অনলাইন
ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও আইএমএফের পর পাকিস্তানকে সহায়তা দিল এডিবি
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ দিন আগে) ৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পর এবার পাকিস্তানের সাহায্যার্থে এগিয়ে এল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। পাকিস্তানের জন্য ৮০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে তারা। সংস্থার দাবি, এই অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে পাকিস্তানের অর্থভাণ্ডার ও আর্থিক সংস্কারের কথা মাথায় রেখে। যদিও ভারত এডিবি- এর পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে ইসলামাবাদ সামরিক ব্যবহারের জন্য উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার করছে। সেইসঙ্গে ব্যাংকটিকে আসন্ন ঋণ ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে ভারত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা ব্যয়, কর-জিডিপি অনুপাত হ্রাস এবং মূল সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতির অভাবের কথা উল্লেখ করে ভারত এডিবি সম্পদের সম্ভাব্য অপব্যবহার সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইসলামাবাদকে আইএমএফ-এর ২.৩ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ প্রদানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করার প্রায় এক মাস পর নয়াদিল্লি পাকিস্তানকে এডিবি'র আর্থিক সহায়তার বিরোধিতা শুরু করে। যদিও ভারতের আপত্তিতে সায় দেয়নি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। ইসলামাবাদ থেকে পিটিআই-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এডিবি পাকিস্তানের আর্থিক স্থায়িত্ব জোরদার এবং জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য ৮০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণ প্যাকেজের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের নীতি-ভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) এবং ৫০ কোটি ডলারের প্রোগ্রাম-ভিত্তিক গ্যারান্টি (পিবিজি) অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভারত এডিবিকে তার সম্পদের অপব্যবহারের সম্ভাবনা সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্ক করেছে। ভারত উল্লেখ করেছে যে, পাকিস্তানের কর আদায় ২০১৮ অর্থবছরের জিডিপির ১৩% থেকে কমে ২০২৩ অর্থবছরে ৯.২% হয়েছে। এই পরিসংখ্যানটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গড়ের প্রায় ১৯% এর চেয়ে অনেক কম। তবে, একই সময়ে প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের একজন বলছেন , “ভারত আশা করে যে এডিবি-র ব্যবস্থাপনা ব্যাঙ্ক কর্তৃক অর্থায়নকে পর্যাপ্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, যাতে যে কোনো অপব্যবহার রোধ করা যায়।
নয়াদিল্লির দাবি, এডিবি এবং আইএমএফ উভয়ের অর্থায়নের পূর্ববর্তী কর্মসূচিগুলো যদি একটি সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি পরিবেশ স্থাপনে সফল হত, তাহলে পাকিস্তানকে ২৪তম বেল-আউট প্রোগ্রামের জন্য আইএমএফের কাছে যেতে হতো না। 'ভারত আরও উল্লেখ করেছে যে ঋণগ্রহীতা দেশ (পাকিস্তান) এর অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এডিবির জন্যও ঋণ ঝুঁকি তৈরি করে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
পাঠকের মতামত
একি অবস্থা কিছু খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি বিশ্বের কেউই তার কথায় কান পাচ্ছে না পাকিস্তান বিজয় লাভ করার বড় যুদ্ধ করে ভারতকে মাস্তানা বোধ করার পরও মসজিদে সমস্ত চক্রান্ত বেহেস্তে গেল ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি এমনই হয় দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রদের তাই সাবধান হওয়া উচিত এখনই।