেলা তার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিপ্লবের মূল চেতনা।
এমন অবস্থায় কেউ কেউ একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবকে সামনে আনছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের বিষয় নিয়েই দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কারণ সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি নির্বাচন ইস্যুতে অন্যান্য দলের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। এটিও অন্যান্য দলের সঙ্গে সরকার এবং এনসিপি’র দূরত্ব তৈরির বড় কারণ। নির্বাচন বিষয়ে সর্বশেষ সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামানও কথা বলেছেন। আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। আরও কিছু বিষয়ে তিনি হতাশাও প্রকাশ করেন অফিসার্স অ্যাড্রেসে।
রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য পক্ষ যখন ডিসেম্বর বা কাছাকাছি সময়ে নির্বাচন চাইছে তখন সরকারের অবস্থান কিন্তু পরিষ্কার নয়। গতকালও বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এর বাইরে নয়। তিনি এও বলেছেন, শুধু নির্বাচন করার জন্য এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ইচ্ছার বিষয়ে তথ্য প্রকাশের পর রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। জামায়াত আমীর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমমনা কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও জামায়াত আমীর টেলিফোনে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিএনপি’র সঙ্গেও জামায়াতের যোগাযোগ হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই দফা বৈঠক হওয়ার তথ্য এসেছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার বিষয়েও দুই দলের মধ্যে মতবিনিময়ের তথ্য মিলেছে। এ ছাড়া জাতীয় সরকারের বিষয়ে বিএনপি’র তরফে এখন পর্যন্ত কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। গতকাল মানবজমিনকে বিএনপি’র একাধিক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, এমন কোনো প্রস্তাব সামনে আসলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ওদিকে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না বলেই তার বিশ্বাস। ফেসবুকে ওই পোস্ট করার কিছু সময় পর তিনি তা সরিয়ে নেন।
ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এর ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যার এর দরকার আছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ওই ফেসবুক পোস্টে বলেন, ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।
তিনি লিখেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।
সেনাবাহিনী প্রধান ‘জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস’ রক্ষা করতে পারেননি মন্তব্য করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ওই পোস্টে লিখেছিলেন, সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি।
তিনি লিখেন, তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা- সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন হতে পারে-এমন মত প্রকাশ করে তৈয়্যব লিখেছিলেন, দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র কোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি, তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেয়া রোডম্যাপ মতে নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট ঘোষণার এখতিয়ার শুধুমাত্র স্যারের। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না। স্যারকে যখন আনা হয়েছে, তখন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্যার বলেছেন, আমার কথা শুনতে হবে।
তিনি লিখেন, জুলাই-আগস্ট’২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদ্যাপন করবো, ইনশাআল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না।
এই স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করে পরে ‘ডিসক্লেইমার’ শিরোনামে অন্য এক স্ট্যাটাসে তৈয়্যব লিখেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের বিষয়ে দেয়া স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত। এটাকে নিউজ না করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত
বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন। দেশের জনগণ দীর্ঘ দিন থেকে ভোট থেকে বঞ্চিত, তাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সস্বম্মানে বিদায় গ্রহণ করুন।