প্রথম পাতা
নির্বাচন হতে পারে ১২ই ফেব্রুয়ারি
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ জুন ২০২৫, শনিবার
আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে। আসছে রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন সব প্রস্তুতি শেষ হলে রমজানের আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে। বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সরকার প্রধান সম্মত হয়েছেন।
লন্ডন বৈঠকের পর ভোটের তারিখ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বৈঠক শেষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন শিগগিরই নির্বাচন কমিশন তারিখ ঘোষণা করবে। এরই মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্র জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে।
আগামী বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। নির্বাচন করতে হলে তার কয়েকদিন আগেই ভোটগ্রহণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে রোজার আগের সপ্তাহে ভোটের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ১২ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার। আগেও একাধিক নির্বাচন বৃহস্পতিবার হয়েছে। ১২ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হলে রোজার আগে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পরের দুইদিন শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এই দুইদিন ভোট গ্রহণের সুযোগ নেই। এরপরে নির্বাচন হলে রোজার আগে নির্বাচন কমিশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা যাবে না। প্রয়োজনে ১২ই ফেব্রুয়ারির আগের কোনো একদিনও ভোট গ্রহণ হতে পারে।
পাঠকের মতামত
সংস্কার কখনও শেষ হয়না। বিচার কাজ আদালতের অধীন। জুলাই সনদ সব দল/পক্ষের ঐক্যমতের উপর নির্ভরশীল। পক্ষান্তরে দেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবাচন হওয়া একান্ত জরুরী। সুতরাং সংস্কার, বিচার, জুলাই সনদের অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত কিংবা বানচাল করতে চায় আর যাহোক দেশপ্রেমিক হতে পারে না।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। কথা ঠিক কিন্তু সংস্কার গণহত্যার বিচার জুলাই চার্টার ও ষড়যন্ত্রের শিকড় নির্মূল করার কাজ শেষ করে সবকিছু আনন্দ। দেশের মানুষ এটাই চায় শান্তি স্বস্তিতে জীবন যাপন করতে চায়।