ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাফ কথা

অনিরাপদ শহরে মৃত্যুই বুঝি সবচেয়ে নিরাপদ

কাজল ঘোষ
১৭ আগস্ট ২০২২, বুধবার
mzamin

প্রতিনিয়ত একের পর এক ঘটনা সার্বিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। গার্ডার পড়ে মানুষের মৃত্যুতে হয়তো সরকারের হাত নেই, চকবাজারে আগুনে যে মানুষ পুড়ে গেল তাতেও হয়তো সরকারের হাত নেই, সীতাকুণ্ড রাসায়নিক কারখানায় দাহ্য পদার্থে অসংখ্য মানুষের ছাই হয়ে যাওয়া হয়তো একইরকম বিষয়। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য তো প্রশাসন রয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ রয়েছে, শিল্প পরিদর্শকরা রয়েছেন তারা কি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন? চকবাজারে শত শত মানুষ নিমতলী ট্র্যাজেডিতে ছাই হয়েছে। অসংখ্য পরিবার এখনো সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ ঘটনার পর সবাই নড়েচড়ে বসলো। কিন্তু মূল কাজ কিছুই হলো না। এখানে সেখানে অসংখ্য কারখানা সচল। ফি বছর এই এলাকায় ক’দিন পরপরই মানুষ পুড়ে মরছে। এসব দেখার আসলে কেউ নেই? রাষ্ট্রের মানুষের করের টাকায় যারা এই দায়িত্বগুলো পালন করার কথা তারা আসলে শীতল হাওয়ায় সব ভুলে যান। মৃত্যুর পর সামান্য শোক আর শাস্তির বাণী উচ্চারিত হতে থাকে এভাবেই কাল নিরবধি।

বিজ্ঞাপন
 

 

পনেরই আগস্ট। দিনটি শোকের। জাতির জন্য কলঙ্কিত এক অধ্যায়। কিন্তু সেদিন সন্ধ্যার একটি দুর্ঘটনা সকলের দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যায় উত্তরায়। নির্মীয়মাণ বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) উড়াল সড়কের গার্ডার স্থাপন করার সময় তা প্রাইভেটকারের উপর পড়ে যায়। এ ঘটনায় গাড়িতে থাকা পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবারটি একটি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে বাসায় ফিরছিল।  পরিবারের সাতজনের মধ্যে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন কনে রিয়া আক্তার ও বর রেজাউল করিম হৃদয়। পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারিয়ে তাদের নতুন জীবনের স্বপ্নগুলো তছনছ হয়ে গেছে। রিয়া গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুইটা টাকা লাভের জন্য নিরাপত্তা ছাড়াই ব্যস্ত রাস্তায় গার্ডার ঝুলিয়ে রেখেছে তারা। আমার তো সব শেষ হয়ে  গেল। তারা আমার এমন সর্বনাশ করলো। দুর্ঘটনায় মা, খালা, খালাতো ভাইবোন ও শ্বশুরকে হারিয়েছেন রিয়া।  একটি পরিবারের স্বপ্নের সমাধি হলো উন্নয়নের দৌড়ে। গার্ডার দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। বছর দুয়েক আগেও শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তরাতেই। এর আগেও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে উড়াল পথে গার্ডার ভেঙে ১৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। কথা হচ্ছে, প্রতিনিয়ত উন্নয়ন কথিকা আমরা শুনছি, দৃশ্যমাণ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা-ও দেখছি। কিন্তু এই স্থাপনাগুলোর নির্মাণস্থল বা তার আশপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলে কিছু আছে কিনা তার কিছুই তো দেখি না।   আমার কর্মস্থল কাওরান বাজার। বাসা মতিঝিল এলাকায়। প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকি বাস বা সিএনজিতে। কখনো কখনো বাইকে। অফিস থেকে চলতি পথে দেখি দৃশ্যমাণ হচ্ছে মেট্রোরেল। আর প্রতিদিন এই পথটি পাড়ি দিয়ে থাকে আমার মতো লাখো মানুষ। প্রায় সকলেই তাদের জীবন হাতের মুঠোয় করে বাড়ি ফেরেন। চলাচল করেন। এত এত মানুষের চলার পথ। এটি শুধু যে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত তা তো নয় উত্তরা দিয়ে মহাখালী পর্যন্ত যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে একই চিত্র সেখানেও। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ কিলোমিটার। 

