বাংলারজমিন
সিলেটে দুদকের মামলায় জেলে আইনজীবী
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৬ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবারসিলেটে গির্জা ও কবরস্থানের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে আলোচিত আইনজীবী সিরাজুল ইসলামকে এবার দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার বিকালে মামলার শুনানি শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে চেক ডিজঅনার ও প্রতারণা মামলায় দুইবার জেল খাটেন এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। নগরীর রিকাবিবাজারের পুলিশ লাইন্স লুসাই গির্জা সমিতির জায়গা ও তাদের কবরস্থানের ভূমি জালিয়াতি করে সাফকবলা দলিল সৃষ্টি, জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও নামজারি করার অভিযোগে ২০২১ সালের ২৯শে জুন মামলা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন। মামলায় জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও সদর উপজেলা সাব- রেজিস্ট্রার, ভূমি অফিসের কানুনগো ও তহসিলদারকে আসামি করা হয়। সাব-রেজিস্ট্রার সিলেট থেকে বদলি হওয়ার পর পলাতক থাকলেও মামলায় জামিনে ছিলেন সিরাজসহ অপর দুইজন। সম্প্রতি পুলিশ লাইন্স গির্জা সমিতির চেয়ারম্যান জমিংথাংগা লুসাই হুমকির অভিযোগে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন। পাশাপাশি আদালতে জামিন বাতিলেরও আবেদন করেন। রোববার জামিন আবেদন শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী নাহিদা। রিকাবিবাজারের সিলেটে জেলা স্টেডিয়ামের সামনে গির্জার জায়গা ও কবরস্থান দখল করে ইম্পালস টাওয়ার গড়ে তুলেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। সিরাজুল ইসলাম সাক্ষী সেজে ছাফিয়া আহমদ নামের এক মহিলার নামে ’৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি গির্জার ১৫ শতক জায়গা ইজারার জন্য একটি বায়নাপত্র সম্পাদন করেন। ওই বায়নাপত্র রেজিস্ট্রি না করে সিরাজুল ইসলাম ২০০৬ সালের ২৪শে ডিসেম্বর ইজারা বলবৎ থাকাবস্থায় গির্জা সমিতির অবশিষ্ট ৮০ শতক জায়গা একটি সাফকবলা দলিল নিজে সম্পাদন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ইজারাদার ও গির্জা সমিতির লোকজন। এ নিয়ে মামলা হলে ২০১৪ সালের ২৮শে অক্টোবর আদালত ওই দলিল বাতিল করেন। পরবর্তীতে টাওয়ারে বিনিয়োগকারীসহ গির্জা সমিতির সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের একাধিক মামলা হয়। পাশাপাশি গির্জা সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদক সিরাজুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।