ঢাকা, ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

রোজার আগে বা পরে জাতীয় নির্বাচন

অনলাইন ডেস্ক

(১ দিন আগে) ৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

আজকের পত্রিকা

‘রোজার আগে বা পরে জাতীয় নির্বাচন’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বিএনপিসহ অনেক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চাইছে। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার আগে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বললেও এ অবস্থানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এখন আর ডিসেম্বরের কথা বলছেন না। তাঁরা বলছেন আগামী বছর জুনের মধ্যে ভোট করার কথা। নির্বাচনের পরিকল্পনা থেকে ডিসেম্বর খসিয়ে ফেলার বিষয়টি অবশ্য দলগুলোর নজর এড়ায়নি।

এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার একজন সহকারী ও সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন জামায়াতে ইসলামীর এমন একজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী বছর জুনের মধ্যে রমজান মাস, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মতো তিনটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে হলে রমজান মাসের আগে আগে অথবা ঠিক পরে ভোটের সম্ভাবনা দেখছেন তাঁরা।

রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতা বলছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থায় কিছু সংস্কার, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করা ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে নিয়ে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। কিন্তু তিনটি ক্ষেত্রের কোনোটিতেই গত ১০ মাসে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখছেন তাঁরা।

অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন, বিএনপি আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে চাপ তৈরি করছে, তা তিনি ভালোভাবে নিচ্ছেন না। যেকোনো অবস্থাতে চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না করার ‘অবস্থান’ তিনি নিয়েছেন। এতে উপদেষ্টা পরিষদের অন্তত ছয় সদস্যের সমর্থন আছে। তাঁরা আশা করছেন, আগামী বছর জুনের মধ্যে বা সম্ভব হলে আরেকটু আগে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দলের সমর্থন সরকার পাবে।

নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির এই জেদ এবং একে অপরকে দোষারোপের ধারাবাহিকতায় উভয় পক্ষের মধ্যকার সম্পর্ক চরম তিক্ততার দিকে যাচ্ছে, এমনটা মনে করছেন রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে।

বিরাজমান পরিস্থিতিতে দলের ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে মঙ্গলবার বলেন, ‘রোডম্যাপ ঘোষণা না করে সরকার যে টালবাহানা করছে, এ বিষয়টাকে আমরা ভালোভাবে দেখছি না। জনগণও ভালোভাবে নিচ্ছে না।’

সরকার দ্রুত সময়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করে অস্থিরতা দূর করবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘তা না হলে আমরা জনগণকে নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।’

নির্বাচন নিয়ে সরকার ও দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘এমনিতেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের রেকর্ড নেই বললেই চলে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, হয়তো এবারও আলোচনায় সমাধান আসবে না।’

জামায়াতের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ভোট কখন হবে, তা নিয়ে মতভেদ ও অস্থিরতা তৈরি হলে, তা দেশের জন্য ভালো কিছু হবে না। জামায়াত মনে করে, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে বিএনপি ও কিছু জনসমর্থন আছে এমন রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রের ক্ষমতার বিভিন্ন ‘কেন্দ্রের’ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা দরকার।


প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘৩৬ জেলায় গুমের ঘটনার তথ্য পেয়েছে কমিশন’। খবরে বলা হয়, ‘আমারে চিত করে শোয়ায় দিছে। দুই হাত আর দুই পায়ের মধ্যে বাঁশ ঢুকায় দিছে। তারপর হাত-পায়ের ওপরে চারজন উঠে বসে। এরপর মুখের ওপরে একটা কাপড় দিয়ে ওপর থেকে পানি ঢালতেছিল।’

গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কাছে নির্যাতনের এই বর্ণনা দিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে র‌্যাবের হাতে গুম হন। পরে তাঁকে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘...ওই মাইরটা আমি নিতে পারতেছিলাম না। আমার মনে হয় যে সেকেন্ডের মধ্যে আমি মারা যাব, আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে।’

ওই তরুণের দেওয়া জবানবন্দি উঠে এসেছে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে। কমিশন বলছে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এভাবে অনেক মানুষকে যে গুম করেছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ৩৬ জেলায় গুমের ঘটনার তথ্য পেয়েছে কমিশন।

গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয় কমিশন। তদন্ত কমিশনের প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্য নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন ও নাবিলা ইদ্রিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাসস জানায়, কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই–বাছাই শেষ হয়েছে। তবে অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। কারণ, গত মঙ্গলবার পর্যন্তও কমিশন নতুন অভিযোগ পেয়েছে।

যুগান্তর

‘কুরবানির ঈদে ভোটের হাওয়া’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বইছে ভোটের হাওয়া। অভ্যুত্থানের পর রোজার ঈদের মতো এবারও মুক্ত পরিবেশে শঙ্কাহীন ও স্বস্তিতে ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের লক্ষ্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ কারণে বেশির ভাগ নেতাই নিজ নির্বাচনি এলাকায় যাবেন। সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় নির্বাচনের বার্তা পৌঁছে দেবেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু নেতা কৌশলে নির্বাচনি প্রচারণাও শুরু করেছেন। ঢাকায় যারা ঈদ করবেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ঈদের নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। যোগ দেবেন নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর মধ্য দিয়ে টানা সাড়ে ১৫ বছর পর প্রথম মুক্ত পরিবেশে গত রোজার ঈদ পালন করেছিলেন রাজনীতিকরা। এবার ঈদুল আজহা উদযাপনেও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পরিবারে বাড়তি আনন্দ যোগ হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোটের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না হলেও যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তাদের বেশির ভাগই এখন নির্বাচনি বার্তা নিয়ে এলাকায়। কেউ কেউ ইতোমধ্যে নিজ নিজ সংসদীয় আসনে জনসংযোগও শুরু করেছেন। অনেকে এলাকায় একাধিক পশু কুরবানি দেবেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে ঈদ উপহারও পৌঁছে দিচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও ঈদ উপলক্ষ্যে উপহারসামগ্রী বিতরণ করছেন। বিশেষ করে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে অনেকেই নিজ নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কেন নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন, সে সম্পর্কেও জনগণকে যুক্তি দিয়ে তুলে ধরছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বসে নেই। নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর দলীয় প্রতীকও ফিরে পাচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে কারণে এখন জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচারণায় নামবেন দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ৩০০ আসনেই দলটির নির্বাচনি প্রচার চলবে বলে জামায়াতের একটি সূত্র জানিয়েছে। তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিরও সম্ভব্য প্রার্থীদের বেশির ভাগই নিজ এলকায় ঈদ করবে। ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরাও নিজ এলাকায় ভোটের প্রচার চালাবেন বলে জানা গেছে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক হতে পারে লন্ডনে!’। খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসছে ৯ জুন যুক্তরাজ্য সফর করবেন। প্রধান উপদেষ্টার সফরকালে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কি তার কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে? এ প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। বিশেষ করে ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে’ মর্মে তারেক রহমানের সামপ্রতিক দাবি এবং টোকিওতে ড. ইউনূসের ‘একটিমাত্র দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়’ মন্তব্যের কারণে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তাপ বিরাজ করছে সেই প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য লন্ডন বৈঠকের দিকে এখন সবার দৃষ্টি।

তবে ঢাকা বা লন্ডনের কোনো কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক সূত্রই এখনো এ বৈঠক চূড়ান্ত হওয়ার খবর দিতে পারেনি। প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মধ্যকার প্রস্তাবিত বৈঠক আয়োজন নিয়ে যোগাযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে যে দুই নেতার মধ্যে লন্ডনে একটি বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে। সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও রোডম্যাপ ঘোষণার ইস্যুতে সরকার এবং বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সম্ভাব্য লন্ডন বৈঠক আয়োজনে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির তরফে এ বৈঠকের শর্ত হিসেবে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপের ব্যাপারে আগাম নীতিগত ঐকমত্যের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, সরকারপ্রধান ও বিএনপি নেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ নির্বাচনের টাইমলাইন নিয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করবে। অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগে বিএনপি বৈঠকের বিষয়ে একমত হওয়ার আগে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। ফলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সম্ভাব্য লন্ডন বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি।