এর বাইরে উত্তরা থেকে মহাখালী, তেজগাঁও, কাওরান বাজার এলাকায় রেললাইনের পাশ দিয়েই নির্মিত হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এর দৈর্ঘ্যও প্রায় ২১ কিলোমিটার। এই বিশাল এলাকা সরজমিন ঘুরে দেখলে খুব সহজেই চোখে পড়বে কতোটা নিরাপত্তাহীন এই শহরের মানুষ। যেখানে মৃত্যুই বুঝি সবচেয়ে ‘নিরাপদ’। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আমরা। অনেকগুলো মেগা প্রকল্প একসঙ্গে চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বৃহৎ মেগা প্রকল্পগুলোর চারপাশে অথবা এর নিচ দিয়ে প্রতিদিন যে কোটি মানুষের চলাচল তাদের নিরাপত্তার কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? এটাও খুব দুঃখজনক যে, একটি ঘটনা ঘটার পরই আমাদের কেন লিখতে হবে? যারা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন এটা তো তাদের দায়িত্ব। দেখার বিষয় বিআরটি’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এই ঘটনায় কি ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হন। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তসাপেক্ষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, শুধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকা নয় এই প্রকল্প যারা পরিচালনা করছে তাদের কোনো অবহেলা রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।  সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি শব্দবন্ধ মাথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা হলো ‘জনবান্ধব’। এটি জনকল্যাণমুখী সরকারের অংশ হিসেবেই শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষত গণতান্ত্রিক সরকারের জনমুখী কার্যক্রমের একটি শাব্দিক প্রকাশ। কিন্তু একের পর এক যেসব ঘটনা ঘটছে তাতে এই শব্দটি কেবলই ক্লিশে হতে চলেছে। গত কিছুদিন ধরেই সরকার জেরবার বেশ কিছু ইস্যুতে। রাতের অন্ধকারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রধানতম কারণ। 

জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর ফলে মানুষের জীবন নাকাল। এর প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। এর আগে লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে। কোন এলাকায় লোডশেডিংয়ের চিত্র কি হবে তা-ও মানুষ যেনে গেছে। কুইক রেন্টাল এত কুইক মানুষের জন্য যন্ত্রণার কারণ হবে অর্থনীতিবিদরা যারা সরকারের ছাতার বাইরে তারা বহুভাবে বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা?  আমি অর্থনীতি ভালো বুঝি না। তবে সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে যে মানুষ তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে তা বুঝতে অর্থনীতির টার্ম বোঝার দরকার নেই। যেদিন রাতের অন্ধকারে অকস্মাৎ জ্বালানির রেকর্ড মূল্য বাড়ানো হলো। তার পরদিন বাজারে গেছি চাল কিনতে। একমাস আগে যে চাল ছিল ৬৫ টাকা তা এখন বিক্রয় হচ্ছে ৮৫ টাকায়। ডিম একদিন আগেও ১১০ থেকে ১২০ ছিল তার দাম কেন ১৬০ টাকা হলো খুচরা বাজারে কেউ বলতে পারছে না। ঘুরে ঘুরে বেশকিছু দোকানে জানতে চাইলাম ডিমের দাম এত বাড়লো কেন? দোকানি গালভরা হাসি দিয়ে বললেন, বাড়ছে, কেন বাড়ছে এর কোনো কারণ জানা নাই। তবে এটুকু বলতে পারি আপনি ডজনে চল্লিশ টাকা বেড়েছে দেখেছেন এটা হালিতে যে হয়নি সেটাই খুশির কথা। জ্বালানি তেলের  দাম বেড়েছে আর সঙ্গে ডিমের দামে এমন বাড়তি দর হওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে একজন লিখেছেন, মুরগি যখনই শুনতে পেয়েছে জ্বালানির বাড়তি দামের কথা তখনই ডিম পাড়া বন্ধ করে দিয়েছে। অফিস আসবো বাইকে। নির্ধারিত ভাড়ার প্রায় দ্বিগুণ ভাড়ায় আসতে হলো। বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য কমছে আমরা বাড়িয়ে চলেছি তা-ও রেকর্ড পরিমাণ। কিন্তু এর প্রভাবে মানুষের অবস্থা কতোটা তথৈবচ সেই হাহাকার কি সরকারের কানে পৌঁছায়।

 

 

 জ্বালানির যেদিন দাম বাড়ানো হলো সেদিন সরকারিভাবে যে প্রেসনোট পাঠানো হয়েছে গণমাধ্যমের কাছে তা লক্ষ্য করলে দেখবেন ‘জনবান্ধব’ শব্দের উল্লেখ রয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। রেকর্ড জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মুহূর্তে এ ধরনের বক্তব্য কতোটা জনবান্ধব বোধকরি মানুষ বুঝতে পারছে। তবে কষ্ট হচ্ছে সরকারের একেক মন্ত্রীর বক্তব্য শুনে মনে হয় পুরো পরিস্থিতিতে তারা খুব রসবোধে মজে আছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেব আমাদের বেহেশতের খোঁজ জানালেন। দেশের মানুষ বেহেশতে আছে বলে তিনি কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিলেন। মানুষকে শান্তিতে মোটা ভাত আর কাপড়ের ব্যবস্থা এটা সরকারের দিক থেকে ন্যূনতম প্রতিশ্রুতি ও সাধারণ মানুষের তা প্রাপ্তির ন্যায্য অধিকারের মধ্যেই পড়ে। তিন বেলা খাবার জুটাতে মানুষ যখন গলদঘর্ম, একদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে সারের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকের যখন মাথায় হাত তখন এ ধরনের বক্তব্য জাতির সঙ্গে চরম তামাশা ছাড়া আর কী হতে পারে। আরেক মন্ত্রী তাজুল সাহেব বললেন, আমরা বেঁচে আছি, গায়ে জামাকাপড়ও আছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও একধাপ এগুলেন, দাম বাড়ার কারণে কেউ মারা যায়নি এটি একটি আশার সংবাদ। কি জানি আমি অধম একেবারেই সাধারণ মানুষ। আমারও বিবেক বলে মানুষ এমনিতেই নাকাল বাজারমূল্য নিয়ে। প্রতিটি ঘরে ঘরে চলছে হাহাকার। এ সময় মন্ত্রী মহোদয়গণ এ ধরনের কথা বলে কেন জনগণের বিরাগভাজন হচ্ছেন, অন্তত আমার বোধে ধরে না। অথবা ওনারা সকলেই রাষ্ট্রের টাকায় শীতল বাতাসে জীবনযাপন করছেন বলে কি সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ আর কষ্ট ওনাদের স্পর্শ করছে না?   ড. আনু মুহাম্মদ অর্থনীতির চালচিত্র নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে তা পড়লে পুরো বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে বলে এ লেখায় উল্লেখ করছি। 

