অনলাইন
পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি
অনার কিলিং'এ প্রাণ গেল ১৭ বছর বয়সী পাকিস্তানী ইনফ্লুয়েন্সারের
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ দিন আগে) ৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৫:৫১ অপরাহ্ন
নিজের বাড়িতেই খুন হলেন পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার সানা ইউসুফ। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর। রাজধানী ইসলামাবাদে এই ভয়াবহ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, সানা আপার চিত্রালের একজন জনপ্রিয় টিকটক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তার প্রায় ৪,০০,০০০ ফলোয়ার ছিল। পাকিস্তানি সংবাদ চ্যানেল সামা টিভি অনুসারে, পরিবারের সম্মানরক্ষার জন্য তার কোনও আত্মীয় তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। খুনের পর থেকে আততায়ী পলাতক। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জি-১৩ সেক্টরে সানার বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটেছে। সামা টিভি জানিয়েছে যে, ১৭ বছর বয়সী সানা ইউসুফকে গুলি করা ব্যক্তি সম্ভবত তার বাড়িতে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাড়ির বাইরে সানার সঙ্গে প্রথমে কথা বলে, তারপর ভেতরে গিয়ে মেয়েটির উপর বেশ কয়েকবার গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।
সানা ইউসুফকে খুব কাছ থেকে দু' বার গুলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সানার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (পিআইএমএস) এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তবে পুলিশ হত্যার বিভিন্ন কারণ অনুসন্ধান করছে।
পুলিশের অনুমান, সানার হত্যার কারণ হতে পারে 'অনার কিলিং'। মূলত যখন কোনও পরিবারের সদস্য নিজের পরিবারের সম্মান বাঁচাতে পরিবারেরই কাউকে হত্যা করে, তখন তাকে 'অনার কিলিং' নাম দেওয়া হয়। চিত্রালের এই কিশোরী কন্যা এক সমাজকর্মীর মেয়ে। বিশেষত টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি ভিডিও পোস্ট করতেন। প্রধানত সাংস্কৃতিক গৌরব, নারী অধিকার, নারীদের শিক্ষা চেতনা, চিত্রালি ঐতিহ্য-পরম্পরা নিয়ে ভিডিও বানাতেন সানা। সানার এভাবে মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বহু মানুষ বিচারের দাবি জানিয়েছেন। #JusticeForSanaYousuf লিখে নেট-আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস