প্রথম পাতা
ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, অন্যথায় সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে: বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার
এই বছরের মধ্যেই নতুন জাতীয় সংসদ গঠনের লক্ষ্যে ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে দলটি। গতকাল রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এটিই প্রধান দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।
লিখিত বক্তব্যে ড. মোশাররফ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর অগণতান্ত্রিক বর্বরতম ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সাম্য, মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীন ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন পূরণের জন্য এদেশের মানুষ অপেক্ষমাণ।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের পতন হয়েছে, বিজয়ী হয়েছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান; কিন্তু গত সাড়ে ৯ মাসে জনপ্রত্যাশা বা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কতোটুকু পূরণ হয়েছে তা একটি বিশাল প্রশ্নের সম্মুখীন। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অথচ আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি এই ঐক্যকে বজায় রেখে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখার কথা ছিল। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বক্তব্য আমরা বারবার উচ্চারণ করেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামপ্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা যাদের বক্তব্যে এবং কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এমন বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেয়ার দাবি আমরা তুলেছিলাম। অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। অথচ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন যে, “এই সরকারের সবকিছু করার ম্যান্ডেট রয়েছে।”
মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কিনা সেটা সর্বাগ্রে বিবেচনায় নেয়া দরকার। এ ছাড়াও এমন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী সরকারের আছে বলে এদেশের জনগণ মনে করে না। দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে যাতে দেশে অস্থিতিশীল কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত কেবল জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার কর্তৃক জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হওয়াই সমীচীন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যে সমস্ত উপদেষ্টাগণ একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বুঝে; উপদেষ্টা পরিষদে তাদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা প্রয়োজন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্য আবারো নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসর কয়েকজন উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেয়ার দাবি আমরা ইতিপূর্বে অনেক বার উত্থাপন করেছি।
যেহেতু, একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এই সরকারের প্রধান কাজ, তাই মাথাভারী উপদেষ্টা পরিষদ না রেখে শুধুমাত্র রুটিনওয়ার্ক পরিচালনার জন্য একটি ছোট আকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাখাই বাঞ্ছনীয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘সংস্কার সনদ’ তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যেই আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও একই বিষয়গুলো নিয়ে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে একটি দলের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি আমাদের এবং সরকারকে বিব্রত করে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও একটি মহল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন চায়। সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় সব ক্ষেত্রে আমাদের মতামত না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সকল পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে এই কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশন করায় নির্বাচন কমিশনকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে গণঅভ্যুত্থান করেছে সুতরাং আমাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা আশা করবো নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে শিগগিরই সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র হিসাবে ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা নিবে।
সামপ্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সরকারের যা করণীয় তা যথাসময়ে না করে চাপের মুখে করার সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই সরকারের সক্ষমতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে এবং অন্যদেরকেও একই প্রক্রিয়ায় দাবি আদায়ের ন্যায্যতা প্রদান করেছে। এই অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর পরিস্থিতির দায় পুরোটাই সরকারের বলে আমরা মনে করি।
নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন বাস্তবতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক ও রহস্যজনক।
তিনি বলেন, জুলাই-ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাশিগগিরসম্ভব জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই, আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। এই সর্বোচ্চ জনআকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম এজেন্ডা হওয়া উচিত বলে জনগণ মনে করে। এর অন্যথা হলে জনগণের দল হিসাবে বিএনপি’র পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, যেহেতু, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দু’টাই একইসঙ্গে চলতে পারে। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির এবং ব্যক্তির অর্থাৎ দল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
