অনলাইন
রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথে বাধা নেই
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৪৪ অপরাহ্ন

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতের এই আদেশের ফলে মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিতে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিকে রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা।
রিটের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত গতকাল বুধবার আদেশের জন্য আজকের দিন (বৃহস্পতিবার) ধার্য করেছিলেন।
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেট প্রকাশ নিয়ে গত ১৩ মে রিটটি করেন মো. মামুনুর রশিদ নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরে ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়।
এরপর ওই মামলায় ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
তবে এখনো পর্যন্ত তার শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়নি। শপথ দিতে বিলম্ব করায় ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা ‘নগরবাসী’ ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।
পাঠকের মতামত
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আপনাকে অভিনন্দন। সত্যিকারের কলিজাওয়ালা কাউকে মেয়র হিসেবে পেল ঢাকাবাসী। সাময়িক যেই বিতর্ক বা উচ্চবাচ্চ্য হচ্ছে তা নিয়ে বিচলিত না হয়ে সবাইকে নিয়ে সুন্দরভাবে কাজ করুন এবং বিএনপির মেয়র না হয়ে 'জনতার' হয়ে উঠুন। ভালোবাসা রইলো ভাই ♥
জনাব ইশরাক আইনি ও নৈতিক বিজয় অর্জন করেছেন, কিন্তু প্রশাসনিকভাবে কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ তার নেই যদি না আদালত বা রাষ্ট্রপতি বিশেষ আদেশ দেন বা নতুন মেয়াদের ঘোষণা করা হয়। কারণ গেজেট প্রকাশের পর ৫ বছর মেয়াদ ইতোমধ্যে পার হয়ে গিয়েছে।
এ বিজয় ইসরাক এর বিজয়,BNP এর পরীক্ষা, পরাজয়, রাজনীতির পরাজয়, বাংলাদেশের রাজনীতির পরাজয় ( স্বৈরাচারী ব্যবস্থার উত্থান হতে পারে..?) পরাজিত সকল মেয়র, স্থানিয় সরকার এর প্রতিনিধি, সংসদ.....ইত্যাদি... মাধ্যমে নির্বাচিত দাবি করে ক্ষমতায় বসে যেতে পারেন???
CONGRATULATION
ফ্যাসিষ্ট হাসিনার সকল অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দিল বিএনপি।শুরুটা হয়েছে চট্রগ্রাম সিটি মেয়র থেকে।এরা ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সাথে পার্থক্য কি ?
মব জাষ্টিস !
রিট খারিজ হবে আইনে তাই বলে সবাই জানে, আসিফ মাহমুদের বাটপারির কারনে এই রিট করা হয়েছিলো। তাই মনে রাখতে হবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ ছাড়া কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
অভিনন্দন জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ধিক্কার ষঢ়যন্ত্রকারী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও আসিফ নজরুল। অবিলম্বে আসিফ মাহমুদ-আসিফ নজরুল-কথিত মাষ্টার মাইন্ড মাহফুজের পদত্যাগ চাই। ইশরাককে শপথ না পড়িয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদালতের রায় অমান্য করেছেন এবং শপথ ভংগ করেছেন সেহেতু আদালতের উচিৎ হবে আদালত স্বতপ্রনোদিত হয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল ইসু করা।
congelation
অভিনন্দন জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ধিক্কার ষঢ়যন্ত্রকারী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও আসিফ নজরুল। অবিলম্বে আসিফ মাহমুদ-আসিফ নজরুল-কথিত মাষ্টার মাইন্ড মাহফুজের পদত্যাগ চাই।
ইশরাককে শপথ না পড়িয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদালতের রায় অমান্য করেছেন এবং শপথ ভংগ করেছেন সেহেতু আদালতের উচিৎ হবে আদালত স্বতপ্রনোদিত হয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল ইসু করা।
তাহলে আসিফ ই ত সঠিক পথেই ছিল।