ব্যাঙ্গালুরুর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ৬ ঘন্টারও বেশি সময় পর মুখ খুললেন কোহলি

ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে মুখ খুলেছেন বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর (আরসিবি) কর্তৃপক্ষের সমাজমাধ্যমে দেয়া বিবৃতি শেয়ার করে কোহলি লিখেছেন, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। স্টেডিয়ামের বাইরে মর্মান্তিক ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যুর পর বিবৃতি দিতে ৬ ঘণ্টা সময় নিয়েছে আরবিসি। ভেতরে বিজয়োৎসব অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া নিয়ে গোটা দেশে সমালোচনা হয়েছে। 

আরসিবি কর্তৃপক্ষ মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। আরসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার বিকালে দলের ফেরা উপলক্ষে বিশাল জনসমাগম হয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু জুড়ে। আমরা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি, সেই জমায়েতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আমরা গভীর ভাবে মর্মাহত। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

আরসিবি কর্তৃপক্ষ মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা। আরসিবি কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত কর্মসূচি পরিবর্তন করেছি। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ এবং পরামর্শ মতো পদক্ষেপ করেছি। 

এদিকে,এই ঘটনাকে কুম্ভমেলায় পদদলিত হয়ে মৃত্যুর প্রসঙ্গ টানায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার তুমুল সমালোচনা হয়েছে সমাজমাধ্যমে। বিজেপিও সমালোচনায় মুখর হয়েছে। তবে সিদ্দারামাইয়া কুম্ভের সঙ্গে তুলনা করতে চান না বলে জানিয়েছেন।এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই ট্র্যাজেডি হওয়া উচিত ছিল না। এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে। আমি এই ঘটনাকে ডিফেন্ড করতে চাই না। আমাদের সরকার এটা নিয়ে রাজনীতি করবে না। আমি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি এবং ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছি।  তিনি বলেন, উপস্থিত  মানুষজন স্টেডিয়ামের গেটও ভেঙে ফেলে। সেখানে পদপিষ্ট হয়। এত মানুষের সমাগম কেউ আশা করেনি। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা মাত্র ৩৫ হাজার হলেও ২-৩ লাখ মানুষ এসেছিলেন।