প্রথম পাতা
হঠাৎ কেন জামায়াতের এই সতর্ক বার্তা
আহমেদ জামাল
৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার
দলীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তিসহ চলমান পরিস্থিতিতে বেশ উজ্জীবিত জামায়াত। এ পর্যায়ে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হঠাৎ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্ক বার্তা দেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা। কী কারণে জামায়াত আমীরের হঠাৎ এই সতর্কবার্তা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন কেউ কেউ। তবে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম আমীরের এই বার্তার নেপথ্য কারণ এভাবে ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর আইনি লড়াই করে আমরা আমাদের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত করেছি। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এটা জামায়াতের জন্য অনেক বিরাট অর্জন। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে। এ ছাড়াও আগামী দিনে জামায়াতের অর্জনের আরও অনেকগুলো বিষয় আছে। এ সময় নেতাকর্মী সমর্থকদের অধিক সতর্ক এবং সংযত থাকতে হবে। এসব দৃষ্টিকোণ থেকেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিতে পারেন। মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, সংগঠন ও রাজনীতিতে জামায়াত সবসময় নীতি আদর্শ এবং শৃঙ্খলার চর্চা করে। জামায়াতের প্রতিটি নেতাকর্মী রাষ্ট্রের নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে জামায়াত একটি মানবিক সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। দেশের মানুষের আস্থা এবং ভালোবাসা অর্জনে আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মী নিবেদিত। মানুষের কষ্ট এবং বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এমন কর্ম থেকে কর্মীদের বিরত রাখাও আমীরের সতর্কবার্তার উদ্দেশ্য হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। গতকাল এক ফেসবুক বার্তায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন দায় নেবে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এই স্ট্যাটাস দেয়া হয়। এতে তিনি বলেন, ‘দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না এবং এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড়ও দেয়া হবে না, ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন। তিনি আরও বলেন, ‘অতএব, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে। আমীরের এই বার্তা তাৎক্ষণিক দেশের সকল গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়।
পাঠকের মতামত
ভারতের সহায়তায় যুদ্ধ করে একাত্তরের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল না, এটি জামাতসহ মাওলানা ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন। ২০২৪ সালে এসে একাত্তরেরই চেতনা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। তবে, অবস্থা দেখে মনে হয় এবারও হয়তো একাত্তরের চেতনা বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন হবে।
আবু তাহের নায়েবে আমীর " র " এর এজেন্ট উনাকে বহিষ্কার করুন । দেখি কত টুকু দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা আছে।
সাংগঠনিক শৃংখলা, দলীয় নেতৃত্বের আনুগত্য জামায়াতের অগ্রযাত্রার অন্যতম নিয়ামক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের শান্তি শৃংখলা শ্রদ্ধা রেখে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা দলের নীতি আদর্শের অংশ। আবেতাড়িত হয়ে অন্যায় অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়ার কোন সুযোগ সংগঠনের মধ্যে নেই।
২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে জামায়াত। তা ৭১ এর চেতনাকে ধারন করে কিনা সেটা নিয়ে কিছু বললে ভালো হত।