বিনোদন
ভুয়া বিজ্ঞাপনে নিজের কণ্ঠ, আইনি ব্যবস্থা নেবেন হানিফ সংকেত
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার
দেশের তুমুল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’, যার উপস্থাপক হানিফ সংকেত। তিনি সব সময় নীতিনিষ্ঠ ও নির্লোভ অবস্থানে থাকেন। কখনো কোনো বিজ্ঞাপনে তার এ পর্যন্ত দেখা মেলেনি। এমনকি কোনো পণ্যের সঙ্গে নিজের নাম কিংবা কণ্ঠও দেননি কখনো। কিন্তু এবার তার কণ্ঠকে একটি ভুয়া বিজ্ঞাপনচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। হানিফ সংকেত এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, এই যুগে প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি এর অপব্যবহারের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে, প্রযুক্তিগত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। বর্তমান সময়ের সেরা আবিষ্কার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), যা মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রদর্শন করতে পারে। তবে, এর অপব্যবহারের ফলে ঘটছে অনেক অঘটনও। যার কারণে অনেকেই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন, বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, গত কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, একটি প্রতারক চক্র ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ‘ইত্যাদি’তে আমার উপস্থাপনার অংশ ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। তবে, এআই কৃত্রিমভাবে যত সূক্ষ্মতার পরিচয়ই দিক না কেন, একটুখানি লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে এটা আসল নয়, নকল। আমার কণ্ঠ অনুকরণ করলেও উপস্থাপনায় বাংলা উচ্চারণ ভিনদেশের। তিনি আরও বলেন, অনেক প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও কখনোই কোনো বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশগ্রহণ করিনি। সুতরাং আমাকে ব্যবহার করে এ ধরনের এআই কিংবা প্রযুক্তিনির্ভর কোনো বিজ্ঞাপন দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এর সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যারা এ ধরনের প্রতারণা করছে, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এমনকি এআই’র অপব্যবহার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকি থেকে নিজেদের সৃষ্টিকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য বৃটিশ তারকারা কপিরাইট আইন হালনাগাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে সংগীতশিল্পী ডুয়া লিপা, এলটন জন, নাট্যকার ডেভিড হেয়ার, নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক কাজুও ইশিগুরোর মতো ব্যক্তিত্বরাও রয়েছেন। আবার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি লিখেছেন, আমার মনে হয় এআই সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের উচিত- কিছু নীতিমালা তৈরি করা, যাতে কেউ এর অপব্যবহার করতে না পারে।