প্রথম পাতা
বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন চায় ভারত
মানবজমিন ডেস্ক
৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার
বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেখতে চায় ভারত। বৃহস্পতিবার দিল্লির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল সাউথ ব্লকের রেগুলার
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। নয়াদিল্লির মুখপাত্র বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন ছাড়াও বাংলাদেশ-মিয়ানমার মধ্যকার মানবিক করিডোর, নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। মানস নামের এক সাংবাদিক জয়সওয়ালের কাছে জানতে চান, আমরা ঢাকায় নতুন করে প্রতিবাদের ঢেউ দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তারা সরকারের কাছে নির্দিষ্ট সময়সীমার দাবি জানিয়েছে। এ বছরের শেষে অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পরিবর্তে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূস ভারতকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন। বর্তমান সংকট নাকি ভারতীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার এক ধরনের ষড়যন্ত্রের ফসল! এক্ষেত্রে আপনি এসব ঘটনাবলী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগগুলোকে কীভাবে দেখেন? জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে আমরা আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছি। বিশেষ করে সেখানকার নির্বাচন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা ধারাবাহিকভাবে এগুলো বলে যাচ্ছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নিশ্চিত করতে হবে। ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্ন আসে। ভারতীয় এক সাংবাদিক বলেন- বাংলাদেশে এখন অনিশ্চয়তা এবং অস্থিতিশীলতা চলছে। সেখানে অধ্যাপক ড. ইউনূসের পদত্যাগের কথা শোনা যাচ্ছে। ওই গুঞ্জনের মধ্যেই তিনি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেন। ভারতের জন্য এ বিষয়টি কি উদ্বেগের? জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আপনি জানেন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, আমরা এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চাই। এমন একটি সম্পর্ক যা উভয় পক্ষের জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থ পূরণ করবে। এরপর আরেক সাংবাদিক ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারতের সঙ্গে ১৮০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আপনার কাছে কি কোনো আপডেট তথ্য আছে? জয়সওয়াল বলেন, দেখুন ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সহযোগিতামূলক চুক্তি চলমান রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে যেমনটি আপনি উল্লেখ করলেন। ব্রিফিং শেষে আমি এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলাপ করবো। বাংলাদেশ-মিয়ানমার করিডোর ইস্যুতেও প্রশ্ন করেন ভারতীয় দুই সাংবাদিক। তারা বলেন- এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আপনি জানেন এখানে নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। এ বিষয়টি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারত তা কীভাবে দেখছে? প্রশ্নটি গ্রহণ করলেও নয়াদিল্লি মুখপাত্র এর সরাসরি জবাব দেননি। তবে তিনি বলেন, মানবিক করিডোরের বিষয়টি খুবই ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। আরেক সাংবাদিক জানতে চান, তিনদিন আগে এক বৈঠকে বলা হয় ভারতীয় আধিপত্যবাদের বাংলাদেশে সংকট দেখা দিয়েছে। ওখানকার রাজনীতিবিদরাও এমনটি বলেছেন। এ বিষয়টিকে ভারত কীভাবে দেখছে? জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, দেখুন সেখানে সরকার আছে। সরকারি যে ইস্যু আছে তা সরকারেরই সমাধান করা উচিত। এভাবে অন্যকে দোষারোপের অর্থ হচ্ছে, উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলোর মোড় ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা! নিজেদের সমস্যার কারণে অন্যকে দোষারোপ করা উচিত নয়। এভাবে সমস্যার সমাধান হয় না।
পাঠকের মতামত
ভারত??
বাংলাদেশের জনগণ ভুলে যায়নি গত ১৫ বছর ধরে ভারতীয় সরকার কীভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। গুম, খুন, জেল, নির্যাতন আর ভোটাধিকার হরণের প্রতিটি অধ্যায়ে ভারতের নীরব সমর্থন ছিল। আজ যখন জনগণ নিজের অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমেছে, তখন ভারত আবার কূটনৈতিক বুলি আওড়াচ্ছে—"সুষ্ঠু নির্বাচন", "স্থিতিশীলতা", ইত্যাদি। আমরা ভারতকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই—বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার ভারতের নেই। আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, আমাদের ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করব। ভারত কী ভাবলো, কী চায়—সেটা নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। ভারত যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়, তাহলে তাদের উচিত জনগণের পক্ষে অবস্থান নেওয়া, ফ্যাসিস্ট শাসকের নয়। কিন্তু আমরা জানি, দিল্লি সবসময়ই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থকে মানুষের অধিকারের চেয়ে বড় করে দেখে। বাংলাদেশ কারও করুণা বা আশীর্বাদে চলে না। এই দেশ আমাদের, এই সিদ্ধান্তও আমাদের—কে যাবে, কে থাকবে, তা ঠিক করবে বাংলার জনগণ, নয়াদিল্লি নয়। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। Tools
Ranodhir Ji, If I ask you when you will go for election in India as Modi ji is a total failure in recent war ,what should be your reaction, I remind you again, Hindustan should never decide when will the election date of Bangladesh.you had enough of it already
পার্শ্ববর্তি দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানোর মাধ্যমে ভারত যে সুপার পাওয়ার তা জানান দিতেই ব্যস্ত। যদিও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারত একটি রুগ্ন দেশ।
বাংলাদেশ নিয়ে তোমাদের এত মাথা ব্যাথা কেন দেশ প্রেমিক জনগন জানতে চায়?
বাংলাদেশের নির্বাচন কখন কীভাবে হবে সেটা আমাদের দেশীয় বিষয়। তুমি কে ঠাকুর পো। তোমার এত জ্বলে কেন ?
ভারতের এত চুলকানি কেন নির্বাচন নিয়ে ? গত ১৭ বৎসর ভারত কি করেছে এটা এ দেশের জনগন জানে ।
বাংলাদেশের জনগণের মেন্ডেট ছাড়া নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এতদিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল, দিনের ভোট যখন রাতে করলো, পর পর তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারলো না, তখন ভারতের বাংলাদেশ নীতি ছিল 'এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না' আর এখন বাংলাদেশের ভোট নিয়ে ভারতের এতো মাথা ব্যাথা কেন??
আপনারা নিজের চরকায় তেল দেন আমাদের নিয়ে ভাবতে হবে না আপনারা আমাদের কোনদিনও ভালো চাননি এসব বাদ দেন বাংলাদেশের মানুষ এখন আর আগের মতো না অতএব নিজেদের নিয়ে ভাবুন
যাক ভারত ও বিএনপি এক হতে পেরেছে। দেশের জনগণের কাছে বিএনপির অবস্থান এখন স্পষ্ট হয়েছে। তারা কেন তাড়াতাড়ি নির্বাচন চায়।
বাংলাদেশের জনগণ অতীতের সরকারগুলোর মতো তাবেদার সরকার আর দেখিতে চায় না। ভবিষ্যতে তাবেদার সরকার যেন আর আসতে না পারে সেই লক্ষ্যে বর্তমান অন্তবর্তী সরকার কাজ করিতেছেন। এই সময়টুকু দেশের জনগণ এই সরকারকে দিয়েছ। অতএব চিন্তার কোনো কারন নাই।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে মিস্টার? নিজের চরকায় তেল দেন। এদেশে কবে নির্বাচন হবে তা এদেশের জনগনই সিদ্ধান্ত নিবে। আপনাদের দালালী করতে যদি কেউ ডাকে তাদেরকেও ফ্যাসিস্টের মতোই বিদায় করা হবে।
ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত অগ্রাসী প্রতিবেশী। বিগত সময়ে তারা কিভাবে শোষণ অগ্রাসন চালিয়েছে তা আমাদের কাছে দৃশ্যমান। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর ভারত সম্মপর্কে ঐতিহাসিক উক্তির কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আফসোস বর্তমানে বিএনপির দাবি ভারতের চাওয়ার সাথে মিলেছে। আগে আওয়ামীলীগের মাধ্যমে ভারত ডোমিনেট করেছে। এবার বিএনপির মাধ্যমে একই কাজ করবে। বিএনপি ঝামেলাহীন ভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের অনুকম্পা প্রার্থনা করেছ।
এখন আপনাদের আম্মা হাসিনার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলতেছেন। এই অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন ২০১৩, ২০১৮, ২০২৪ এ কোথায় ছিলো? আপনাদের লজ্জা ও নাই।
আপনাদের চাওয়া না চাওয়ায় আমাদের কিছু যায় আসে না।
১৬ বছর কেন অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুষ্ঠু ইলেকশন চান নি, আপনাদের নিজের চরকায় তেল দেন