যে বিষয়গুলো এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে, সে বিষয়গুলো আমাদের আগের প্রস্তাব ও পরামর্শের মতো উপেক্ষিত হলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক এবং সেক্ষেত্রে অনিবার্যভাবেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কিনা তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধকল্পে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখতে, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে নির্বাচনপূর্ব সময় পর্যন্ত সরকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন- এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়ে এক প্রশ্নে জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, নির্বাচন কমিশন কতো মাস যাবত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ করেনি। সার্চ কমিটিতে তারাও (এনসিপি) মতামত দিয়েছিল। আমাদের সকলের মতামত নিয়েই এই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা মনে করি, বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করা যে সকল উসিলা সৃষ্টি করা হচ্ছে- এটাও একটা উসিলা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সরকার কি নামে পরিচিত, নিজেরা কি নামে পরিচয় দিয়েছে- নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখানে যদি কোনো ব্যক্তি প্রমাণিত হয় যে তারা নিরপেক্ষ নয়, সেখানে তাদের দাবি মোতাবেক যদি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার হয় তাহলে এখানে প্রশ্নবিদ্ধ লোক রাখা ঠিক হবে না।
অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. মোশাররফ বলেন, ঐকমত্য কথাটাই হচ্ছে সকল দলের সঙ্গে আলাপ করে ন্যূনতম ইস্যুতে একমত হয়ে, সেই বিষয়গুলো ঘোষণা দিয়ে কাজ করা। কিন্তু এখনো সেই ঐকমত্য হয়নি। আলোচনা চলছে, চলমান আলোচনা- এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর আমরা এখন ক্ষমতায় নেই। আমরা এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে কীভাবে সরকার চালাবো, এটা আমরা কীভাবে বলবো। আমরা তো দাবি করছি যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার চালাতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই ঐকমত্য সৃষ্টি হয়নি।
একটা দলের উপদেষ্টা আছে, সেক্ষেত্রে আপনাদের পক্ষ থেকে কিংবা অন্যান্য দলের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে কাউকে নেয়ার ব্যাপারে কোনো প্রস্তাবনা আছে’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কখনোই আমাদের এই রকম প্রস্তাব ছিল না। এটাকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার আমরাও বলেছি, এ জন্য আমরা প্রথম থেকেই সমর্থন করছি। সেখানে আমরা কেন চাইবো আমাদের কাউকে নেয়ার জন্য।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা আশা করি, নিম্নআদালত এবং হাইকোর্ট যে রায়টা দিয়েছেন, তাকে শ্রদ্ধা করে অনতিবিলম্বে শপথ দেয়ার জন্য। যেহেতু আজকে এই রায়টা হয়েছে, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি যে, আন্দোলন প্রত্যাহার হবে, না কি চালিয়ে যাবো। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে শপথ পড়াবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো তো বলা হয়নি। সেজন্য আমরা দাবি করছি।
এ সময় বিএনপি‘র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখানে কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। জাতিসহ সবার প্রত্যাশা ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে। সেটাকে মাথায় রেখে অনেকটা কেয়ারটেকার মুডের দিকে যাওয়ার কথা এখন। কেয়ারটেকার মুডের দিকে আমরা যদি এগিয়ে যাই তাহলে আজকে উপদেষ্টা পরিষদ, এটাকে কমিয়ে কেয়ারটেকার মুডের দিকে যেতে হবে। সংখ্যা কমানোর কথা বলছি, বাড়ানোর কথা বলি নাই।
তিনি বলেন, আপনি যখন কেয়ারটেকার মুডে যাবেন, সংখ্যা আমাদের জানা আছে- কেয়ারটেকারে ১০ জন ছিল। আপনাকে সেদিকে যেতে হবে। আর যারা যারা এখানে বিতর্কিত তাদেরকে বাদ দিলে, আমাকে সেদিকে যেতে হবে। কারণ আমি নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছি। নিরপেক্ষতার কথা বলছি। সুতরাং যাদের নিয়ে বিতর্ক আছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে কেয়ারটেকার মুডের দিকে যেতে হবে। সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। এটাই হচ্ছে মূল কথা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়টা পক্ষে বিপক্ষের বিষয় না এখানে। চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়টা, এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সুতরাং এই সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক সরকার থেকে আসতে হবে। এখানে সমস্ত জাতির মতামতের ব্যাপার আছে। আমরা বলছি, একটা নির্বাচিত সরকার ব্যতীত এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া সঠিক না। এটাই আমাদের বক্তব্য।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এখানে (লিখিত বক্তব্যে) আমরা কোথাও অসহযোগিতার কথা বলি নাই। আমরা বলেছি যে, সরকার এই রকম একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যেখানে আমরা প্রথমদিন থেকে প্রকাশ্যে বলেছি, আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই, নির্বাচন করার জন্য তাদেরকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। এখন আমরা বলছি, এই রকম কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে সেই সাহায্য সেভাবে সহযোগিতা করাটা কঠিন হয়ে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি‘র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
সহযোগিতা কি এখন করছেন না করেছেন?
Dear Ms. Khaleda Zia - Please save the country from BNP hooligans.
অবিভক্ত ভারতে একটি প্রবাদ ছিল, '' ন্যাড়া বেলতলায় একবার যায় ''।
BNP leaders have not learned lessons from the recent history of Bangladesh.
গুড ডিসিশন
এই সরকারকে বিএনপি কখনও সহযোগিতা করেছে? কোনদিন? কোন সময়??