সমকাল

‘আজ পবিত্র হজ, ত্যাগের ঈদের অপেক্ষা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ত্যাগের বাণী নিয়ে বছর ঘুরে এসেছে লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষকে পরাভূত করার সময়। এসেছে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম সময়। আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাত ময়দান। সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীকাল। বাংলাদেশে শনিবার উদযাপিত হবে ঈদ।

বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব গেছেন ৮৭ হাজার ১৫৭ জন। বিভিন্ন দেশের ও স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা ২০ লাখের মতো। ধর্মপ্রাণ এই মুসলমানরা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে আজ পবিত্র হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিচ্ছেন। ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে অন্যতম স্তম্ভ হজের দ্বিতীয় রুকন আদায়ের জন্য তারা মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিদায় হজের স্মৃতিবিজড়িত এই ময়দানে অবস্থান করবেন তারা।

আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরা থেকে জোহরের নামাজের আগে হজের খুতবা পাঠ করা হবে। এরপর সেখানে সমবেতরা এক আজান ও দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে জামাতে আদায় করবেন। কারও অবস্থান মসজিদে নামিরা থেকে দূরে থাকলে তিনি নিজের তাঁবুতে আলাদাভাবে আদায় করবেন জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের পর কিছু সময় পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানেই অবস্থান করবেন। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই তারা আরাফাত ময়দান থেকে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘গুমের শিকার ৩০০ ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ আছেন’। প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্বিতীয় অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তিন শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে হওয়া গুমের ঘটনায় র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল বলে গুমসংক্রান্ত কমিশনের তথ্যে উঠে এসেছে। ‘গুম হয়েছে যারা, তার মেইন কালপ্রিট, মানে কিলার ফোর্স হচ্ছে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইং। তারা এ কাজটায় সবচেয়ে বেশি ইনভলবড ছিল।’

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের সদস্য নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন ও নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াও উপস্থিত ছিলেন। কমিশন সদস্যরা জানান, ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে অনেক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারী অনুশোচনায় ভুগছেন। কেউ কেউ আত্মশুদ্ধির প্রয়াসে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দুই জন কর্মকর্তা চিঠি লিখে মুক্তি চেয়েছেন, যা গণভবনে পাওয়া গেছে। তত্কালীন সেনাপ্রধান এই চিঠির সত্যতা স্বীকারও করেছেন।

নয়া দিগন্ত

‘ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুবিধা দেয়ার ১৫ বছরের নথি তলব’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে লুটপাট হওয়া খাতগুলোর মধ্যে প্রধান ছিল দেশের ব্যাংক খাত। মাফিয়া কিছু ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন নীতি সহায়তা দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। কখনো নামমাত্র অর্থাৎ এক বা দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনর্গঠন, কখনো নয়ছয় সুবিধা দিয়ে সুদ মওকুফ করা, কখনো বা ন্যূনতম অর্থ পরিশোধ করে সেফ এক্সিট দেয়া হয়েছে কিছু বড় ব্যবসায়ী গ্রুপকে। এসব সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে ওই ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো ব্যাংকের অর্থ পরিশোধ না করেই ঋণখেলাপি থেকে মুক্ত থেকে নতুন ঋণের নামে অর্থ বের করে নিয়েছে; আবার খেলাপি হয়েছে। আবার নীতি সহায়তার মাধ্যমে খেলাপি মুক্ত করা হয়েছে। অপর দিকে বাকিতে প্রভিশন রাখার সুযোগ দিয়ে ব্যাংকগুলো প্রকৃত মুনাফা না করেও কাগুজে মুনাফার মাধ্যমে ডিভিডেন্ডের নামে ব্যাংকের অর্থ বের করে নিয়েছে দখলদার ব্যাংকমালিকরা।

এমন পরিস্থিতিতে নীতি সহায়তার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুযোগ সুবিধা দেয়ার ১৬ বছরের সব নথি বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঠাতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল এ সংক্রান্ত চিঠি দুদক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