তিনি লিখেছেন, সরকার যেন বারবার প্রমাণ করতে চায় জনগণের দুর্ভোগ আর অর্থনীতির শৃঙ্খল বাড়াতেই তার বেশি আগ্রহ এবং আনন্দ। নইলে অনেক ভালো বিকল্প থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মাত্র কয়েক মাসের মাথায় এরকম উচ্চ হারে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন-এর দাম বাড়ায়? সরকার একটা ভাঙা যুক্তি দেবে- বিশ্ববাজারে এসব তেলের দাম বেড়েছে তাই বাধ্য হয়ে বাড়াতে হচ্ছে। কথাটা বিভিন্ন দিক থেকে ভুল। প্রথমত, এখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম উর্ধ্বমুখী না, বরং নিম্নমুখী। দ্রুত তেলের দাম কমে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এর আগে বিশ্ববাজারে তেলের দাম যখন অনেক কম ছিল তখন সরকার কয় বছরে লাভ করেছিলো ৪৭ হাজার কোটি টাকা, গত কিছুদিনে যে  লোকসান হয়েছে তার তুলনায় এই লাভ কয়েকগুণ  বেশি। তার মানে সরকার জনস্বার্থ ও অর্থনীতির কথা চিন্তা করলে লাভের টাকার একাংশ দিয়েই এই লোকসান  ঠেকাতে পারতো। তৃতীয়ত, দাম বাড়ালে যে ভয়াবহ পরিণতি হয় তার কথা চিন্তা করে বহু দেশেই তেল আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করে দাম কম রাখতে চেষ্টা করছে। সরকার  সেটাও করে নাই। চতুর্থত, প্রধানমন্ত্রী তো কয়দিন আগেই আমাদের জানিয়েছিলেন, অকটেন,  পেট্রোল আমাদের কিনতে হয় না, দেশেই উদ্বৃত্ত হয়। তাহলে? জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে, অর্থনীতিকে বিপদগ্রস্ত করে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ডিজেল, অকটেন, পেট্রোলের দাম বাড়ানোর পেছনে তাই সরকারের লোকজনদের লুটপাটে শতচ্ছিন্ন ছালা ভরা ছাড়া আর কোনো যুক্তি পাওয়া যায় না। 

সরকার মনে করে, স্বৈরতন্ত্রী দাপটে তারা যা খুশি তাই করতে পারে! প্রতিনিয়ত একের পর এক ঘটনা সার্বিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। গার্ডার পড়ে মানুষের মৃত্যুতে হয়তো সরকারের হাত নেই, চকবাজারে আগুনে যে মানুষ পুড়ে গেল তাতেও হয়তো সরকারের হাত নেই, সীতাকুণ্ড রাসায়নিক কারখানায় দাহ্য পদার্থে অসংখ্য মানুষের ছাই হয়ে যাওয়া হয়তো একইরকম বিষয়। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য তো প্রশাসন রয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ রয়েছে, শিল্প পরিদর্শকরা রয়েছেন তারা কি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন? চকবাজারে শত শত মানুষ নিমতলী ট্র্যাজেডিতে ছাই হয়েছে। অসংখ্য পরিবার এখনো সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ ঘটনার পর সবাই নড়েচড়ে বসলো। কিন্তু মূল কাজ কিছুই হলো না। এখানে সেখানে অসংখ্য কারখানা সচল। ফি বছর এই এলাকায় ক’দিন পরপরই মানুষ পুড়ে মরছে। এসব দেখার আসলে কেউ নেই? রাষ্ট্রের মানুষের করের টাকায় যারা এই দায়িত্বগুলো পালন করার কথা তারা আসলে শীতল হাওয়ায় সব ভুলে যান। মৃত্যুর পর সামান্য শোক আর শাস্তির বাণী উচ্চারিত হতে থাকে এভাবেই কাল নিরবধি।  প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষের একটি লেখা ঘুরে বেড়াচ্ছে অগুনতি মানুষের ওয়ালে। তিনি এই উন্নয়ন প্রীতি নিয়ে লিখেছেন, ‘দেখ খুলে তোর তিন নয়ন, রাস্তাজুড়ে খড়্‌গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।’ দায়িত্বরতদের প্রতি অনুরোধ উন্নয়ন যেন আমাদের এখানে খড়্‌গ না হয়। উন্নয়নের নামে শহরজুড়ে স্থাপিত পিলার যেন মৃত্যুদূত না হয় আর গার্ডারগুলো যেন খুন করার ফাঁদ না হয়।

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status