ঢাকা, ২ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

বাংলাদেশি আরও ৪ এজেন্সিকে অনুমোদনের সুপারিশ

মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বললেন- প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেও কাজ হবে না

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ১৬ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ৫:০০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

প্রতীকী ছবি

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে শ্রমিক পাঠানোর জন্য তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি ২৫টি কোম্পানির অনুমোদন আছে। এর সঙ্গে আরও ৪টি বাংলাদেশি কোম্পানিকে যোগ করার জন্য দেশটির মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী এম সারাভানান’কে চিঠি লিখেছেন জেমপোলের এমপি মোহাম্মদ সালিম মোহাম্মদ শরীফ এবং পারিতের এমপি নিজার জাকারিয়া। ওই দুটি চিঠিই দেখতে পেয়েছে মালয়েশিয়াকিনি। এর জবাবে মন্ত্রী সারাভানান বলেছেন, শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি এজেন্সি নিয়োগের ব্যাপারে তাকে কেউই প্রভাবিত করতে পারবে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মালয় মেইল। 

এতে বলা হয়, ওই চিঠির বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেছেন, তাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের জন্য মালয়েশিয়ান রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলোর এমন চিঠি একটি সাধারণ ব্যাপার। তার ভাষায়, সুপারিশমুলক এমন চিঠি সাধারণ। আমরা শুধু বিষয়টাতে নোট রাখি। এটা চিঠি পাওয়াতেই শেষ হয়। 

যে দু’জন এমপি ওই চিঠি লিখেছেন তারা দু’জনেই ক্ষমতাসীন উমনো’র। তারা বাংলাদেশি আরও চারটি এজেন্সিকে অনুমতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবের সমর্থন চেয়েছেন ওই চিঠিতে।

বিজ্ঞাপন
চিঠি লেখার বিষয় মালয়কিনির কাছে নিশ্চিত করেছেন এমপি মোহাম্মদ সালিম ও নিজার। বলেছেন, তাদেরকে এমন অনুরোধ করতে বলা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে তারা এর পিটিশনারদের সঙ্গে পরিচয়ের কথা অস্বীকার করেছেন। ধারণা করা হয় তারা আবেদন করেছেন নেগরি সেমবিলানের জেলেবুর কারো পক্ষে। এমপিরা বলেছেন, অভিবাসী শ্রমিক রিক্রুট করার ক্ষেত্রে সুপারিশ করায় তাদের কোনো স্বার্থ নেই। 

মালয়কিনির মতে, দুটি চিঠিই প্রায় অভিন্ন। এতে শুধু বাংলাদেশি এজেন্সির নাম বাদে বাকি সবটা একই রকম। বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা ২৫ এ সীমাবদ্ধ করে দেয়ার কারণে কয়েক মাস ধরেই সমালোচনার মুখে রয়েছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর সঙ্গে জড়িত এবং মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো সরকারের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তারা যুক্তি দিয়েছে যে, এ সিস্টেমের ফলে ‘মনোপলি’ সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ মুষ্টিমেয় কয়েকটি এজেন্সির হাতে সব ক্ষমতা চলে যাবে। এর ফলে শোষিত হতে পারেন অভিবাসী শ্রমিকরা। 

কিন্তু মন্ত্রী সারাভানান বলেছেন, এজেন্সি সংখ্যা সীমিত করতে তার মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে শ্রমিক শোষণ এড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজিন্সি নির্বাচন করা হয়েছে সুষ্ঠু মূল্যায়নের মাধ্যমে। এক হাজারের বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে ২৫টি এজেন্সিকে বাছাই করা হয়েছে।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status