নামমাত্র ডাউন পেমেন্টে ১০ গ্রুপকে ১৫ হাজার কোটি টাকার ঋণপুনর্গঠন : বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা ছিলেন যারা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের মাফিয়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশেষ করে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে ওইসব ব্যবসায়ীদের নীতি সহায়তার মাধ্যমে সুবিধা দিতেন। এর অংশ হিসেবে তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর শিতাংসু কুমার সুর চৌধুরীর নির্দেশে ঋণ পুনর্গঠনের নামে কিছু ব্যবসায়ী গ্রুপকে অবৈধ সুবিধা দেয়ার জন্য নীতি সহায়তা দেয়া হয়। তখন বলা হয়, ৫০০ কোটি টাকা ও ১ হাজার কোটি টাকার ওপরে ঋণ খেলাপি রয়েছেন এমন ব্যবসায়ীদের ঋণ নবায়নের করতে মাত্র ২ ও ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের কথা বলা হয়।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘রেমিট্যান্সে ভর করে কমল বিওপির ঘাটতি’। খবরে বলা হয়, রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপি) স্থিতিশীলতা ফিরেছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল শেষে বিওপির ঘাটতি নেমে এসেছে ৬৬ কোটি ডলারে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ সূচকে ৬৫৭ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল। আর ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিওপির ঘাটতি ছিল ৮২২ কোটি ডলার।

বিওপির ঘাটতি হলে সেটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে পূরণ করতে হয়। গত তিন অর্থবছর ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এ গুরুত্বপূর্ণ সূচকে বড় ঘাটতিতে বাংলাদেশ। এ কারণে ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়া রিজার্ভ পরবর্তী তিন বছরে অর্ধেকে নেমে আসে। তবে বিওপির ঘাটতি বর্তমানে কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংককে আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে না। এ কারণে স্থিতিশীল রয়েছে দেশের রিজার্ভ।

দেশের ডলার প্রবাহ ও বৈদেশিক বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে, যা বিওপি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি বিওপির সর্বশেষ প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই (জুলাই-এপ্রিল) প্রবাসীরা রেকর্ড ২ হাজার ৪৯৩ কোটি বা ২৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীদের পাঠানো এ বাড়তি অর্থেই সরকারের চলতি হিসাবে ও সামগ্রিক লেনদেন ঘাটতি কমেছে।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ভদ্রলোকরা ঘটিয়েছে’। খবরে বলা হয়, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “একেকটি ঘটনা কতটা ভয়াবহ! আমাদের সমাজের তথাকথিত ‘ভদ্রলোকেরা’, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন। এগুলো গা শিউরে ওঠার মতো।”

গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশন সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে ছিলেন নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস।

প্রতিবেদন গ্রহণের সময় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনারা যে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা উচিত। তিন ফিট বাই তিন ফিটের খুপড়িতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস বন্দি থাকার নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইটে এবং বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা কমিশন সদস্যদের নির্দেশ দেন, প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে। এতে সরকার দ্রুত কাজ শুরু করতে পারবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘ঘরমুখো জনস্রোত’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিয়জনের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করতে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় গ্রামমুখী মানুষ গতকাল বাস, ট্রেন, লঞ্চ ছাড়াও ব্যক্তিগত নানান পরিবহনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেছেন। দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানেও নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন অনেকে।

পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঝুঁকি নিয়ে রওনা হয়েছেন অনেকে। আজও ঢাকা ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ির পানে যাত্রায় স্রোত থাকবে মানুষের। এবারের ঈদযাত্রায় বড় কোনো দুর্ভোগ বা ভোগান্তির চিত্র এখনো মেলেনি। রাস্তায় পরিবহনের চাপ বাড়লেও অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ঈদযাত্রা স্বস্তি হলেও গতকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুন গাড়ি চলাচল করছে এ সড়কে।

গাজীপুরের শিল্পাঞ্চল থেকে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মহাসড়কে যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে টহল ও তদারকি কার্যক্রম শুরু করেছে সেনাবাহিনী। ড্রোন দিয়েও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যমুনা সেতুর পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট নেই। মহাসড়কে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনী, গাজীপুর মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status